শাহরাস্তি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেতন বন্ধ ২ মাস 

চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ২২: ১৯

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় বেতন বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব টেন্ডার ও ক্রয় কমিটির কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে যাওয়ায় ওষুধ, খাদ্য ঠিকাদার বিলসহ অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রম থামকে গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২০ আগস্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান মজুমদার বদলি হয়ে তাঁর পূর্ববর্তী কর্মস্থল চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এরপর চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে মেডিকেল অফিসার ডা. সারোয়ার হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ডা. সারোয়ার হোসেনের আর্থিক বিষয়ে (আয়-ব্যয়) কোনো ক্ষমতা না থাকায় চলতি বছর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পাননি উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী। এমনকি হিন্দু কর্মচারীরা বেতন ও বোনাস ছাড়াই কাটিয়েছেন দুর্গোৎসব। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সব প্রকার বিল ও টেন্ডারসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘গত ২ মাস ধরে বেতন পাই না। দুর্গাপূজার বোনাস ছাড়াই অর্থকষ্ট নিয়ে এবারের পূজা সম্পন্ন হয়েছে।’ 

স্বাস্থ্য ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. ফায়দুল্যাহ মিঞা বলেন, ‘২ মাস বেতন পাই না। আমিসহ সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি।’ 

হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. ইমাম হোসেন জানান, বেতনের বিষয়টি ছাড়াও টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় ওষুধ, খাদ্য ঠিকাদার বিল, লিলেন, মনোহরি বিল ও অন্য উন্নয়ন কার্যক্রমের বিল দেওয়া বন্ধ রয়েছে। 

স্টোর কিপার মোস্তফা জানান, ইতিমধ্যে হাসপাতালের খাদ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হলেও টেন্ডার প্রক্রিয়া না হওয়ায় পূর্বের ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ১ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিকেল অ্যান্ড সার্জিক্যাল রিকুইজিট (এমএসআর) টেন্ডারে ওষুধ, যন্ত্রপাতি, কেমিক্যাল রিএজেন্ট, গজ, ব্যান্ডেজ, তুলা, লিলেন সামগ্রী, ফার্নিচার এবং নন মেডিকেল অ্যান্ড সার্জিক্যাল রিকুইজিট (নন এমএসআর) টেন্ডারে পথ্য, মনোহরি সামগ্রী ও লিলেন ধোলাই দরপত্র আহ্বানের কথা থাকলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা না থাকায় তা সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হাসপাতালে ওষুধ ও স্টেশনারি সামগ্রীর মজুত প্রায় শেষ হয়ে গেছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডা. সারোয়ার হোসেন জানান, তিনি দায়িত্বে থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আর্থিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে তাঁকে আয়-ব্যয় ক্ষমতা দেওয়ার জন্য নবাগত সিভিল সার্জন মো. নুরে আলম দীনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত