চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহেদা বেগম চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
দুদক সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, জলমহাল ও অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তি দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মো. মীরজানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককে এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ সদস্য জাফর আলম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, এ তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা দুদককে পূর্ণ সহযোগিতা করব।
সদ্য চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন শীর্ষ আমলা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র তাঁকে রাজনৈতিকভাবে রোষানলে ফেলার জন্য দুদকে তাঁর স্ত্রীর নামে অভিযোগ জমা দিয়েছেন দাবি করেন জাফর। তবে সেই শীর্ষ আমলা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের নাম স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেননি তিনি।
‘নীল নকশা’ আঁকা হয়েছে এমন মন্তব্য করে সংসদ সদস্য জাফর আলম স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণ, পানি শোধনাগার দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে সদ্য চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া একজন শীর্ষ আমলা ও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। তখন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করে এসব দুর্নীতির সমালোচনা করে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন ফোরামে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছি। এ কারণে দুদকে অভিযোগ দিয়ে ওই চক্রটি।’
মুখ বন্ধ রাখতে দুর্নীতিবাজ চক্রটি আমাকে উপজেলা পর্যায়ের একজন নেতা দিয়ে বসার প্রস্তাব দিয়েছিল উল্লেখ করে জাফর আলম লেখেন, ‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আমলার হুমকিতে সমঝোতার করতে অস্বীকৃতি জানাই। তখন একজন বিতর্কিত বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেয়। এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা না পাওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত হয়নি। পরে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রিক দলীয় বিভাজনকে কাজে লাগায় চক্রটি।’
অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও একজন পৌর মেয়র সশরীরে গিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে বর্ণনা দিয়ে জাফর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ইউপি নির্বাচনে পরাজিত এক ইউপি চেয়ারম্যানকে (উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতা) দিয়ে পুনরায় অভিযোগ দেওয়ানো হয়। এবার ওই অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও একজন পৌর মেয়র সশরীরে গিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন। আমলার অব্যাহত অপচেষ্টায় আমার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ অনুসন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
দুদকের পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবার পূর্ণ সহযোগিতা করবেন জানিয়ে জাফর আলম লেখেন, ‘আমি আইনপ্রণেতা হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্য বর্গ পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
জাফর আলমের স্ত্রী ও পালাকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহেদা বেগম গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘মূলত আমার স্বামী সংসদ সদস্য জাফর আলমের রাজনৈতিক বিরোধী গ্রুপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই অভিযোগ দিয়েছে। বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী হওয়ায় আমাকে মহেশখালীর দুর্গম একটি স্কুলে বদলি করা হয়। এমনকি চাকরিচ্যুত করতে চেয়েছিল। দুদকে অভিযোগ করার পেছনে অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রতাপশালী আমলা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শাহেদা বেগমের সম্পদের অনুসন্ধানে কাজ শুরু হয়েছে। নিয়ম মেনেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তকাজ চলবে। তদন্তে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহেদা বেগম চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
দুদক সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমের স্ত্রী শাহেদা বেগমের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল, জলমহাল ও অবৈধ বালু উত্তোলনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে এক ব্যক্তি দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক খান মো. মীরজানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে দুদক সমন্বিত কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককে এই অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ সদস্য জাফর আলম তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, এ তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা দুদককে পূর্ণ সহযোগিতা করব।
সদ্য চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত একজন শীর্ষ আমলা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র তাঁকে রাজনৈতিকভাবে রোষানলে ফেলার জন্য দুদকে তাঁর স্ত্রীর নামে অভিযোগ জমা দিয়েছেন দাবি করেন জাফর। তবে সেই শীর্ষ আমলা, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের নাম স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেননি তিনি।
‘নীল নকশা’ আঁকা হয়েছে এমন মন্তব্য করে সংসদ সদস্য জাফর আলম স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কক্সবাজারের ভূমি অধিগ্রহণ, পানি শোধনাগার দুর্নীতিসহ বেশ কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে সদ্য চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া একজন শীর্ষ আমলা ও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। তখন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিকে সমর্থন করে এসব দুর্নীতির সমালোচনা করে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন ফোরামে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছি। এ কারণে দুদকে অভিযোগ দিয়ে ওই চক্রটি।’
মুখ বন্ধ রাখতে দুর্নীতিবাজ চক্রটি আমাকে উপজেলা পর্যায়ের একজন নেতা দিয়ে বসার প্রস্তাব দিয়েছিল উল্লেখ করে জাফর আলম লেখেন, ‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে আমলার হুমকিতে সমঝোতার করতে অস্বীকৃতি জানাই। তখন একজন বিতর্কিত বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দেয়। এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা না পাওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো তদন্ত হয়নি। পরে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রিক দলীয় বিভাজনকে কাজে লাগায় চক্রটি।’
অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও একজন পৌর মেয়র সশরীরে গিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে বর্ণনা দিয়ে জাফর স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ইউপি নির্বাচনে পরাজিত এক ইউপি চেয়ারম্যানকে (উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতা) দিয়ে পুনরায় অভিযোগ দেওয়ানো হয়। এবার ওই অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও একজন পৌর মেয়র সশরীরে গিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেন। আমলার অব্যাহত অপচেষ্টায় আমার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ অনুসন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’
দুদকের পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় তিনি ও তাঁর পরিবার পূর্ণ সহযোগিতা করবেন জানিয়ে জাফর আলম লেখেন, ‘আমি আইনপ্রণেতা হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্য বর্গ পূর্ণ সহযোগিতা করব।’
জাফর আলমের স্ত্রী ও পালাকাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহেদা বেগম গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘মূলত আমার স্বামী সংসদ সদস্য জাফর আলমের রাজনৈতিক বিরোধী গ্রুপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই অভিযোগ দিয়েছে। বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী হওয়ায় আমাকে মহেশখালীর দুর্গম একটি স্কুলে বদলি করা হয়। এমনকি চাকরিচ্যুত করতে চেয়েছিল। দুদকে অভিযোগ করার পেছনে অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রতাপশালী আমলা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পরোক্ষ ইন্ধন রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শাহেদা বেগমের সম্পদের অনুসন্ধানে কাজ শুরু হয়েছে। নিয়ম মেনেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তকাজ চলবে। তদন্তে অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে দুই দিন ধরে চলা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করবে, এমন আশ্বাসে চলমান কর্মসূচি স্থগিত করেন তাঁরা।
১২ মিনিট আগেরাজধানীর উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশনস), ছাত্রসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলায় এক ছাত্র আহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন
২৬ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে হাজীগঞ্জ থানা-পুলিশের একটি দল। আটকদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে ট্রাক চাপায় এক ঠিকাদারসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শহরতলির বেদগ্রাম গোল চত্বর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে