চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে পাকা ধান। কেউ পাকা ধান কাটছেন, কেউ মাড়াই শেষে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রমজান ও ঈদ আসন্ন হওয়ায় ঘাটতি রয়েছে শ্রমিকের। এমন অবস্থায় হিমশিম খাচ্ছেন নোয়াখালীর চাটখিলের কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক কম এসেছেন। তবে কয়েকটি এলাকায় হারভেস্টর মেশিন আসার কারণে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন কৃষকেরা। হারভেস্টর মেশিনের কারণে একেবারে ধান কাটা, ধান মাড়াই এবং ধান বস্তায় ভরা হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ কিছুটা বাড়তি হলেও শ্রমিকের জোগান পূরণ হচ্ছে।
কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি অনেক কম হয়েছে। খালবিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। এমন অবস্থায় পানি দিতে পারেননি কৃষকেরা। জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদনে বাড়তি খরচ হয়েছে। আগে এক বিঘা জমিতে সেচের খরচ হতো ১ হাজার ৫০০ টাকার মতো। কিন্তু এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকার ওপরে।
তারা আরও জানান, ধান মাড়াই এবং ধান কাটার শ্রমিক খরচ বেড়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এসব কারণে বোরো ধান উৎপাদনের খরচ বেড়েছে।
রাজ্জাকপুর গ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টি তেমন ছিল না। গত বছরের চেয়ে এবার সেচ খরচ বেশি হয়েছে। আগাছা নিড়ানি, মাটি কাছলানি, পরিমাণমতো সার-কীটনাশক দিতে গিয়ে ব্যয় বেড়েছে। তবে আমাদের এলাকার প্রতিটি মাঠে এখন পাকা ধান দোল খাচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। মাঠের দিকে চোখ পড়লে মনটা আনন্দে ভরে যায়।’
খালিশপাড়া গ্রামের বর্গাচষি কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার এখনো ধান কেনা শুরু করেনি। গত বছর ১ হাজার ৮০ টাকা মণ হিসেবে ধান কিনেছিল। গতবারের দামে ধান কিনলে আমাদের লোকসান হবে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইব্রিড ধান ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে উপজেলার প্রায় সব এলাকায়। উপজেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষককে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আবাদ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ধান পাওয়া যেতে পারে বলে আশা তাঁদের।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্রামে গ্রামে কৃষক স্কুল মাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলে গতবারের চেয়ে ভালো উৎপাদন হবে এ বছর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি, কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ফসল ঘরে তোলা শুরু হয়েছে। কৃষি কার্যালয় থেকে ধান কেনার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার আলোকে অচিরেই ঘোষণা দেওয়া হবে।’
মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে পাকা ধান। কেউ পাকা ধান কাটছেন, কেউ মাড়াই শেষে ঘরে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রমজান ও ঈদ আসন্ন হওয়ায় ঘাটতি রয়েছে শ্রমিকের। এমন অবস্থায় হিমশিম খাচ্ছেন নোয়াখালীর চাটখিলের কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান কাটা শ্রমিক কম এসেছেন। তবে কয়েকটি এলাকায় হারভেস্টর মেশিন আসার কারণে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন কৃষকেরা। হারভেস্টর মেশিনের কারণে একেবারে ধান কাটা, ধান মাড়াই এবং ধান বস্তায় ভরা হয়ে যাচ্ছে। এতে খরচ কিছুটা বাড়তি হলেও শ্রমিকের জোগান পূরণ হচ্ছে।
কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি অনেক কম হয়েছে। খালবিলে পর্যাপ্ত পানি নেই। এমন অবস্থায় পানি দিতে পারেননি কৃষকেরা। জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদনে বাড়তি খরচ হয়েছে। আগে এক বিঘা জমিতে সেচের খরচ হতো ১ হাজার ৫০০ টাকার মতো। কিন্তু এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার টাকার ওপরে।
তারা আরও জানান, ধান মাড়াই এবং ধান কাটার শ্রমিক খরচ বেড়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। এসব কারণে বোরো ধান উৎপাদনের খরচ বেড়েছে।
রাজ্জাকপুর গ্রামের কৃষক কবির হোসেন বলেন, ‘এ বছর বৃষ্টি তেমন ছিল না। গত বছরের চেয়ে এবার সেচ খরচ বেশি হয়েছে। আগাছা নিড়ানি, মাটি কাছলানি, পরিমাণমতো সার-কীটনাশক দিতে গিয়ে ব্যয় বেড়েছে। তবে আমাদের এলাকার প্রতিটি মাঠে এখন পাকা ধান দোল খাচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় ফলন ভালো হয়েছে। মাঠের দিকে চোখ পড়লে মনটা আনন্দে ভরে যায়।’
খালিশপাড়া গ্রামের বর্গাচষি কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার এখনো ধান কেনা শুরু করেনি। গত বছর ১ হাজার ৮০ টাকা মণ হিসেবে ধান কিনেছিল। গতবারের দামে ধান কিনলে আমাদের লোকসান হবে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইব্রিড ধান ও স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে উপজেলার প্রায় সব এলাকায়। উপজেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষককে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আবাদ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন ধান পাওয়া যেতে পারে বলে আশা তাঁদের।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমরা গ্রামে গ্রামে কৃষক স্কুল মাঠের মাধ্যমে বিভিন্ন কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলে গতবারের চেয়ে ভালো উৎপাদন হবে এ বছর।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি, কৃষকের স্বপ্নের সোনালি ফসল ঘরে তোলা শুরু হয়েছে। কৃষি কার্যালয় থেকে ধান কেনার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনার আলোকে অচিরেই ঘোষণা দেওয়া হবে।’
সিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা-গুলির অভিযোগে করা মামলায় সিলেট মহানগর যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেকবির বলেন, ‘আমার ছেলে তো কোনো রাজনীতি করত না। কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে কেন এভাবে তাকে হত্যা করা হলো? সায়েম দেশের জন্য শহীদ হলেও সরকার থেকে বা অন্য কেউ কোনো খবর নিতে আসেনি।’
২৪ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলমান আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে আগামী সোমবার পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
৩৬ মিনিট আগেগাংনী উপজেলায় নেপিয়ার ঘাসসহ অন্যান্য গোখাদ্যের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় ঘাসের দাম কমছে না। স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন, নেপিয়ার ঘাস চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁরা অন্য ফসল বাদ দিয়ে ঘাস চাষে মনোযোগ দিচ্ছেন।
৩৭ মিনিট আগে