সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে সংঘর্ষে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। অস্ত্রধারীদের ছবি ও পরিচয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
যদিও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা ও আহত পরিবারের পক্ষ আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাঁরা ছাত্রদল, যুবদল, বাম ছাত্রসংগঠনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোখলেসুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এই সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। আর ঘটনার সময় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এটা সময় লাগবে। আপনারা তো অবস্থা বুঝছেন। ঝামেলার মধ্যে আছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষে যেসব অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটি একটি প্রাইভেটকারে করে সরবরাহ করা হয়েছে। চট্ট মেট্রো-গ-১৪-৩২২১ নিবন্ধন নম্বরের প্রাইভেটকারটির মালিক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের ঘনিষ্ঠ জাফর উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার দিন ওই গাড়িতে করে এসে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা ও সিআরবির ডাবল মার্ডার মামলার আসামি হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ একাধিক সোর্স থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, সংঘর্ষে পাঁচ যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে জাফর উল্লাহও রয়েছেন। তাঁদের হাতে ছিল দুটি এলজি, দুটি পিস্তল ও একটি শটগান।
পৃথক আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, সংঘর্ষের সময় ওই প্রাইভেটকার ষোলোশহর এলাকায় অবস্থান করছিল। যুবলীগের নেতা–কর্মীরা তখন গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর সেই ব্যাগগুলো কাঁধে নেন বেশ কয়েকজন। এরপর গাড়িটি সেখান থেকে চলে যায়।
সরেজমিন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরীর মুরাদপুর ও ষোলোশহর রেলস্টেশনে অবস্থান নিতে শুরু করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।
বেলা আড়াইটার পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মুরাদপুরসহ ষোলোশহর স্টেশনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মুরাদপুরে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা আবার মুরাদপুরে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে ষোলোশহর স্টেশনের দিকে চলে যায়। পরে আবার জড়ো হয়ে মুরাদপুরে অগ্রসর হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুসারে, ওই সময় ছাত্রলীগ–যুবলীগের কয়েকজন গুলি ছুড়তে ছুড়তে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে। পরে দ্বিতীয় দফা ধাওয়ার সময় একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার তাদের পেছনে ছিল। এর আগে সেই সাদা প্রাইভেটকার থেকে কয়েকটি ব্যাগ নামানো হয়। পরে অস্ত্রধারীরা হেলমেট পরে গুলি ছুড়তে ছুড়তে আন্দোলনকারীদের দিকে এগিয়ে যায়।
ষোলোশহর দুই নম্বর গেট এলাকার এক সংবাদকর্মীর তথ্যমতে, সংঘর্ষের আগে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ষোলোশহর দুই নম্বর গেট মোড়ে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে এসেছিলেন। পরে সেখানে তিনি নেমে নেতা–কর্মীদের নিয়ে ষোলোশহরমুখী রাস্তায় একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেন। কারও ইশারায় পরে তিনি সরে যান।
সংঘর্ষের সময় অস্ত্রধারীদের মধ্যে পাঁচজনের ছবি চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে চারজনের দলীয় পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন-যুবলীগের ফিরোজ, জাফর, মিঠু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেলোয়ার। এরা যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনির অনুসারী বলে পরিচিত। বাকি একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে হেলাল আকবর চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি সাড়া দেননি। অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে এসএমএস পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
আরও খবর পড়ুন:
চট্টগ্রামে গতকাল মঙ্গলবার সংঘর্ষের সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে সংঘর্ষে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। অস্ত্রধারীদের ছবি ও পরিচয় সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশ এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
যদিও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা ও আহত পরিবারের পক্ষ আরও দুটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় যাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, তাঁরা ছাত্রদল, যুবদল, বাম ছাত্রসংগঠনসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মোখলেসুর রহমান আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘এই সংঘর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। আর ঘটনার সময় অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এটা সময় লাগবে। আপনারা তো অবস্থা বুঝছেন। ঝামেলার মধ্যে আছি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবারের সংঘর্ষে যেসব অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটি একটি প্রাইভেটকারে করে সরবরাহ করা হয়েছে। চট্ট মেট্রো-গ-১৪-৩২২১ নিবন্ধন নম্বরের প্রাইভেটকারটির মালিক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের ঘনিষ্ঠ জাফর উল্লাহ নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার দিন ওই গাড়িতে করে এসে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা ও সিআরবির ডাবল মার্ডার মামলার আসামি হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ একাধিক সোর্স থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, সংঘর্ষে পাঁচ যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে জাফর উল্লাহও রয়েছেন। তাঁদের হাতে ছিল দুটি এলজি, দুটি পিস্তল ও একটি শটগান।
পৃথক আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, সংঘর্ষের সময় ওই প্রাইভেটকার ষোলোশহর এলাকায় অবস্থান করছিল। যুবলীগের নেতা–কর্মীরা তখন গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর সেই ব্যাগগুলো কাঁধে নেন বেশ কয়েকজন। এরপর গাড়িটি সেখান থেকে চলে যায়।
সরেজমিন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরীর মুরাদপুর ও ষোলোশহর রেলস্টেশনে অবস্থান নিতে শুরু করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।
বেলা আড়াইটার পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মুরাদপুরসহ ষোলোশহর স্টেশনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মুরাদপুরে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা আবার মুরাদপুরে জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা পিছু হটে ষোলোশহর স্টেশনের দিকে চলে যায়। পরে আবার জড়ো হয়ে মুরাদপুরে অগ্রসর হয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুসারে, ওই সময় ছাত্রলীগ–যুবলীগের কয়েকজন গুলি ছুড়তে ছুড়তে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করে। পরে দ্বিতীয় দফা ধাওয়ার সময় একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার তাদের পেছনে ছিল। এর আগে সেই সাদা প্রাইভেটকার থেকে কয়েকটি ব্যাগ নামানো হয়। পরে অস্ত্রধারীরা হেলমেট পরে গুলি ছুড়তে ছুড়তে আন্দোলনকারীদের দিকে এগিয়ে যায়।
ষোলোশহর দুই নম্বর গেট এলাকার এক সংবাদকর্মীর তথ্যমতে, সংঘর্ষের আগে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ষোলোশহর দুই নম্বর গেট মোড়ে একটি সাদা প্রাইভেট কারে করে এসেছিলেন। পরে সেখানে তিনি নেমে নেতা–কর্মীদের নিয়ে ষোলোশহরমুখী রাস্তায় একটি মিছিলে নেতৃত্ব দেন। কারও ইশারায় পরে তিনি সরে যান।
সংঘর্ষের সময় অস্ত্রধারীদের মধ্যে পাঁচজনের ছবি চিহ্নিত করা গেছে। এর মধ্যে চারজনের দলীয় পরিচয় জানা গেছে। তাঁরা হলেন-যুবলীগের ফিরোজ, জাফর, মিঠু ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেলোয়ার। এরা যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনির অনুসারী বলে পরিচিত। বাকি একজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে হেলাল আকবর চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি সাড়া দেননি। অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করে এসএমএস পাঠালেও তাঁর সাড়া মেলেনি।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
২৪ মিনিট আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
৩৬ মিনিট আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
৪২ মিনিট আগে