চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মো. বাদশা (৪২) ও নুর আলম প্রকাশ মিয়াচাঁন মাস্টার (৮১) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিঠাছরা বাজারের ইউটার্ন এলাকায় ঢাকামুখী লাইনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মো. বাদশা নামে এক কৃষক নিহত হন।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নুর আলম প্রকাশ মিয়াচাঁন মাস্টার। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা হাদিফকিরহাট বাজারে যাত্রীবাহী জোনাকি পরিবহন বাসের ধাক্কায় আহত হয়ে গতকাল শনিবার রাতে চমেক হাসপাতালে তিনি মারা যান। 

বাদশা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার নোয়াগাঁও ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আবুল খায়েরের ছেলে। নুর আলম প্রকাশ মিয়াচাঁন মাস্টার উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের মিজান মুন্সি বাড়ির মৃত তবারক উল্লাহ কেরানীর ছেলে। 

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদশা গত ১০ থেকে ১৫ বছর যাবৎ মিঠাছরা বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এখানে থেকে তিনি কৃষিকাজ করতেন। রোববার সকালে মিঠাছরা বাজারে সবজি নিয়ে বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকামুখী লাইনে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। 

নুর আলম প্রকাশ মিয়াচাঁন মাস্টারের ভাতিজা মো. আশরাফুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাদিফকিরহাট বাজার এলাকায় সড়ক পারাপার হওয়ার সময় ঢাকামুখী লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা দ্রুতগতির জোনাকি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন চাচা। পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় মারা যান তিনি।’ 

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক মো. কামরুল আলম বলেন, রোববার সকালে মিঠাছরা বাজারের ইউটার্ন এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় বাদশা নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘মহাসড়কের হাদিফকিরহাট বাজার এলাকায় সড়ক পারাপার হওয়ার সময় ঢাকামুখী লাইনে দ্রুতগতির জোনাকি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নুর আলম প্রকাশ মিয়াচাঁন মাস্টার আহত হন। তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন বলে শুনেছি।’