নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জোনায়েদ সাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁদের দেখতেই চমেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই তিনিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন।
হামলার পর সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি জানান, চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিল। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বলে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাতটি রাজনৈতিক দল সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আপনারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মঞ্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল এবং এতে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসি। যেহেতু বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ঠিক না, তাতে করে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আমরা দূর থেকেই রোগীদের প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত আমরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। সেটা শেষে ডিএনএ নমুনা যারা সংগ্রহ করছেন, সেখানেও খবর নিয়েছি। এর পর আমরা গাড়িতে উঠে গেলাম। হঠাৎ একদল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু হলো। তাঁরা “জয় বাংলা” স্লোগানও দিয়েছেন।’
হামলায় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমবার আমরা ভাবলাম, তাঁরা একটা হামলা করে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁরা একের পর এক হামলা করেছেন। গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। সিনিয়র নেতাদের মারধর করেছেন। আমাদের ১৫ / ২০ জন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও দৌড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে যেভাবে ইট পাটকেল ছুড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবে। কিন্তু পুলিশের দুজন সদস্য বাদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসতে দেখিনি। এতে তারা এই ধরনের হামলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। এটাই আজকে বাংলাদেশকে বাস্তবতাকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করে, কখনো নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা করিয়ে ভয়ভীতি তৈরি করছে, যাতে করে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য কথা কেউ না বলে। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর কোনো হামলা করিনি। তাঁরা বার্ন ইউনিটে এসে ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ বিভিন্ন ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। আমরা গত দুদিন ধরে না ঘুমিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বার্নের এসব রোগী সেনসিটিভ। তাঁদের সংস্পর্শে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য ব্যতিক্রম হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে ওনাদের প্রতিহত করেছি। কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
চট্টগ্রামে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির ওপর হামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে তিনি এ হামলার শিকার হন। এ জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে আহতদের অনেকেই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জোনায়েদ সাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আজ মঙ্গলবার তাঁদের দেখতেই চমেক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। পরিদর্শন শেষে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনেই তিনিসহ দলটির নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হন।
হামলার পর সাংবাদিকদের জোনায়েদ সাকি জানান, চমেক হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় হাসপাতালের প্রধান ফটকে তিনিসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিচ্ছিল। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের বলে দাবি করেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সাতটি রাজনৈতিক দল সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। এটা আপনারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মঞ্চ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল এবং এতে আহত ও নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সাতটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি আজ সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসি। যেহেতু বার্ন ইউনিটের রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়া ঠিক না, তাতে করে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই আমরা দূর থেকেই রোগীদের প্রত্যক্ষ করেছি। মূলত আমরা কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছ থেকে রোগীদের খোঁজ খবর নিয়েছি। সেটা শেষে ডিএনএ নমুনা যারা সংগ্রহ করছেন, সেখানেও খবর নিয়েছি। এর পর আমরা গাড়িতে উঠে গেলাম। হঠাৎ একদল ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে হামলা শুরু হলো। তাঁরা “জয় বাংলা” স্লোগানও দিয়েছেন।’
হামলায় ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রথমবার আমরা ভাবলাম, তাঁরা একটা হামলা করে চলে যাবেন। কিন্তু তাঁরা একের পর এক হামলা করেছেন। গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলেছেন। সিনিয়র নেতাদের মারধর করেছেন। আমাদের ১৫ / ২০ জন নেতা-কর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও দৌড়ে এসে গাড়ি থামিয়ে যেভাবে ইট পাটকেল ছুড়ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল তারা আগুন জ্বালিয়ে দেবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবে। কিন্তু পুলিশের দুজন সদস্য বাদে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসতে দেখিনি। এতে তারা এই ধরনের হামলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে গেছে। এটাই আজকে বাংলাদেশকে বাস্তবতাকে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরছে। কখনো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন করে, কখনো নিজেদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ দিয়ে হামলা করিয়ে ভয়ভীতি তৈরি করছে, যাতে করে সরকারের বিরুদ্ধে ন্যায্য কথা কেউ না বলে। এভাবে বিভিন্নভাবে তারা আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়।’
অভিযোগের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের ওপর কোনো হামলা করিনি। তাঁরা বার্ন ইউনিটে এসে ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ বিভিন্ন ফুটেজ নিচ্ছিলেন। এতে রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাঘাত হচ্ছিল। আমরা গত দুদিন ধরে না ঘুমিয়ে এসব রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। বার্নের এসব রোগী সেনসিটিভ। তাঁদের সংস্পর্শে গেলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সামান্য ব্যতিক্রম হলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে ওনাদের প্রতিহত করেছি। কিন্তু কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।’
রাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৬ মিনিট আগেপ্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
১৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
৩৫ মিনিট আগেখুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে