ফেনীর পরশুরাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামসুল আলম শাকিলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁকে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হালিম মানিক বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০-১২ জন লোক লোহার রড ও লাঠি দিয়ে যুবদল নেতা শাকিলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন।’

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল খায়ের লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাকিল দুপুরে বাড়িতে যাওয়ার সময় হাসপাতাল মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।’
 
হামলার বিষয় পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুবদল নেতা শাকিলের ওপর হামলার ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এই হামলার সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কেউ জড়িত নয়। ঈদের পর থেকে উপজেলা বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির দুটি গ্রুপ কয়েক দিন ধরে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করছে। সেই বিরোধের জেরে বিএনপির একটি গ্রুপ এই হামলা চালিয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগের কেউ এই হামলার ঘটনায় জড়িত নন।’ 

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হামলার বিষয়টি তিনি এখন পর্যন্ত শুনেননি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।