মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
পরিযায়ী পাখি শামুকখোল বেশ কয়েক বছর আগেও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় খুব একটা দেখা যেত না। গ্রীষ্ম মৌসুমে মাঝেমধ্যে দেখা মিলত এই পাখির। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আনাচে-কানাচে ও খেতখামারে দেখা মিলছে শামুকখোলের। স্থানীয়রা বলছেন, এই পাখি আর পরিযায়ী নয়। খাদ্যের অভাব না থাকায় ও প্রজনন সুবিধার কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাসা বেঁধেছে শামুকখোল।
স্থানীয় লোকজন জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় একসময় শামুকখোল দেখা যেত গ্রীষ্মকালে। যে কারণে এই জাতের পাখিকে এই অঞ্চলে পরিযায়ী পাখি বলা হতো। ওই সময় এরা প্রজনন শেষে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই এলাকা ছেড়ে চলে যেত। তবে কয়েক বছর ধরে শামুকখোল এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ফসলি মাঠে ও উন্মুক্ত আকাশে পাখিগুলোর ঝাঁকবেঁধে ওড়াউড়ির দৃশ্য উপজেলার প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাখিগুলো মাঠে মাঠে গিয়ে ও অল্প জল আছে—এমন জলাশয়ে গিয়ে শামুক খুলে খায়। পাখিগুলো এই পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজমাল হাসান জানান, শামুকখোল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানাস্টোমাস অসিটান্স। এই পাখির ঠোঁট অন্য পাখির ঠোঁটের চেয়ে আলাদা। ঠোঁটের ওপরের অংশের সঙ্গে নিচের অংশ বেশ ফাঁকা। এই পাখি বিশেষ ধরনের ঠোঁট দিয়ে শামুক সংগ্রহ করে। এরপর শামুকের ঢাকনা খুলে ভেতরের নরম অংশটুকু খায়। শামুক খোলার এই শৈল্পিক কৌশলের কারণেই এই পাখিটির নামকরণ করা হয়েছে শামুকখোল। তবে স্থানীয়রা এই পাখিকে শামুককাচা নামেই চেনে।
শামুকখোল নিরীহ প্রজাতির পাখি। এরা স্বজাতির মধ্যে কখনো মারামারি করে না বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. জোহরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এরা শব্দ করে ডাকতেও পারে না। একই রকমের হওয়ায় এদের বাহ্যিক চেহারা দেখে স্ত্রী-পুরুষ নির্ণয় করা বেশ কষ্টকর। গায়ের রং সাদাকালো। তবে বয়স্ক শামুকখোলের গায়ের রং অনেকটা কালচে রঙের হয়। এই জাতের পাখি দুটি বাসা বাঁধে, তবে স্থায়ী বাসা একটিই হয়। তবে প্রজননের সময় ছাড়া শামুকখোল বাসায় অবস্থান করে না। অন্য সময় জলাশয়ের আশপাশের গাছের উঁচু ডালে খোলা অবস্থায় থাকতে পছন্দ করে।
জোহরা খাতুন বলেন, ‘শামুকখোল বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকাজুড়ে এদের আবাস, যা প্রায় ২০ লাখ ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়নি। উপযুক্ত আবহাওয়া, পরিমিত খাবারের জোগান আর নিরাপত্তা থাকলে শামুকখোল সাধারণত কোনো এক জায়গা থেকে অন্যত্র যায় না।’
উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের দর্পনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘শামুকখোল পাখিগুলো ভোরবেলা দলবেঁধে ওড়াউড়ি করে বিভিন্ন ফসলি মাঠে গিয়ে খাবার সন্ধান করে। এরা বেশির ভাগ সময় শামুক খায়। এ ছাড়া এরা ছোট মাছ, কাঁকড়া, ব্যাঙ খেয়ে জীবন ধারণ করে। প্রতিদিন পাখিগুলোর দলবেঁধে ওড়াউড়ির দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগে।’
কয়েক বছর ধরে শামুকখোল পাখি সচরাচর চোখে পড়ছে বলে জানান উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের দর্পণারায়নপুর এলাকার শাহজাহান শিরাজ। তিনি বলেন, ‘এর আগে এই পাখি এলাকায় তেমন একটা দেখা যেত না। বক পাখির মতো পাখিগুলো খেতখামারে ও অল্প পানি আছে—এমন জলাশয়ে ওড়াউড়ি ও বসে থাকতে দেখা যায়। পাখিগুলো গাছের উঁচু ডালে বসবাস করে।’
পরিযায়ী পাখি শামুকখোল বেশ কয়েক বছর আগেও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় খুব একটা দেখা যেত না। গ্রীষ্ম মৌসুমে মাঝেমধ্যে দেখা মিলত এই পাখির। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আনাচে-কানাচে ও খেতখামারে দেখা মিলছে শামুকখোলের। স্থানীয়রা বলছেন, এই পাখি আর পরিযায়ী নয়। খাদ্যের অভাব না থাকায় ও প্রজনন সুবিধার কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাসা বেঁধেছে শামুকখোল।
স্থানীয় লোকজন জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় একসময় শামুকখোল দেখা যেত গ্রীষ্মকালে। যে কারণে এই জাতের পাখিকে এই অঞ্চলে পরিযায়ী পাখি বলা হতো। ওই সময় এরা প্রজনন শেষে একটা নির্দিষ্ট সময় পর এই এলাকা ছেড়ে চলে যেত। তবে কয়েক বছর ধরে শামুকখোল এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেছে। প্রতিদিন ফসলি মাঠে ও উন্মুক্ত আকাশে পাখিগুলোর ঝাঁকবেঁধে ওড়াউড়ির দৃশ্য উপজেলার প্রাকৃতিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। পাখিগুলো মাঠে মাঠে গিয়ে ও অল্প জল আছে—এমন জলাশয়ে গিয়ে শামুক খুলে খায়। পাখিগুলো এই পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নিয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজমাল হাসান জানান, শামুকখোল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম অ্যানাস্টোমাস অসিটান্স। এই পাখির ঠোঁট অন্য পাখির ঠোঁটের চেয়ে আলাদা। ঠোঁটের ওপরের অংশের সঙ্গে নিচের অংশ বেশ ফাঁকা। এই পাখি বিশেষ ধরনের ঠোঁট দিয়ে শামুক সংগ্রহ করে। এরপর শামুকের ঢাকনা খুলে ভেতরের নরম অংশটুকু খায়। শামুক খোলার এই শৈল্পিক কৌশলের কারণেই এই পাখিটির নামকরণ করা হয়েছে শামুকখোল। তবে স্থানীয়রা এই পাখিকে শামুককাচা নামেই চেনে।
শামুকখোল নিরীহ প্রজাতির পাখি। এরা স্বজাতির মধ্যে কখনো মারামারি করে না বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. জোহরা খাতুন। তিনি বলেন, ‘এরা শব্দ করে ডাকতেও পারে না। একই রকমের হওয়ায় এদের বাহ্যিক চেহারা দেখে স্ত্রী-পুরুষ নির্ণয় করা বেশ কষ্টকর। গায়ের রং সাদাকালো। তবে বয়স্ক শামুকখোলের গায়ের রং অনেকটা কালচে রঙের হয়। এই জাতের পাখি দুটি বাসা বাঁধে, তবে স্থায়ী বাসা একটিই হয়। তবে প্রজননের সময় ছাড়া শামুকখোল বাসায় অবস্থান করে না। অন্য সময় জলাশয়ের আশপাশের গাছের উঁচু ডালে খোলা অবস্থায় থাকতে পছন্দ করে।
জোহরা খাতুন বলেন, ‘শামুকখোল বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকাজুড়ে এদের আবাস, যা প্রায় ২০ লাখ ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার। বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়নি। উপযুক্ত আবহাওয়া, পরিমিত খাবারের জোগান আর নিরাপত্তা থাকলে শামুকখোল সাধারণত কোনো এক জায়গা থেকে অন্যত্র যায় না।’
উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের দর্পনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘শামুকখোল পাখিগুলো ভোরবেলা দলবেঁধে ওড়াউড়ি করে বিভিন্ন ফসলি মাঠে গিয়ে খাবার সন্ধান করে। এরা বেশির ভাগ সময় শামুক খায়। এ ছাড়া এরা ছোট মাছ, কাঁকড়া, ব্যাঙ খেয়ে জীবন ধারণ করে। প্রতিদিন পাখিগুলোর দলবেঁধে ওড়াউড়ির দৃশ্য দেখতে ভালোই লাগে।’
কয়েক বছর ধরে শামুকখোল পাখি সচরাচর চোখে পড়ছে বলে জানান উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের দর্পণারায়নপুর এলাকার শাহজাহান শিরাজ। তিনি বলেন, ‘এর আগে এই পাখি এলাকায় তেমন একটা দেখা যেত না। বক পাখির মতো পাখিগুলো খেতখামারে ও অল্প পানি আছে—এমন জলাশয়ে ওড়াউড়ি ও বসে থাকতে দেখা যায়। পাখিগুলো গাছের উঁচু ডালে বসবাস করে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৩৪ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে