ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
অবশেষে এক মাস পর আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। কাল থেকে সব আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন আইনজীবীরা। তবে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর মোহাম্মদ ফারুকের আদালতের কোনো বিচারিক কাজে অংশ নেবেন না তাঁরা। আজ সোমবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি বিশেষ সাধারণ সভা শেষে এ কথা জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বদলি না হবে, ততক্ষণ আমরা তাঁর আদালতে যাব না।’
এদিকে, আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে দুর্ভোগে থাকা বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এক মাসের ওপরে আদালত বন্ধ। ফলে আসামিরা জামিন পাচ্ছেন না, আবার আদালতে মামলাও দায়ের করা যাচ্ছে না।
তানজিনা (২৫) নামে এক বিচারপ্রার্থী আজকের প্রতিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে নিয়মিত নির্যাতন করে। থানায় গিয়েছিলাম মামলা নেয়নি। বলল আদালতে করার জন্য। শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছি। শুনছি কাল আদালত খুলবে।’
বিচারপ্রার্থী আজগর আলী বলেন, ‘আমার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছে একটি চক্র। কাজ বন্ধের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করতে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি।’ আমেনা বেগম নামে বয়স্ক নারী বিচারপ্রার্থী বলেন, ‘ছেলে কারাগারে। কোর্টও খোলে না, জামিনও হয় না।’
এই ব্যাপারে জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন কোট বন্ধ থাকার কারণে মামলার জটলা সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল থেকে আইনজীবীরা আদালতে এলে বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ কমবে।’
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ আইনজীবীদের। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। পরে দাবি আদায় না হওয়ায় ৮ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
গতকাল রোববার আদালতের অচলাবস্থা নিরসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগারসহ বিচারকেরা এবং জেলা আইনজীবী সমিতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আইনজীবী। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন এবং তাঁরা আগামীকাল আদালতে যাবেন। এরপর আজ সকালে জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ আহ্বান সভা করে।
অবশেষে এক মাস পর আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। কাল থেকে সব আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন আইনজীবীরা। তবে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর মোহাম্মদ ফারুকের আদালতের কোনো বিচারিক কাজে অংশ নেবেন না তাঁরা। আজ সোমবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি বিশেষ সাধারণ সভা শেষে এ কথা জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বদলি না হবে, ততক্ষণ আমরা তাঁর আদালতে যাব না।’
এদিকে, আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার খবরে দুর্ভোগে থাকা বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এক মাসের ওপরে আদালত বন্ধ। ফলে আসামিরা জামিন পাচ্ছেন না, আবার আদালতে মামলাও দায়ের করা যাচ্ছে না।
তানজিনা (২৫) নামে এক বিচারপ্রার্থী আজকের প্রতিকাকে বলেন, ‘আমার স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে নিয়মিত নির্যাতন করে। থানায় গিয়েছিলাম মামলা নেয়নি। বলল আদালতে করার জন্য। শুধু ঘুরে বেড়াচ্ছি। শুনছি কাল আদালত খুলবে।’
বিচারপ্রার্থী আজগর আলী বলেন, ‘আমার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছে একটি চক্র। কাজ বন্ধের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করতে ১৫ দিন ধরে ঘুরছি।’ আমেনা বেগম নামে বয়স্ক নারী বিচারপ্রার্থী বলেন, ‘ছেলে কারাগারে। কোর্টও খোলে না, জামিনও হয় না।’
এই ব্যাপারে জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন কোট বন্ধ থাকার কারণে মামলার জটলা সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল থেকে আইনজীবীরা আদালতে এলে বিচারপ্রার্থী জনগণের দুর্ভোগ কমবে।’
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ আইনজীবীদের। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে বিচারক ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। পরে দাবি আদায় না হওয়ায় ৮ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুনরায় আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
গতকাল রোববার আদালতের অচলাবস্থা নিরসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা দায়রা জজ শারমিন নিগারসহ বিচারকেরা এবং জেলা আইনজীবী সমিতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আইনজীবী। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আইনজীবীরা আদালত বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন এবং তাঁরা আগামীকাল আদালতে যাবেন। এরপর আজ সকালে জেলা আইনজীবী সমিতি সাধারণ আহ্বান সভা করে।
বিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
৪ মিনিট আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
৮ মিনিট আগেফেনীর পরশুরামে কলেজছাত্র এমরান হোসেন রিফাত হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
৩৫ মিনিট আগেসিলেটে ২৮০ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আকবর মিয়া (৪২) নামের এক ট্রাকচালককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
৩৮ মিনিট আগে