হিমেল চাকমা
রাঙামাটি: ভাগনের গলার সমস্যা নিয়ে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য রঙামাটি মেডিকেল কলেজ সংযুক্ত জেনারেল হাসপাতালে এসেছিলেন মো. হালিম। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসক তাঁদের চট্টগ্রামে যেতে বলেছেন। উপজেলা থেকে জেলায় এসেও চিকিৎসা সেবা না মেলার এই অভিজ্ঞতা শুধু মো. হালিমের নয়। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও এর সংযুক্ত রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পরিস্থিতি ঠিক এমনই। প্রতিদিনই অসংখ্য রোগীকে এখান থেকে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় গাইনি সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের।
প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পরও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে অস্থায়ী ভবনে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এক শ শয্যার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালকে ভিত্তি করে ২০১৫ সালে ১০ জানুয়ারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের জন্য নির্মিত তিনতলা ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস করে যাত্রা শুরু করে মেডিকেল কলেজ। এখনো সেখানেই রয়েছে কলেজটি। কলেজটির নামে গড়ে ওঠেনি কোনো অবকাঠামো। ফলে হাসপাতালটি থেকে রোগীরা যেমন সেবা পাচ্ছেন না, তেমনি মেডিকেল কলেজে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের জন্যও রোগীদের যেতে হচ্ছে চট্টগ্রামে।
মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা সংকটের কারণে রোগীদের প্রত্যাশিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেডিকেলের চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো সেবা পাওয়া যায় না। মেডিকেল কলেজের সব বিভাগ চালু থাকলেও এসব বিভাগের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে সেবা দেন না। তাঁরা শুধু পাঠদানে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন। বিকেলে কোনো প্রসূতিকে হাসপাতালে আনা হলে তার জন্য কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ থেকে আমরা যে সেবা পাওয়ার আশা করেছিলাম, সে আশা আমাদের পূরণ হয়নি। মেডিকেলে পাঠদান শেষে তাঁরা চট্টগ্রামে চলে যান। রাঙামাটির কোনো রোগীকে সামান্য অস্ত্রোপচারের জন্যও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ মেডিকেল কলেজ শুধু নামেই আছে, কাজে নেই।’
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালটি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা সেখানে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা।
কিন্তু রোগীদের অভিযোগ, দুপুরের পর হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে গাইনি রোগীরা। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টা সেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেটি হচ্ছে না।
তবে এমন পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসকেরা অবকাঠামো সংকটের কথাই বললেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শওকত আকবর বলেন, ‘যা আছে তা দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মেডিকেল পূর্ণাঙ্গভাবে করা হলে সেবা আরও বাড়বে। সময় লাগবে।’
রোগীদের সেবা না পাওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের এক চাকিৎসক বলেন, ‘রোগীরা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না—এটি শতভাগ ঠিক। মেডিকেলের চিকিৎসকেরা রোগী দেখবেন যে, সে পরিবেশ তো তৈরি করা যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকদের বসার কক্ষও নেই। তাঁরা সেবা দিতে চান। কিন্তু সে পরিবেশ গড়ে তোলা হয়নি। এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়কে ভাবতে হবে। জরাজীর্ণ অস্ত্রোপচার কক্ষে লাইট জ্বলে না ঠিকমতো। এ সমস্যার মধ্যে অস্ত্রোপচার করে কোনো চিকিৎসক তো বদনামের ভাগীদার হতে চান না।’
এই চিকিৎসকের কথার সত্যতাও পাওয়া গেল। হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র একটি অস্ত্রোপচার কক্ষ। সব ধরনের অস্ত্রোপচার এই কক্ষেই করতে হয়। সেটিও মানসম্মত নয় ও খুব ছোট। অস্ত্রোপচারের আধুনিক সরঞ্জামের অভাব তো রয়েছেই। এদিকে মেডকেল কলেজে বর্তমানে পাঁচটি ব্যাচে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রথম ব্যাচের ৫০ জন আগামী নভেম্বরে চিকিৎসক হিসেবে সনদ পাবেন। কিন্তু কলেজটিতে তাঁদের শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করার পরিবেশ ছিল না। এই যখন অবস্থা, তখনও কোনো হেলদোল নেই সংশ্লিষ্টদের। ছয় বছরেও মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।
যদিও রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সময়ের সঙ্গে হাসপাতালটিতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। মেডিকেলের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে সময় দিলে সেবার মান আরও বাড়বে। সেবার মান উন্নয়নে হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্স-রের ব্যবস্থাও করা হয়েছে, যা আগে ছিল না।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রীতি প্রসুন বড়ুয়া আজকের বলেন, ‘নানা সংকটের মধ্যে মেডিকেলের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে আমাদের। শুধু রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তা নয়। মেডিকেল শিক্ষার্থীরাও হাতে–কলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা ব্যাবহারিক ক্লাস করতে পারছেন না। অবকাঠামো সংকট তীব্র হওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে।’ উদহারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক যখন ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ওয়ার্ডে যান, তখন সেখানে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা থাকে না।’
অবকাঠামোগত বিভিন্ন সংকটের কথা তুলে ধরে কলেজটির অধ্যক্ষ বলেন, ‘শুধু চিকিৎসক থাকলেই তো হবে না। অন্য সুবিধাগুলো থাকতে হবে। এখানে বিদ্যমান নানা সংকট দূর করা হলে মেডিকেলের প্রত্যাশিত সেবা দেওয়া সম্ভব। অথচ মেডিকেল কলেজের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। ফলে এ সেবা পেতে আরও সাত–আট বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।’
তবে আগের চেয়ে চিকিৎসা সেবার মান বেড়েছে দাবি করে রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, ‘বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবার কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। তারপরও মানতে হবে যে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের সেবার মান অতীতের চেয়ে অনেকে বেড়েছে। হাসপাতালের আয়ের খাতা অন্তত তাই বলে। মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা সময় দিলে রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবেন।’
সিভিল সার্জনের মতোই চিকিৎসকের দিকেই আঙুল তাক করলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে স্বাস্থ্য বিভাগটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তিনি বলছেন, হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত নয়। এ বিষয়ে অংসুই প্রু চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, কিন্তু তাঁরা সেবা দেন না।’ অবকাঠামো সংকটের ব্যাপারে অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘জেলা পরিষদ চাইলে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করতে পারে না। হাসপাতাল ভবন নির্মাণ জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।’
রাঙামাটি: ভাগনের গলার সমস্যা নিয়ে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য রঙামাটি মেডিকেল কলেজ সংযুক্ত জেনারেল হাসপাতালে এসেছিলেন মো. হালিম। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসক তাঁদের চট্টগ্রামে যেতে বলেছেন। উপজেলা থেকে জেলায় এসেও চিকিৎসা সেবা না মেলার এই অভিজ্ঞতা শুধু মো. হালিমের নয়। রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও এর সংযুক্ত রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পরিস্থিতি ঠিক এমনই। প্রতিদিনই অসংখ্য রোগীকে এখান থেকে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় গাইনি সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের।
প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পরও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম চলছে অস্থায়ী ভবনে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এক শ শয্যার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালকে ভিত্তি করে ২০১৫ সালে ১০ জানুয়ারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটের জন্য নির্মিত তিনতলা ভবনে অস্থায়ী ক্যাম্পাস করে যাত্রা শুরু করে মেডিকেল কলেজ। এখনো সেখানেই রয়েছে কলেজটি। কলেজটির নামে গড়ে ওঠেনি কোনো অবকাঠামো। ফলে হাসপাতালটি থেকে রোগীরা যেমন সেবা পাচ্ছেন না, তেমনি মেডিকেল কলেজে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ছোটখাটো অস্ত্রোপচারের জন্যও রোগীদের যেতে হচ্ছে চট্টগ্রামে।
মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা সংকটের কারণে রোগীদের প্রত্যাশিত সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেডিকেলের চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো সেবা পাওয়া যায় না। মেডিকেল কলেজের সব বিভাগ চালু থাকলেও এসব বিভাগের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে সেবা দেন না। তাঁরা শুধু পাঠদানে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন। বিকেলে কোনো প্রসূতিকে হাসপাতালে আনা হলে তার জন্য কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ থেকে আমরা যে সেবা পাওয়ার আশা করেছিলাম, সে আশা আমাদের পূরণ হয়নি। মেডিকেলে পাঠদান শেষে তাঁরা চট্টগ্রামে চলে যান। রাঙামাটির কোনো রোগীকে সামান্য অস্ত্রোপচারের জন্যও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ মেডিকেল কলেজ শুধু নামেই আছে, কাজে নেই।’
যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালটি মেডিকেল কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা সেখানে আসা রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা।
কিন্তু রোগীদের অভিযোগ, দুপুরের পর হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ে গাইনি রোগীরা। এ বিভাগে ২৪ ঘণ্টা সেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেটি হচ্ছে না।
তবে এমন পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসকেরা অবকাঠামো সংকটের কথাই বললেন। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শওকত আকবর বলেন, ‘যা আছে তা দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মেডিকেল পূর্ণাঙ্গভাবে করা হলে সেবা আরও বাড়বে। সময় লাগবে।’
রোগীদের সেবা না পাওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের এক চাকিৎসক বলেন, ‘রোগীরা প্রত্যাশিত সেবা পাচ্ছে না—এটি শতভাগ ঠিক। মেডিকেলের চিকিৎসকেরা রোগী দেখবেন যে, সে পরিবেশ তো তৈরি করা যায়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকদের বসার কক্ষও নেই। তাঁরা সেবা দিতে চান। কিন্তু সে পরিবেশ গড়ে তোলা হয়নি। এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়কে ভাবতে হবে। জরাজীর্ণ অস্ত্রোপচার কক্ষে লাইট জ্বলে না ঠিকমতো। এ সমস্যার মধ্যে অস্ত্রোপচার করে কোনো চিকিৎসক তো বদনামের ভাগীদার হতে চান না।’
এই চিকিৎসকের কথার সত্যতাও পাওয়া গেল। হাসপাতালটিতে রয়েছে মাত্র একটি অস্ত্রোপচার কক্ষ। সব ধরনের অস্ত্রোপচার এই কক্ষেই করতে হয়। সেটিও মানসম্মত নয় ও খুব ছোট। অস্ত্রোপচারের আধুনিক সরঞ্জামের অভাব তো রয়েছেই। এদিকে মেডকেল কলেজে বর্তমানে পাঁচটি ব্যাচে ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। প্রথম ব্যাচের ৫০ জন আগামী নভেম্বরে চিকিৎসক হিসেবে সনদ পাবেন। কিন্তু কলেজটিতে তাঁদের শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করার পরিবেশ ছিল না। এই যখন অবস্থা, তখনও কোনো হেলদোল নেই সংশ্লিষ্টদের। ছয় বছরেও মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি।
যদিও রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, সময়ের সঙ্গে হাসপাতালটিতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। মেডিকেলের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে সময় দিলে সেবার মান আরও বাড়বে। সেবার মান উন্নয়নে হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, এক্স-রের ব্যবস্থাও করা হয়েছে, যা আগে ছিল না।
মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রীতি প্রসুন বড়ুয়া আজকের বলেন, ‘নানা সংকটের মধ্যে মেডিকেলের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে আমাদের। শুধু রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তা নয়। মেডিকেল শিক্ষার্থীরাও হাতে–কলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁরা ব্যাবহারিক ক্লাস করতে পারছেন না। অবকাঠামো সংকট তীব্র হওয়ার কারণেই এমনটা হচ্ছে।’ উদহারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক যখন ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ওয়ার্ডে যান, তখন সেখানে দাঁড়ানোর মতো অবস্থা থাকে না।’
অবকাঠামোগত বিভিন্ন সংকটের কথা তুলে ধরে কলেজটির অধ্যক্ষ বলেন, ‘শুধু চিকিৎসক থাকলেই তো হবে না। অন্য সুবিধাগুলো থাকতে হবে। এখানে বিদ্যমান নানা সংকট দূর করা হলে মেডিকেলের প্রত্যাশিত সেবা দেওয়া সম্ভব। অথচ মেডিকেল কলেজের কাজ এখনো শুরুই হয়নি। ফলে এ সেবা পেতে আরও সাত–আট বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।’
তবে আগের চেয়ে চিকিৎসা সেবার মান বেড়েছে দাবি করে রাঙামাটি জেলার সিভিল সার্জন বিপাশ খীসা বলেন, ‘বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেই স্বাস্থ্যসেবার কাজ চালিয়ে নিতে হচ্ছে। তারপরও মানতে হবে যে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের সেবার মান অতীতের চেয়ে অনেকে বেড়েছে। হাসপাতালের আয়ের খাতা অন্তত তাই বলে। মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা সময় দিলে রোগীরা আরও ভালো সেবা পাবেন।’
সিভিল সার্জনের মতোই চিকিৎসকের দিকেই আঙুল তাক করলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে স্বাস্থ্য বিভাগটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু তিনি বলছেন, হাসপাতাল ভবন নির্মাণের কাজ জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত নয়। এ বিষয়ে অংসুই প্রু চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, কিন্তু তাঁরা সেবা দেন না।’ অবকাঠামো সংকটের ব্যাপারে অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, ‘জেলা পরিষদ চাইলে হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করতে পারে না। হাসপাতাল ভবন নির্মাণ জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত নয়।’
ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (জাবি) আফসানা করিম রাচি নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে এবং ৮ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে ‘জাহাঙ্গীরনগর ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা...
১১ মিনিট আগেপাবনার সাঁথিয়ায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রিফিল করার সময় বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের এক গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে...
২৯ মিনিট আগেব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা করিম নিহতের ঘটনায় এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপ-রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপিসমর্থিত কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদকে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
৯ ঘণ্টা আগে