সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অফিস সহায়কের বেতন ও ভ্রমণ বিল আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাব বিবি জলির বিরুদ্ধে। গত রোববার ভুক্তভোগী অফিস সহায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী অফিস সহায়ক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সুমন বলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ এস এম আল মামুন আমাকে স্নেহ করতেন। আর এ কারণেই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে তাঁর (সাবেক চেয়ারম্যান) রাজনীতির অনুসারী বানিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছেন।’
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে অফিস সহায়ক সুমন বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে চোর সাব্যস্ত করতে আমাকে সহযোগিতা করতে বলেন। কিন্তু আমি এতে রাজি না হওয়ায় চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখান। এরপর থেকে তিনি আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আটকে দেন দুই মাসের বেতন। শুধু বেতন নয়, আটকে দিয়েছেন আগের উপজেলা চেয়ারম্যানের সময়ে স্বাক্ষর হওয়া ভ্রমণ বিলের টাকাও। বর্তমানে বেতন আটকা থাকার কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’
আরেক অফিস সহায়ক আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সুমনের নাম বাদ দিয়ে তাঁদের তিনজনের বেতনের শিট তৈরি করতে বলেছিলেন। সেভাবে শিট তৈরি করা হয়। কিন্তু ইউএনও সুমনসহ চারজনের বেতনের শিট তৈরি করতে বলেন। তা না হলে তিনি স্বাক্ষর করবেন না বলে জানান। এ কারণে সুমনের পাশাপাশি আমাদেরও বেতনও আটকা পড়ে আছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাব বিবি বলেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন সুমন একজন অফিস সহায়ক হয়েও আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। তাই আমি তার নাম বাদ দিয়ে তিনজনের বেতন শিট তৈরি করতে বলেছি। কিন্তু সেটাতে ইউএনও স্বাক্ষর করেননি। এ কারণে সবার বেতন আটকে রয়েছে।’
বিধি বহির্ভূতভাবে বেতন আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও সে কোনোরকম তোয়াক্কা না করে আমাকে বারবার হেনস্তা করেছে। যার কারণে আমি তাঁর বেতন আটকে রেখেছি। এই ঘটনায় যদি আমার কোনো শাস্তি হয় হোক। আপনাদেরও যা ইচ্ছা তা লিখে দেন।’
ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়মের কারণে কোনো কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হলেও তাঁকে পরিবার পরিজন চালাতে খোরপোষ দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। এরপরও তাঁর বেতন আটকে রাখার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও বিধিবহির্ভূত কাজ। আমি ডিসেম্বর মাসের বেতন শিটে সুমনসহ চারজনের নাম সংযুক্ত করিয়ে এতে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। কিন্তু এরপরও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কেন তা আটকে রেখেছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
‘তবে জানুয়ারি মাসের বেতন শিটেও ওই অফিস সহায়ককে বাদ দিয়ে অপর তিনজনের নাম সংযুক্ত করে স্বাক্ষরের জন্য আমার দপ্তরে আনা হয়। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটার কারণে আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি।’ বলেন ইউএনও।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে মোয়াজ্জেম হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নব বিবি। একই সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম আল মামুনের অনুসারী বানানো এবং তাকে চোর সাব্যস্ত করতে সহযোগিতা না করার অভিযোগে মিথ্যা হয়রানি করার অভিযোগে এনে অফিস সহায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন সুমনও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অফিস সহায়কের বেতন ও ভ্রমণ বিল আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাব বিবি জলির বিরুদ্ধে। গত রোববার ভুক্তভোগী অফিস সহায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী অফিস সহায়ক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সুমন বলেন, ‘আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ এস এম আল মামুন আমাকে স্নেহ করতেন। আর এ কারণেই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে তাঁর (সাবেক চেয়ারম্যান) রাজনীতির অনুসারী বানিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছেন।’
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার দাবি করে অফিস সহায়ক সুমন বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানকে চোর সাব্যস্ত করতে আমাকে সহযোগিতা করতে বলেন। কিন্তু আমি এতে রাজি না হওয়ায় চাকরিচ্যুত করার ভয় দেখান। এরপর থেকে তিনি আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আটকে দেন দুই মাসের বেতন। শুধু বেতন নয়, আটকে দিয়েছেন আগের উপজেলা চেয়ারম্যানের সময়ে স্বাক্ষর হওয়া ভ্রমণ বিলের টাকাও। বর্তমানে বেতন আটকা থাকার কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।’
আরেক অফিস সহায়ক আজিম উদ্দিন বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান সুমনের নাম বাদ দিয়ে তাঁদের তিনজনের বেতনের শিট তৈরি করতে বলেছিলেন। সেভাবে শিট তৈরি করা হয়। কিন্তু ইউএনও সুমনসহ চারজনের বেতনের শিট তৈরি করতে বলেন। তা না হলে তিনি স্বাক্ষর করবেন না বলে জানান। এ কারণে সুমনের পাশাপাশি আমাদেরও বেতনও আটকা পড়ে আছে।’
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাব বিবি বলেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন সুমন একজন অফিস সহায়ক হয়েও আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। তাই আমি তার নাম বাদ দিয়ে তিনজনের বেতন শিট তৈরি করতে বলেছি। কিন্তু সেটাতে ইউএনও স্বাক্ষর করেননি। এ কারণে সবার বেতন আটকে রয়েছে।’
বিধি বহির্ভূতভাবে বেতন আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও সে কোনোরকম তোয়াক্কা না করে আমাকে বারবার হেনস্তা করেছে। যার কারণে আমি তাঁর বেতন আটকে রেখেছি। এই ঘটনায় যদি আমার কোনো শাস্তি হয় হোক। আপনাদেরও যা ইচ্ছা তা লিখে দেন।’
ইউএনও কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়মের কারণে কোনো কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হলেও তাঁকে পরিবার পরিজন চালাতে খোরপোষ দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। এরপরও তাঁর বেতন আটকে রাখার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও বিধিবহির্ভূত কাজ। আমি ডিসেম্বর মাসের বেতন শিটে সুমনসহ চারজনের নাম সংযুক্ত করিয়ে এতে স্বাক্ষর করে দিয়েছি। কিন্তু এরপরও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কেন তা আটকে রেখেছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।’
‘তবে জানুয়ারি মাসের বেতন শিটেও ওই অফিস সহায়ককে বাদ দিয়ে অপর তিনজনের নাম সংযুক্ত করে স্বাক্ষরের জন্য আমার দপ্তরে আনা হয়। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটার কারণে আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি।’ বলেন ইউএনও।
এর আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে মোয়াজ্জেম হোসেন সুমনের বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নব বিবি। একই সময়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম আল মামুনের অনুসারী বানানো এবং তাকে চোর সাব্যস্ত করতে সহযোগিতা না করার অভিযোগে মিথ্যা হয়রানি করার অভিযোগে এনে অফিস সহায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন সুমনও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
২ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
২ ঘণ্টা আগে