বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের নাজিরারটেক চ্যানেলে ট্রলারডুবির ঘটনায় আজ রোববার বিকেল আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে সকালে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। 

এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়ে। এ নিয়ে নিখোঁজ আটজনের মধ্যে সাতজনের মরদেহ করা হলো। এখনো খোরশেদ আলম বাবু নামে এক জেলে নিখোঁজ রয়েছে। 

আজ বিকেলে উদ্ধার করা জেলেরা হলেন, নাজির হোসেন ও ছৈয়দ নুরুল ইসলাম। তাঁদের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকূল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রামে। 

এর আগে সকালে উদ্ধার হোসেন আহমদ, আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আবছার নামে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় একই এলাকা থেকে আবু তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের বাড়িও খুরুশকূল ইউনিয়নের পূর্ব হামজার ডেইল আদর্শ গ্রাম ও মামুন পাড়ায়। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন সাত জেলের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত জেলেদের স্বজনেরা ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ দাফনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বৈরী আবহাওয়ায় গভীর সাগর থেকে ফিরে আসছিল জাকের হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া নামের মাছ ধরার ট্রলারটি। এদিন বিকেলে ট্রলারটি মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপের কাছে নাজিরারটেক চ্যানেলে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। এই ট্রলারে থাকা ১৯ জেলের মধ্যে ৮ জনকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এরপর অন্য ট্রলারের সহায়তায় আরও তিনজন জেলে কূলে ফিরে আসেন। নিখোঁজ হন আটজন। এর মধ্যে সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।