পিকনিকের বাসে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: শোকে স্তব্ধ নাঈমের পরিবার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২২: ১১
মীর মোজাম্মেল হোসেন নাঈম। ছবি: সংগৃহীত

পিকনিকের বাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) তিন শিক্ষার্থীর একজন মীর মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৩)। তার এমন আকস্মিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। শোকের স্তব্ধ পরিবার ও প্রতিবেশীরা।

নাঈম ফেনীর সাউথ ইস্ট ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মীর মোতাহার হোসেন শাহীনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন।

আজ (শনিবার) শহরের মাস্টারপাড়া নাঈমের বাসায় আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে। তবে পরিবারের কোনো সদস্য গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

নিহতের জ্যাঠাতো বোন সুরভী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। আকস্মিক এমন ঘটনায় পুরো পরিবার শোকাহত। চাচা-চাচি মরদেহ আনতে গেছেন। এত তাড়াতাড়ি ভাইকে হারাব ভাবিনি।’

মীর মোজাম্মেল হোসেন নাঈম। ছবি: সংগৃহীত
মীর মোজাম্মেল হোসেন নাঈম। ছবি: সংগৃহীত

নাঈমের ফুপাতো ভাই সোহাগ বলেন, ‘পরিবারে দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে নাঈম দ্বিতীয় সন্তান। তার বড় ভাই শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। নাঈম খুবই নম্র-ভদ্র ও মেধাবী ছিল। ঘটনা শোনার পরপরই নাঈমের বাবা-মা মরদেহ আনার জন্য রওনা দিয়েছেন। তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর এলাকায় দাফন করা হতে পারে। মরদেহ ফেনী পৌঁছালে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’

নাঈমের প্রতিবেশী ফেনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৪ বছর তাদের বাসায় ভাড়া ছিলাম। আমরা পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতাম। নাঈমকে ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি। এত ভদ্র ও বিনয়ী ছিল যা বর্ণনাতীত।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত