‘প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকত তাহলে আলিফকে বাঁচানো যেত’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ২৯
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর মেথরপট্টি গলির নিলয় স্বজন ভবনের সামনে এখনো ছোপ ছোপ রক্ত। ইসকন সমর্থকদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের রক্ত। এই ভবনের সামনেই তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও ইটে থেঁতলে হত্যা করা হয়। ইসকন সমর্থকেরা আলিফকে যখন মেথরপট্টির গলির পূর্বদিক থেকে ধাওয়া দেয় তখন তিনি পা পিছলে পড়ে যান মাটিতে। তার পায়ে আগে থেকে কিছুটা সমস্যা ছিল।

এ সময় তার ঠিক সামনেই ছিলেন আরেক আইনজীবী শহীদ রাহাত। ইসকন সমর্থকেরা তাকে কোপ দিলে তিনিও আহত হন। আলিফ পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে রাহাতের কাছে সাহায্য চেয়ে ডাক দেন। যেটা রাহাত গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তার ফেইসবুক পেজে শেয়ার করেন।

তিনি ঠিক এভাবে লেখেন, ‘ভাইয়া আমার পা মচকে গেছে। আমাকে নিয়ে যান’। কিন্তু সেই জীবন রক্ষাকারী ডাকে সাড়া দিতে পারেননি রাহাত। এ কারণে তিনি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘সাইফুল, ক্ষমা কইরো ভাই। তোমার ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো ঈমানি চেতনা আমাদের ছিল না। হায়েনাদের হাত থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না।’

এ বিষয়ে রাহাত জানান, ‘প্রশাসন যদি সক্রিয় থাকত তাহলে আলিফকে বাচাঁনো যেত। কিন্তু তারা নিদারুণ নিষ্ক্রিয়তার মধ্যে ছিল।’

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন ‘আল্লার কসম! প্রশাসনের নিদারুণ নিষ্ক্রিয়তার কারণে আজকে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ শহীদ হয়েছে।’

তথ্যমতে, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা।

একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেটা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এর মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে (৩৫) খুন করে ইসকন সমর্থকেরা।

সাইফুল ইসলাম আলিফ লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

চট্টগ্রাম পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা হত্যা ও সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত