ফেনী ও চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
‘রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। বুকসমান পানি। এর মধ্য দিয়ে ছোট সন্তানকে মাথায় নিয়ে পরিবারসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। বন্যায় সব শেষ। ঘর থেকে কোনো কিছুই বের করতে পারিনি। এখন কোথায় থাকব, কী খাব, কিছুই জানি না।’ কথাগুলো ভয়াবহ বন্যাকবলিত ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম রাজুর।
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে প্রবল বন্যায় ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় গতকাল বুধবার এই মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। নৌকার অভাব ও পানির তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তলিয়ে যায় ফুলগাজী ও পরশুরামের বিস্তীর্ণ জনপদ। বন্যার্ত মানুষেরা বলছেন, তাঁরা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন। তাঁরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন।
ফেনীর পরশুরামের সলিয়া এলাকার বাসিন্দা হাবিব স্বপন বলেন, ‘আমাদের ত্রাণের চেয়েও এখন নৌকা বা স্পিডবোট বেশি প্রয়োজন। বন্যা পরিস্থিতি এমন হবে, কেউ বুঝতে পারেনি। অনেকে রাত থেকে উদ্ধার করতে আসছে বললেও তেমন কাউকে দেখা যায়নি। সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। বন্যার সঙ্গে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেক বেশি ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।’
কিসমত ঘনিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ‘ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষদের উদ্ধারে দু-একটি নৌকা কাজ করলেও পানির স্রোতের কারণে গন্তব্য পৌঁছানো কষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও কষ্ট করতে হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতের ত্রিপুরায় ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। এতে পানির চাপ আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।’ পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া এলাকার বৃদ্ধ আবদুর রহমান বলেন, ‘জীবনে এমন ভয়াবহ বন্যা কখনো দেখিনি। সময় বাড়ার সঙ্গে বন্যার পানি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। টানা বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
ফুলগাজীর বন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত ৪০ বছরেও এমন বন্যা দেখিনি। আমার ঘরের ভেতর আড়াই ফুট পর্যন্ত পানি। স্ত্রী-সন্তানদের শহরের আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়েছে। বাড়িতে অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে আমি থেকে গেছি।’
জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম ও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌর শহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নসহ তলিয়ে গেছে পুরো উপজেলার রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালেও ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন স্থানীয়রা।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এত পানি আগে কখনো দেখা যায়নি। মানুষকে উদ্ধারেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনো বৃষ্টির সঙ্গে পানি বাড়ছে।’
এদিকে ফেনীর পাশের জেলা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলাটিতে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বানভাসি মানুষ প্রশাসনের কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় এসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছে না। উপজেলার একটি পৌরসভার ১৩টি ইউনিয়নের ৪২৯টা গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও পানি ঢুকে পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতাল আঙিনায় বুকসমান পানি থাকায় অনেকে আটকা পড়েছে হাসপাতাল ভবনে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুকসমান পানি প্রবেশ করেছে। জরুরি ও বহির্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
‘রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যায়। বুকসমান পানি। এর মধ্য দিয়ে ছোট সন্তানকে মাথায় নিয়ে পরিবারসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। বন্যায় সব শেষ। ঘর থেকে কোনো কিছুই বের করতে পারিনি। এখন কোথায় থাকব, কী খাব, কিছুই জানি না।’ কথাগুলো ভয়াবহ বন্যাকবলিত ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার উত্তর দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম রাজুর।
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে প্রবল বন্যায় ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় গতকাল বুধবার এই মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। নৌকার অভাব ও পানির তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তলিয়ে যায় ফুলগাজী ও পরশুরামের বিস্তীর্ণ জনপদ। বন্যার্ত মানুষেরা বলছেন, তাঁরা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন। তাঁরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন।
ফেনীর পরশুরামের সলিয়া এলাকার বাসিন্দা হাবিব স্বপন বলেন, ‘আমাদের ত্রাণের চেয়েও এখন নৌকা বা স্পিডবোট বেশি প্রয়োজন। বন্যা পরিস্থিতি এমন হবে, কেউ বুঝতে পারেনি। অনেকে রাত থেকে উদ্ধার করতে আসছে বললেও তেমন কাউকে দেখা যায়নি। সোমবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। বন্যার সঙ্গে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় অনেক বেশি ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।’
কিসমত ঘনিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন বলেন, ‘ঘরের ছাদ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষদের উদ্ধারে দু-একটি নৌকা কাজ করলেও পানির স্রোতের কারণে গন্তব্য পৌঁছানো কষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় আরও কষ্ট করতে হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতের ত্রিপুরায় ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। এতে পানির চাপ আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।’ পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া এলাকার বৃদ্ধ আবদুর রহমান বলেন, ‘জীবনে এমন ভয়াবহ বন্যা কখনো দেখিনি। সময় বাড়ার সঙ্গে বন্যার পানি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। টানা বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।’
ফুলগাজীর বন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘গত ৪০ বছরেও এমন বন্যা দেখিনি। আমার ঘরের ভেতর আড়াই ফুট পর্যন্ত পানি। স্ত্রী-সন্তানদের শহরের আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়েছে। বাড়িতে অনেক জিনিসপত্র রয়েছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে আমি থেকে গেছি।’
জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম ও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌর শহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নসহ তলিয়ে গেছে পুরো উপজেলার রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালেও ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন স্থানীয়রা।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এত পানি আগে কখনো দেখা যায়নি। মানুষকে উদ্ধারেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনো বৃষ্টির সঙ্গে পানি বাড়ছে।’
এদিকে ফেনীর পাশের জেলা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামেও ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলাটিতে প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বানভাসি মানুষ প্রশাসনের কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় এসব মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছে না। উপজেলার একটি পৌরসভার ১৩টি ইউনিয়নের ৪২৯টা গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও পানি ঢুকে পড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতাল আঙিনায় বুকসমান পানি থাকায় অনেকে আটকা পড়েছে হাসপাতাল ভবনে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুকসমান পানি প্রবেশ করেছে। জরুরি ও বহির্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে