সাদ্দাম হোসেন, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সর্বত্র এলপিজি গ্যাসের বাজারে নৈরাজ্য চলছে। সরকারনির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। হঠাৎ করে অধিক মূল্যে সিলিন্ডার বিক্রি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে দেশে প্রথমবারের মতো বোতলজাত লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলপিজি) ও অটো গ্যাসের দাম নির্ধারণের পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। সেই সঙ্গে এ দুই গ্যাসের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূসকসহ প্রতি কেজি ১৮ টাকা ৮৫ পয়সা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে। গত মাসে কেজিপ্রতি বোতলজাত এলপিজির দাম ছিল ৮৬ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ এখন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার পেতে খরচ হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এই এলপি গ্যাসের মূল্য এখন লাগামহীন। আখাউড়া উপজেলায় বর্তমানে একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন প্রতি ১২ কেজি এলপি গ্যাসের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ১ হাজার ২৫৯ টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকারও বেশি দামে। এতে করে সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এলপি গ্যাসের দাম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আখাউড়া উপজেলার একাধিক গ্যাস বিক্রেতা বলেন, `আমরা ডিলার থেকে গ্যাস ক্রয় করে অল্প লাভে বিক্রি করি। এতে আমাদের অল্প লাভ হয়। অপরদিকে, উপজেলায় মুদি-মনিহারি দোকান, ক্রোকারিজের দোকান, ভুসি মালের দোকান এবং রড-সিমেন্টের দোকানসহ যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানি তাঁদের দোকানের সামনে রাস্তার পাশে রেখেই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। এতে রয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
পৌরসভার কলেজপাড়ার গৃহিণী সাদিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার সময় এলপি গ্যাসের মূল্য ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা করে। এখন প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা করে। এর পরেও শ্রমিক খরচ আরও ৫০ টাকা অতিরিক্ত লেগে যায়।
মোগড়া বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, প্রতি ৩০ কেজি এলপি গ্যাসের ক্রয়মূল্য ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। এখন প্রতি সিলিন্ডারে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। এতে করে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
আখাউড়ার যমুনা ও পেট্রোম্যাক্স এলপিজি ডিলার আব্দুল ছামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমরা দোকানদারদের কাছে পাইকারি মূল্যে ১২ কেজি গ্যাস বিক্রি করে থাকি ১ হাজার ২১০ টাকায়। দোকানদারেরা এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। আবার কোম্পানি অনুযায়ী দামেরও কিছুটা এদিক-সেদিক হয়ে থাকে।
আব্দুছ ছামাদ আরও বলেন, প্রয়োজনীয় এই এলপি গ্যাসের মূল্য প্রতি মাসেই ওঠানামা করছে। কিন্তু কখনো সরকারনির্ধারিত মূল্যে তা বিক্রি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। মূল্য নিয়ে হয়রানি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সরকার এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন সবাই।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আখাউড়া বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতিপ্রাপ্ত মাত্র ১৫ জন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী রয়েছেন। কিন্তু আখাউড়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে কিংবা না নিয়েই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শত শত দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. মুনীম সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, বিভিন্ন হাটবাজারের ছোট ছোট দোকানিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পর্যায়ে আমাদের ইন্সপেক্টর ও টিমপ্রধান তদন্ত করে গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেন। ডিস্ট্রিবিউটর পর্যায়ের অনুমতি পাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট শর্তাবলি মেনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, `এ ধরনের অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। দাম যদি খুচরা পর্যায়ে নির্ধারণ করা থাকে, সে ক্ষেত্রে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই। আমরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সর্বত্র এলপিজি গ্যাসের বাজারে নৈরাজ্য চলছে। সরকারনির্ধারিত মূল্য থেকে অতিরিক্ত বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। হঠাৎ করে অধিক মূল্যে সিলিন্ডার বিক্রি হওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে দেশে প্রথমবারের মতো বোতলজাত লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলপিজি) ও অটো গ্যাসের দাম নির্ধারণের পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। সেই সঙ্গে এ দুই গ্যাসের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতে ১২ কেজির তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। মূসকসহ প্রতি কেজি ১৮ টাকা ৮৫ পয়সা বাড়িয়ে ১০৪ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে। গত মাসে কেজিপ্রতি বোতলজাত এলপিজির দাম ছিল ৮৬ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ এখন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার পেতে খরচ হবে ১ হাজার ২৫৯ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় এই এলপি গ্যাসের মূল্য এখন লাগামহীন। আখাউড়া উপজেলায় বর্তমানে একটি পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সরকারনির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন প্রতি ১২ কেজি এলপি গ্যাসের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ১ হাজার ২৫৯ টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকারও বেশি দামে। এতে করে সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এলপি গ্যাসের দাম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আখাউড়া উপজেলার একাধিক গ্যাস বিক্রেতা বলেন, `আমরা ডিলার থেকে গ্যাস ক্রয় করে অল্প লাভে বিক্রি করি। এতে আমাদের অল্প লাভ হয়। অপরদিকে, উপজেলায় মুদি-মনিহারি দোকান, ক্রোকারিজের দোকান, ভুসি মালের দোকান এবং রড-সিমেন্টের দোকানসহ যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানি তাঁদের দোকানের সামনে রাস্তার পাশে রেখেই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। এতে রয়েছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
পৌরসভার কলেজপাড়ার গৃহিণী সাদিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনার সময় এলপি গ্যাসের মূল্য ছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা করে। এখন প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা করে। এর পরেও শ্রমিক খরচ আরও ৫০ টাকা অতিরিক্ত লেগে যায়।
মোগড়া বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, প্রতি ৩০ কেজি এলপি গ্যাসের ক্রয়মূল্য ছিল ২ হাজার ২০০ টাকা। এখন প্রতি সিলিন্ডারে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়। এতে করে আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
আখাউড়ার যমুনা ও পেট্রোম্যাক্স এলপিজি ডিলার আব্দুল ছামাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `আমরা দোকানদারদের কাছে পাইকারি মূল্যে ১২ কেজি গ্যাস বিক্রি করে থাকি ১ হাজার ২১০ টাকায়। দোকানদারেরা এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করার চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। আবার কোম্পানি অনুযায়ী দামেরও কিছুটা এদিক-সেদিক হয়ে থাকে।
আব্দুছ ছামাদ আরও বলেন, প্রয়োজনীয় এই এলপি গ্যাসের মূল্য প্রতি মাসেই ওঠানামা করছে। কিন্তু কখনো সরকারনির্ধারিত মূল্যে তা বিক্রি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। মূল্য নিয়ে হয়রানি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে সরকার এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন সবাই।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আখাউড়া বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমতিপ্রাপ্ত মাত্র ১৫ জন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী রয়েছেন। কিন্তু আখাউড়ার ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে কিংবা না নিয়েই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শত শত দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মো. মুনীম সারোয়ার আজকের পত্রিকাকে জানান, বিভিন্ন হাটবাজারের ছোট ছোট দোকানিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পর্যায়ে আমাদের ইন্সপেক্টর ও টিমপ্রধান তদন্ত করে গ্যাস বিক্রির অনুমতি দেন। ডিস্ট্রিবিউটর পর্যায়ের অনুমতি পাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট শর্তাবলি মেনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়।
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, `এ ধরনের অভিযোগ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। দাম যদি খুচরা পর্যায়ে নির্ধারণ করা থাকে, সে ক্ষেত্রে বেশি দামে বিক্রির সুযোগ নেই। আমরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
৮০ বছরের বেশি বয়স আবদুর রশিদের। বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক নানা জটিলতায় দিন পার করছেন তিনি। অভাবের সংসারে চিকিৎসার খরচ কিছুটা হলেও মেটাতে পারতেন সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে দেওয়া বয়স্ক ভাতার টাকা দিয়ে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের নম্বরে তিন মাস পরপর এই টাকা আসে। প্রতিবারের মতো এবারও..
৭ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অন্তবিভাগ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় পৃথক দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
১১ মিনিট আগেগোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলে ট্রাক চাপায় এক ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৬ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা মাজার ভেঙে দিল এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার রাতে রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়িতে গড়ে তোলা বুরহান উদ্দিন (র.) নামের এ মাজার ভেঙে ফেলা হয়।
১৯ মিনিট আগে