লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি পানত্রিশা এলাকায় বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় বিজয়ী মেম্বার জানে আলম ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বেলা ১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজলার চুনতি পানত্রিশা গ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী রেনু আরা বেগম (৫০), প্রবাসী গফুর আইয়ুবের স্ত্রী নুরুন্নাহার (৫৫), ছেলে মো. তানভীর গফুর (১৭), মৃত জাকের মিয়ার ছেলে নুর আহমদ (৭০), তাঁর স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম (৫৫), ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), জসিম উদ্দিন (৩৮), মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে আব্দুল হাফেজ (৩৮), ছেয়দ আহমদের ছেলে ইয়ারুল হক (৪৫), আলী আহমদের ছেলে বশির আহমদ (৫৫), গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০), মো. আবছারের স্ত্রী রিকু (৩২), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আসমাউল হুসনা (৫০), চুনতি পানত্রিশা গ্রামের মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে মুজিবুর রহমান (৩০), মোজাহার মিয়ার ছেলে মো. দিদারুল আলম (৪০), চুনতি মাহজনপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও বশির আহমদ (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে চুনতি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানত্রিশা এলাকায় বিজয়ী মেম্বার জানে আলম সমর্থকদের নিয়ে এলাকা সফর করেন। পরে স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বাড়ির ফেরার পথে পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। হামলার খবর শুনে জানে আলমের লোকজন জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি পারাঙ্গা গ্রামে ছিলাম। চুনতি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী মেম্বার জানে আলম তাঁর কিছু সমর্থক নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে পারাঙ্গায় এসে আমাকে মিষ্টিমুখ করান। বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকেরা চলে যাওয়ার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিরাজুল ইসলাম এবং তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ সময় নারীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বিজয়ী জানে আলমের কাছে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা অস্বীকার করেন।
আহতদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনায় বিজয়ী মেম্বার মো. জানে আলম প্রকাশ জানু এবং পরাজিত মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় চুনতি পানত্রিশা এলাকায় বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে এ ঘটনায় বিজয়ী মেম্বার জানে আলম ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বেলা ১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপজলার চুনতি পানত্রিশা গ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী রেনু আরা বেগম (৫০), প্রবাসী গফুর আইয়ুবের স্ত্রী নুরুন্নাহার (৫৫), ছেলে মো. তানভীর গফুর (১৭), মৃত জাকের মিয়ার ছেলে নুর আহমদ (৭০), তাঁর স্ত্রী দিলুয়ারা বেগম (৫৫), ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫), জসিম উদ্দিন (৩৮), মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে আব্দুল হাফেজ (৩৮), ছেয়দ আহমদের ছেলে ইয়ারুল হক (৪৫), আলী আহমদের ছেলে বশির আহমদ (৫৫), গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩০), মো. আবছারের স্ত্রী রিকু (৩২), আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আসমাউল হুসনা (৫০), চুনতি পানত্রিশা গ্রামের মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে মুজিবুর রহমান (৩০), মোজাহার মিয়ার ছেলে মো. দিদারুল আলম (৪০), চুনতি মাহজনপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৪৫) ও বশির আহমদ (৩৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে চুনতি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পানত্রিশা এলাকায় বিজয়ী মেম্বার জানে আলম সমর্থকদের নিয়ে এলাকা সফর করেন। পরে স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে যান। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বাড়ির ফেরার পথে পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। হামলার খবর শুনে জানে আলমের লোকজন জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি পারাঙ্গা গ্রামে ছিলাম। চুনতি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী মেম্বার জানে আলম তাঁর কিছু সমর্থক নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে পারাঙ্গায় এসে আমাকে মিষ্টিমুখ করান। বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকেরা চলে যাওয়ার সময় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান ও লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সিরাজুল ইসলাম এবং তাঁর লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ সময় নারীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বিজয়ী জানে আলমের কাছে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা অস্বীকার করেন।
আহতদের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনায় বিজয়ী মেম্বার মো. জানে আলম প্রকাশ জানু এবং পরাজিত মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১১ মিনিট আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার জগতি রেলস্টেশনে আন্তনগর ট্রেন থামানো, স্টেশন আধুনিকায়নসহ ছয় দফা দাবিতে ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের মিঠাপুকুরে জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান আহমেদ (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সোহান ওই গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে