সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি মামলায় মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ জানতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এক বছর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে মৃত্যুসনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন অভিযোগ উঠেছে।
২০২০ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি বায়েজিদ থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া মামলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে বায়েজিদ থানাধীন আমিন জুটমিল এলাকায় পেট্রল বোমা বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়।
মামলাটি তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা দেড় বছর ধরে তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ আগস্ট ২৭ জনকে আসামি করে আদালতে দুটি ধারায় পৃথক অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে মো. শাহজাহান নামে একজনকে আসামি করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বায়েজিদ থানাধীন ওয়াজেদিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান ২০২০ সালের ১৮ জুন হার্ট অ্যাটাক করে নগরের সিএসটিসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
অথচ অভিযোগপত্রে তাঁকে পলাতক আসামি দেখিয়েছে পুলিশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার পর শাহজাহানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে পরোয়ানা তামিল না হয়ে পুলিশের কাছে ফিরে আসে।
জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম স্থানীয় নারী কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নির কাছ থেকে একটি মৃত্যুসনদপত্র নেন। সেখানে শাহজাহান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
গত ২৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরত প্রদান প্রসঙ্গে আদালতকে জানান। এ সময় মৃত্যুসনদটি নথিতে সংযুক্ত করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলাটির প্রথম তদন্তকারী অফিসার ছিলেন বায়েজিদ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক গোলাম মো. নাসিম হোসেন, দ্বিতীয়জন ছিলেন থানার উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন এবং সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপপরিদর্শক মো. আজহারুল ইসলাম। আজহারুল ইসলাম মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তের শেষ পর্যায়ে মামলাটি আমার হাতে এসেছিল। আমার আগে আরও দুইজন মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। তদন্ত হাতে পাওয়ার পর এবং চার্জশিট দেওয়ার আগে একবার আমি আসামির পরিবারের কাছে গিয়ে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করি। সেসময় আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে আমাকে কিছু জানায়নি। পরে আসামিকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দিই।’
এসআই আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চার্জশিটের পর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাঁর বাসা আমি চিনি বিধায় সেখানে পরোয়ানাপত্র নিয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় শাহজাহান মারা গেছে। আমি তাঁদের জিজ্ঞাস করেছিলাম, এটা আগে কেন বলেননি। তাঁর পরিবার আমাকে জানিয়েছিল, করোনায় মারা যাওয়ায় তাঁর মৃত্যুর তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল। পরে আমি আসামির মৃত্যু সনদ আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিই। এ সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে এই সনদ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘জেনেশুনে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে চার্জশিট দিয়ে আমার কী লাভ?’
জানা যায়, মামলাটি বায়েজিদ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেনের হাতে দীর্ঘসময় ছিল। তিনি ২০২০ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।
ইকবাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি অনেক পুরোনো হওয়ায় এই মুহূর্তে আমার কিছু মনে নেই। নথিপত্র না দেখে কিছু বলা যাবে না।’ পরে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শাহজাহানের ভাই মো. নাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে হেনস্তা করার কী প্রয়োজন আছে? আমরা চাই, দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক। আমার জানামতে, এই মামলায় পুলিশ আমার ভাইয়ের খোঁজে কখনো আসেনি। তবে গত বছর ভিন্ন একটি মামলায় বায়েজিদ থানা-পুলিশ আমার ভাইয়ের খোঁজে এসেছিলেন। তখন ভাইয়ের মৃত্যুসনদ আমি ওনাদের হাতে তুলে দিই।’
মৃত্যুসনদ দেওয়া কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি পরে কথা বলব। আমি এখন অসুস্থ।’
চট্টগ্রামের বায়েজিদে একটি মামলায় মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ওই ব্যক্তির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে পুলিশ জানতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এক বছর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে মৃত্যুসনদ নিয়ে আদালতে দাখিল করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন অভিযোগ উঠেছে।
২০২০ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি বায়েজিদ থানায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে হওয়া মামলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে বায়েজিদ থানাধীন আমিন জুটমিল এলাকায় পেট্রল বোমা বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ওই মামলা হয়।
মামলাটি তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা দেড় বছর ধরে তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ আগস্ট ২৭ জনকে আসামি করে আদালতে দুটি ধারায় পৃথক অভিযোগপত্র জমা দেন।
অভিযোগপত্রে মো. শাহজাহান নামে একজনকে আসামি করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বায়েজিদ থানাধীন ওয়াজেদিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান ২০২০ সালের ১৮ জুন হার্ট অ্যাটাক করে নগরের সিএসটিসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
অথচ অভিযোগপত্রে তাঁকে পলাতক আসামি দেখিয়েছে পুলিশ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার পর শাহজাহানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। পরে পরোয়ানা তামিল না হয়ে পুলিশের কাছে ফিরে আসে।
জানা যায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম স্থানীয় নারী কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নির কাছ থেকে একটি মৃত্যুসনদপত্র নেন। সেখানে শাহজাহান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
গত ২৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বিনা তামিলে ফেরত প্রদান প্রসঙ্গে আদালতকে জানান। এ সময় মৃত্যুসনদটি নথিতে সংযুক্ত করা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মামলাটির প্রথম তদন্তকারী অফিসার ছিলেন বায়েজিদ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক গোলাম মো. নাসিম হোসেন, দ্বিতীয়জন ছিলেন থানার উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন এবং সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন উপপরিদর্শক মো. আজহারুল ইসলাম। আজহারুল ইসলাম মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তের শেষ পর্যায়ে মামলাটি আমার হাতে এসেছিল। আমার আগে আরও দুইজন মামলাটির তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। তদন্ত হাতে পাওয়ার পর এবং চার্জশিট দেওয়ার আগে একবার আমি আসামির পরিবারের কাছে গিয়ে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করি। সেসময় আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে আমাকে কিছু জানায়নি। পরে আসামিকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দিই।’
এসআই আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘চার্জশিটের পর আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তাঁর বাসা আমি চিনি বিধায় সেখানে পরোয়ানাপত্র নিয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় শাহজাহান মারা গেছে। আমি তাঁদের জিজ্ঞাস করেছিলাম, এটা আগে কেন বলেননি। তাঁর পরিবার আমাকে জানিয়েছিল, করোনায় মারা যাওয়ায় তাঁর মৃত্যুর তথ্য গোপন রাখা হয়েছিল। পরে আমি আসামির মৃত্যু সনদ আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিই। এ সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করা হয়।’ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে এই সনদ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘জেনেশুনে মৃত ব্যক্তিকে আসামি করে চার্জশিট দিয়ে আমার কী লাভ?’
জানা যায়, মামলাটি বায়েজিদ থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেনের হাতে দীর্ঘসময় ছিল। তিনি ২০২০ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।
ইকবাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলাটি অনেক পুরোনো হওয়ায় এই মুহূর্তে আমার কিছু মনে নেই। নথিপত্র না দেখে কিছু বলা যাবে না।’ পরে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
শাহজাহানের ভাই মো. নাছির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে হেনস্তা করার কী প্রয়োজন আছে? আমরা চাই, দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক। আমার জানামতে, এই মামলায় পুলিশ আমার ভাইয়ের খোঁজে কখনো আসেনি। তবে গত বছর ভিন্ন একটি মামলায় বায়েজিদ থানা-পুলিশ আমার ভাইয়ের খোঁজে এসেছিলেন। তখন ভাইয়ের মৃত্যুসনদ আমি ওনাদের হাতে তুলে দিই।’
মৃত্যুসনদ দেওয়া কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি পরে কথা বলব। আমি এখন অসুস্থ।’
বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালু হয়েছে বিনা লাভের সবজি বাজার। গণঅভূথ্যানের ১০০ তম দিন পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
৬ মিনিট আগেঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লুৎফল আমিন চৌধুরী বলেন, ‘আমি মাছের প্রজেক্ট দেখতে যাচ্ছিলাম। আজমপুর রেলওয়ে কলোনি মসজিদের সামনে দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিছুক্ষণ পর আরও ৪-৫ জন যুবক এসে স্বাধীনকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে স্বপন স্বাধীনকে লম্বা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করে। বিষয়টি তাৎক্
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার ওপর এত ভরসা করত, কিন্তু তাদের খোলা মাঠে রেখে ভয়ে হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম
১ ঘণ্টা আগেতিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
২ ঘণ্টা আগে