প্রতিনিধি, হাতিয়া (নোয়াখালী)
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১১ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সবশেষে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগর থেকে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। এই ঘটনায় ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে জেলেরা।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এর আগে ১৫ আগস্ট একজন ও ১৬ আগস্ট রাতে আরও তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে একটি ছোট ট্রলারে ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে এই নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, ভাসানচরে আশ্রায়নের ৫৪ নং ক্লাস্টারের আমির হামজার ছেলে হাফেজ উদ্দিন (১০), ৫৩ নং ক্লাস্টারের বশির আহম্মেদের স্ত্রী লাইলি (২০), ৫ নং ক্লাস্টারের রহিম উল্লার স্ত্রী সেতারা বেগম (২৬), ৫৪ নং ক্লাস্টারের রফিকের স্ত্রী মিনারা বেগম (২৫), ৫৪ নং ক্লাস্টারের ওসমান গনির ছেলে রফিক (২৭), ৫৪ নং ক্লাস্টারের রফিকের মেয়ে রাজুমা (৫), ৫৩ নং ক্লাস্টারের রসিদ আহম্মেদের ছেলে আবুল বাসার (৯), ৫৩ ক্লাস্টারের রশিদ আহম্মেদের মেয়ে নুর কালিমা (২), ৫৩ নং ক্লাস্টারের রশিদ আহম্মেদের মেয়ে তাছলিমা (৬), ৫ নং ক্লাস্টারের রহিম উল্লার মেয়ে নুর আয়েশা (২ মাস), ৫০ নং ক্লাস্টারের আব্দুর রহমানের মেয়ে নুর আয়েশাসহ (৩ মাস) ১১ জন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত সময় পানিতে থেকে মরদেহ গুলি বিকৃত হয়ে গেছে। নিহত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নির্ধারিত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মো. রফিকুল ইসলাম আরও জানান, এই ঘটনায় আরও ১৬ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। গত কয়েক দিন অভিযান করে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে জেলেরা ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজন আব্দুর রহমান (৪৫) জানান, গত শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ভাসানচর থেকে ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। ডুবে যাওয়া ট্রলারে ৪২ জন রোহিঙ্গা ছিল। দুই ঘণ্টা চলার পর ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে প্রবল বাতাসে ডুবে যায়। এ সময় অন্যদের সঙ্গে তার পরিবারের আরও ৬ সদস্য নিখোঁজ হয়। পরে চট্টগ্রামের একটি মাছধরা ট্রলার তাকে উদ্ধার করে। অন্য একটি ট্রলারে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ৫ সন্তান এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই এক শ্রেণির রোহিঙ্গা গোষ্ঠী এই চর থেকে পালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সবশেষ গত ১২ আগস্ট ৮ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার সময় নোয়াখালী সুবর্ণচর থেকে আটক হন। পরে পুলিশের লোকজন তাঁদেরকে পুনরায় ভাসানচর পৌঁছে দেয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬ শত ৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এর পরে আরও ৬টি ধাপে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩ শত ৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে।
ভাসানচর থেকে পালানোর সময় ট্রলার ডুবির ঘটনায় ১১ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সবশেষে মঙ্গলবার রাতে বঙ্গোপসাগর থেকে ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। এই ঘটনায় ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে জেলেরা।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এর আগে ১৫ আগস্ট একজন ও ১৬ আগস্ট রাতে আরও তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে একটি ছোট ট্রলারে ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে এই নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, ভাসানচরে আশ্রায়নের ৫৪ নং ক্লাস্টারের আমির হামজার ছেলে হাফেজ উদ্দিন (১০), ৫৩ নং ক্লাস্টারের বশির আহম্মেদের স্ত্রী লাইলি (২০), ৫ নং ক্লাস্টারের রহিম উল্লার স্ত্রী সেতারা বেগম (২৬), ৫৪ নং ক্লাস্টারের রফিকের স্ত্রী মিনারা বেগম (২৫), ৫৪ নং ক্লাস্টারের ওসমান গনির ছেলে রফিক (২৭), ৫৪ নং ক্লাস্টারের রফিকের মেয়ে রাজুমা (৫), ৫৩ নং ক্লাস্টারের রসিদ আহম্মেদের ছেলে আবুল বাসার (৯), ৫৩ ক্লাস্টারের রশিদ আহম্মেদের মেয়ে নুর কালিমা (২), ৫৩ নং ক্লাস্টারের রশিদ আহম্মেদের মেয়ে তাছলিমা (৬), ৫ নং ক্লাস্টারের রহিম উল্লার মেয়ে নুর আয়েশা (২ মাস), ৫০ নং ক্লাস্টারের আব্দুর রহমানের মেয়ে নুর আয়েশাসহ (৩ মাস) ১১ জন।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত সময় পানিতে থেকে মরদেহ গুলি বিকৃত হয়ে গেছে। নিহত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নির্ধারিত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মো. রফিকুল ইসলাম আরও জানান, এই ঘটনায় আরও ১৬ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। গত কয়েক দিন অভিযান করে ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে জেলেরা ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে একজন আব্দুর রহমান (৪৫) জানান, গত শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলারটি ভাসানচর থেকে ছেড়ে যায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। ডুবে যাওয়া ট্রলারে ৪২ জন রোহিঙ্গা ছিল। দুই ঘণ্টা চলার পর ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে প্রবল বাতাসে ডুবে যায়। এ সময় অন্যদের সঙ্গে তার পরিবারের আরও ৬ সদস্য নিখোঁজ হয়। পরে চট্টগ্রামের একটি মাছধরা ট্রলার তাকে উদ্ধার করে। অন্য একটি ট্রলারে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় তিনি ও তাঁর স্ত্রী জীবিত উদ্ধার হলেও ৫ সন্তান এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই এক শ্রেণির রোহিঙ্গা গোষ্ঠী এই চর থেকে পালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সবশেষ গত ১২ আগস্ট ৮ জন রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার সময় নোয়াখালী সুবর্ণচর থেকে আটক হন। পরে পুলিশের লোকজন তাঁদেরকে পুনরায় ভাসানচর পৌঁছে দেয়।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬ শত ৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। এর পরে আরও ৬টি ধাপে আসা নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩ শত ৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৭ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৮ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৯ ঘণ্টা আগে