উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৮ মাদক মামলার পলাতক আসামি, আলোচিত ইয়াবা কারবারি মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (জামাই শফিউল্লাহ) নামে এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শফিউল্লাহকে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উখিয়া থানা–পুলিশ।
গ্রেপ্তার শফিউল্লাহ লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ২ নম্বর শেডের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিউল্লাহ পাচারের উদ্দেশ্যে প্রতি মাসে ৩০-৪০ লাখ ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে উখিয়ার ক্যাম্পে মজুত করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তালিকাভুক্ত এই ইয়াবা কারবারি গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
ওসি জানান, এপিবিএনের সহযোগিতায় শনিবার (২ জুলাই) রাতে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শফিউল্লাহকে আটক করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল উখিয়ার পাতাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে প্রতি মাসে ৯০ থেকে ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ৩০ থেকে ৪০ লাখ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে নানা কৌশলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসার তথ্য দিয়েছে শফিউল্লাহ। সে আরও জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা এসব ইয়াবা একটি চক্রের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।’
শফিউল্লাহ কয়েকজন বড় মাপের রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে ওসি বলেন, ‘তাদের আইনের আওতায় আনতে অনুসন্ধান চলছে।’
এদিকে, নাম না প্রকাশ করার শর্তে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত এক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী বলেন, ‘শফিউল্লাহ প্রশাসনের কাছে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি, সে আরাকানের মংডু থেকে বাংলাদেশে ক্যাম্পে চলে আসে। ওপারের ইয়াবা গডফাদারদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আছে।’
তবে শুধু শফিউল্লাহ নয় অসংখ্য বড় ইয়াবা পাচারকারী ক্যাম্পে আছে উল্লেখ করে এই অধিকারকর্মী বলেন, ‘শফিউল্লাহর মতো রোহিঙ্গা যারা ইয়াবা কারবারে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসলে ক্যাম্প দিয়ে ইয়াবা পাচার কমে আসবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সমন্বিত পরিসংখ্যান বলছে, উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় গত বছর ২০২১ সালে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে উদ্ধার হয়েছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ ইয়াবা ও ২৩ কেজি ৮০২ গ্রাম আইস। গত জুন মাসে বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অন্তত ৬ কেজি আইস ও ২১ লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ছাড়াও এ বছরের প্রথম চার মাসে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় আরও প্রায় ১ কোটি ইয়াবা এবং ৫০ কেজির বেশি আইস উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজার উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৮ মাদক মামলার পলাতক আসামি, আলোচিত ইয়াবা কারবারি মোহাম্মদ শফিউল্লাহ (জামাই শফিউল্লাহ) নামে এক রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শফিউল্লাহকে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উখিয়া থানা–পুলিশ।
গ্রেপ্তার শফিউল্লাহ লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ২ নম্বর শেডের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিউল্লাহ পাচারের উদ্দেশ্যে প্রতি মাসে ৩০-৪০ লাখ ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে উখিয়ার ক্যাম্পে মজুত করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তালিকাভুক্ত এই ইয়াবা কারবারি গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
ওসি জানান, এপিবিএনের সহযোগিতায় শনিবার (২ জুলাই) রাতে লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে শফিউল্লাহকে আটক করা হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল উখিয়ার পাতাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে প্রতি মাসে ৯০ থেকে ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ৩০ থেকে ৪০ লাখ ইয়াবা মিয়ানমার থেকে নানা কৌশলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে আসার তথ্য দিয়েছে শফিউল্লাহ। সে আরও জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা এসব ইয়াবা একটি চক্রের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।’
শফিউল্লাহ কয়েকজন বড় মাপের রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারিদের তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে ওসি বলেন, ‘তাদের আইনের আওতায় আনতে অনুসন্ধান চলছে।’
এদিকে, নাম না প্রকাশ করার শর্তে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত এক রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী বলেন, ‘শফিউল্লাহ প্রশাসনের কাছে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি, সে আরাকানের মংডু থেকে বাংলাদেশে ক্যাম্পে চলে আসে। ওপারের ইয়াবা গডফাদারদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আছে।’
তবে শুধু শফিউল্লাহ নয় অসংখ্য বড় ইয়াবা পাচারকারী ক্যাম্পে আছে উল্লেখ করে এই অধিকারকর্মী বলেন, ‘শফিউল্লাহর মতো রোহিঙ্গা যারা ইয়াবা কারবারে জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসলে ক্যাম্প দিয়ে ইয়াবা পাচার কমে আসবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সমন্বিত পরিসংখ্যান বলছে, উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় গত বছর ২০২১ সালে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে উদ্ধার হয়েছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫০ ইয়াবা ও ২৩ কেজি ৮০২ গ্রাম আইস। গত জুন মাসে বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অন্তত ৬ কেজি আইস ও ২১ লাখের বেশি ইয়াবা উদ্ধার করে। এ ছাড়াও এ বছরের প্রথম চার মাসে মিয়ানমার থেকে পাচারের সময় আরও প্রায় ১ কোটি ইয়াবা এবং ৫০ কেজির বেশি আইস উদ্ধার করা হয়েছে।
পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মৎস্যজীবী দলের সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেবরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাহিলাড়া-নলচিড়া সড়কের কেফায়েত নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা বাজারে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ দুই শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ...
২১ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মহাসড়কে পড়ে ছিল অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের (৪০) ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মীরবাগ বিজলের ঘুণ্টি এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্ৰাম মহাসড়ক থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৪১ মিনিট আগে