দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
লিমন নামে এক কিশোরকে রড, হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত ও ছুরিকাঘাতে জখম করেছে বানিয়াপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। লিমনের পিঠে, দুই হাত ও দুই পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাংস আলাদা করে ফেলে গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত লিমন বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত লিমন (১৫) ছোট আলমপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিমনের আহত হওয়ার রক্তাক্ত ছবি দেখে ওই দিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর নানা আশ্রব আলীর হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন লিমনের সহপাঠী ইমরান। ইমরান ঘটনারও প্রত্যক্ষদর্শী।
ইমরান জানায়, গত কয়েক দিন আগে উপজেলার ভেতরের চা দোকানের সামনে লিমনের বন্ধু সাঈদের সঙ্গে বানিয়াপাড়ার কিশোর গ্যাং সদস্য বদরের গাঁয়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে সাঈদের ওপর বদরের দলবল উত্তেজিত হয়ে মারতে আসে। এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন সাঈদ ও বদরকে একত্র করে মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু বদরের মনে ক্ষোভ ছিল। এ ঘটনার জেরে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাঈদের বন্ধু লিমনকে উপজেলার পেছনের চা দোকানের সামনে দেখতে পেয়ে বদরকে জানায় তার বন্ধুরা। পরে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান বদর, হিমেল, সোহাগ, রামিম বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্য উপজেলার পেছনে লিমনকে একা পেয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপর পাশের ভবনের দেয়ালের কয়েকটি স্থানে রক্তের জমাট বাঁধা দাগ। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বদর বাহিনীর সদস্যরা লিমনকে ভয়াবহভাবে কুপিয়েছে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে লিমনের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, ছেলেকে জরুরি অপারেশন করাতে হবে। তারা আমার ছেলের হাত-পায়ের মাংস আলাদা করে ফেলেছে। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। পুলিশ বলছে, বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে থানা-পুলিশ কিশোর গ্যাংদের প্রধানসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
ছোট আলমপুরের কিশোর গ্যাং সদস্য মাসুম জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেয়ে বন্ধুকে কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর প্রধান বদরের মেয়ে বন্ধুকে উত্ত্যক্ত করার অজুহাতে বাহিনীর সদস্যরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে। তারা তুচ্ছ ঘটনায় এলাকায় বিবাদ তৈরি করে।
মিজানুর রহমান ও মনির হোসেন নামে কয়েকজন স্থানীয় জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দেখে আসছি। তাঁরা বেপরোয়া ও উচ্চগতির মোটরসাইকেলের রেস করে। এটি পথচারীদের আতঙ্কের অন্যতম কারণ। চুলের কাটিং ও বেশভূষা দেখে তাদের সহজে চেনা যায়। এরা তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি ও ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি দেবিদ্বারে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে তাদের নির্যাতনের মাত্রা।
এ ব্যাপারে বদর বাহিনীর প্রধান বদরের বাবা মো. হাসান আলী বলেন, ‘বদর আমার ছেলে। আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ। সে কী করে, কোথায় থাকে তা আমার জানা নেই। তার কাজ-কর্মে আমাদের মান সম্মান সব শেষ। মারামারি ঘটনা আপনার কাছ থেকে প্রথমে জানলাম। এর আগে আমাকে কেউ বলেনি। সে যদি দোষী হয় আইন তার যা বিচার করবে আমি তা মেনে নেব।’
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বারে কোনো অবস্থাতেই কিশোর গ্যাং বাড়তে দেব না। দেবিদ্বারে দুই একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বেপরোয়া কিশোর গ্যাং প্রধানসহ অন্য সদস্যদের খুঁজছি। যে কোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক উন নবী তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে প্রথমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া যারা কিশোর গ্যাংকে মদদ ও আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
লিমন নামে এক কিশোরকে রড, হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত ও ছুরিকাঘাতে জখম করেছে বানিয়াপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। লিমনের পিঠে, দুই হাত ও দুই পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাংস আলাদা করে ফেলে গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত লিমন বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত লিমন (১৫) ছোট আলমপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিমনের আহত হওয়ার রক্তাক্ত ছবি দেখে ওই দিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর নানা আশ্রব আলীর হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন লিমনের সহপাঠী ইমরান। ইমরান ঘটনারও প্রত্যক্ষদর্শী।
ইমরান জানায়, গত কয়েক দিন আগে উপজেলার ভেতরের চা দোকানের সামনে লিমনের বন্ধু সাঈদের সঙ্গে বানিয়াপাড়ার কিশোর গ্যাং সদস্য বদরের গাঁয়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে সাঈদের ওপর বদরের দলবল উত্তেজিত হয়ে মারতে আসে। এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন সাঈদ ও বদরকে একত্র করে মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু বদরের মনে ক্ষোভ ছিল। এ ঘটনার জেরে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাঈদের বন্ধু লিমনকে উপজেলার পেছনের চা দোকানের সামনে দেখতে পেয়ে বদরকে জানায় তার বন্ধুরা। পরে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান বদর, হিমেল, সোহাগ, রামিম বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্য উপজেলার পেছনে লিমনকে একা পেয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপর পাশের ভবনের দেয়ালের কয়েকটি স্থানে রক্তের জমাট বাঁধা দাগ। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বদর বাহিনীর সদস্যরা লিমনকে ভয়াবহভাবে কুপিয়েছে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে লিমনের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, ছেলেকে জরুরি অপারেশন করাতে হবে। তারা আমার ছেলের হাত-পায়ের মাংস আলাদা করে ফেলেছে। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। পুলিশ বলছে, বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে থানা-পুলিশ কিশোর গ্যাংদের প্রধানসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
ছোট আলমপুরের কিশোর গ্যাং সদস্য মাসুম জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেয়ে বন্ধুকে কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর প্রধান বদরের মেয়ে বন্ধুকে উত্ত্যক্ত করার অজুহাতে বাহিনীর সদস্যরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে। তারা তুচ্ছ ঘটনায় এলাকায় বিবাদ তৈরি করে।
মিজানুর রহমান ও মনির হোসেন নামে কয়েকজন স্থানীয় জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দেখে আসছি। তাঁরা বেপরোয়া ও উচ্চগতির মোটরসাইকেলের রেস করে। এটি পথচারীদের আতঙ্কের অন্যতম কারণ। চুলের কাটিং ও বেশভূষা দেখে তাদের সহজে চেনা যায়। এরা তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি ও ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি দেবিদ্বারে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে তাদের নির্যাতনের মাত্রা।
এ ব্যাপারে বদর বাহিনীর প্রধান বদরের বাবা মো. হাসান আলী বলেন, ‘বদর আমার ছেলে। আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ। সে কী করে, কোথায় থাকে তা আমার জানা নেই। তার কাজ-কর্মে আমাদের মান সম্মান সব শেষ। মারামারি ঘটনা আপনার কাছ থেকে প্রথমে জানলাম। এর আগে আমাকে কেউ বলেনি। সে যদি দোষী হয় আইন তার যা বিচার করবে আমি তা মেনে নেব।’
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বারে কোনো অবস্থাতেই কিশোর গ্যাং বাড়তে দেব না। দেবিদ্বারে দুই একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বেপরোয়া কিশোর গ্যাং প্রধানসহ অন্য সদস্যদের খুঁজছি। যে কোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক উন নবী তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে প্রথমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া যারা কিশোর গ্যাংকে মদদ ও আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৬ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে