সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তিন মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সদস্যদের শরীরে লাগানো ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’র কাজে ঢিলেমি ভাব চলে এসেছে। থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের মধ্যে তেমন একটা ক্যামেরার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না।
গত ২৪ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরের পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে নগর পুলিশের উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম জোনের চার থানায় (কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ ও পতেঙ্গা) সাতটি করে বডি ওর্ন ক্যামেরা দেওয়া হয়। একই সময়ে ট্রাফিক পুলিশের চার জোনের সার্জেন্টদের মধ্যে ২২টি ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছিল।
গত কয়েক দিন সরেজমিনে কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং থানা এলাকায় পুলিশের মাঠ পর্যায়ে টহলরত দলের কর্মকর্তাদের কাউকে এ ক্যামেরার ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় টাইগার পাস, জিইসিসহ কয়েকটি মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও।
দাপ্তরিকভাবে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের বডি ওর্ন ক্যামেরার কার্যক্রম সচল রয়েছে। ক্যামেরার রেকর্ড সিডি আকারে পুলিশ কমিশনারের কাছে নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সানা শামীমুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মাঝে সরবরাহ করা বডি ওর্ন ক্যামেরাগুলো ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত মনিটরিংও করছি।’
জানা গেছে, থানাগুলোর মধ্যে বডি ওর্ন ক্যামেরার কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের আওতাধীন ডবলমুরিং থানায়। প্রথম কয়েক দিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্যামেরাটি ব্যবহার করেন। তবে এখন আর তা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. আবদুল ওয়ারিশ বলেন, ‘থানাটিতে বডি ওর্ন ক্যামেরা সচল থাকার কথা। মাঝখানে নানান ঝামেলার কারণে এ বিষয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। থানার ভ্রাম্যমাণ দলের কর্মকর্তাদের কাছে বডি ওর্ন ক্যামেরাগুলো থাকছে। এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা ঘটলে তখনই ক্যামেরাটি দিয়ে রেকর্ড করা হচ্ছে। সব সময় করা হয় না।’
তবে বডি ওর্ন ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করা কোনো ঘটনার বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি। ওসি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রেকর্ড করা ঘটনাগুলো আমার মনে নেই।’
ট্রাফিকে সর্বপ্রথম টাইগার পাস মোড়েই বডি ওর্ন ক্যামেরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু এখন এখানে দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্টদের মধ্যে ক্যামেরার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না। পুলিশের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যামেরার ব্যাটারি লাইফটাইম ২৪ ঘণ্টা থাকে। তাই ক্যামেরা বহনকারী পুলিশ সদস্যদের বলে দেওয়া হয়, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা ছাড়া ক্যামেরাটি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অনেকেই ক্যামেরাটি সঙ্গে রাখলেও তার ব্যবহার করছেন না।
তাঁরা বলেন, পুলিশ ও জনসাধারণের মধ্যে কী ঘটছে—তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বডি ওর্ন ক্যামেরার বিকল্প নেই। এসব ক্যামেরা পুলিশের মধ্যে সহজলভ্য করতে হবে। সিস্টেমেও উন্নতি আনতে হবে। ক্যামেরার ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যেক থানার টহল দল, ডিউটি অফিসার ও অভিযানে যাওয়া বিশেষ দলের কর্মকর্তাদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে নগরীর বেশির ভাগ থানায় এখনো বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট থানার কয়েকজন ওসির সঙ্গে কথা বলে এসব নিশ্চিত হওয়া গেছে। অতিরিক্ত কমিশনার সানা শামীমুর রহমান বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায়ে এসব ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। সব থানায় ও ট্রাফিকে ক্যামেরার সরবরাহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তথ্যমতে, পুলিশ যখন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তখন সাধারণ মানুষ, অপরাধীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের মুখোমুখি হতে হয়। বডি ওর্ন ক্যামেরা শরীরে লাগানো থাকলে তখন কে কী আচরণ করেন সেই দৃশ্য ক্যামেরায় সংরক্ষিত থাকবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্ভারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে জানতেও পারবেন। জিপিএস সিস্টেম থাকায় ওই পুলিশ অফিসারের অবস্থানও জানা যাবে। যে কোনো অপরাধ পুলিশ সদস্যদের চোখ এড়িয়ে গেলেও ক্যামেরায় সব রেকর্ড থাকবে। এই ক্যামেরার ফুটেজ ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলার সুযোগ নেই বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তিন মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) সদস্যদের শরীরে লাগানো ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’র কাজে ঢিলেমি ভাব চলে এসেছে। থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের মধ্যে তেমন একটা ক্যামেরার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না।
গত ২৪ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তরের পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে নগর পুলিশের উত্তর, দক্ষিণ, বন্দর ও পশ্চিম জোনের চার থানায় (কোতোয়ালি, ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ ও পতেঙ্গা) সাতটি করে বডি ওর্ন ক্যামেরা দেওয়া হয়। একই সময়ে ট্রাফিক পুলিশের চার জোনের সার্জেন্টদের মধ্যে ২২টি ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়েছিল।
গত কয়েক দিন সরেজমিনে কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং থানা এলাকায় পুলিশের মাঠ পর্যায়ে টহলরত দলের কর্মকর্তাদের কাউকে এ ক্যামেরার ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। একই চিত্র দেখা গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় টাইগার পাস, জিইসিসহ কয়েকটি মোড়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মধ্যেও।
দাপ্তরিকভাবে অবশ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের বডি ওর্ন ক্যামেরার কার্যক্রম সচল রয়েছে। ক্যামেরার রেকর্ড সিডি আকারে পুলিশ কমিশনারের কাছে নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সানা শামীমুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের মাঝে সরবরাহ করা বডি ওর্ন ক্যামেরাগুলো ব্যবহার হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা নিয়মিত মনিটরিংও করছি।’
জানা গেছে, থানাগুলোর মধ্যে বডি ওর্ন ক্যামেরার কার্যক্রম প্রথম শুরু হয় নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের আওতাধীন ডবলমুরিং থানায়। প্রথম কয়েক দিন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ক্যামেরাটি ব্যবহার করেন। তবে এখন আর তা দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে উপকমিশনার (পশ্চিম) মো. আবদুল ওয়ারিশ বলেন, ‘থানাটিতে বডি ওর্ন ক্যামেরা সচল থাকার কথা। মাঝখানে নানান ঝামেলার কারণে এ বিষয়ে আর খোঁজ নেওয়া হয়নি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। থানার ভ্রাম্যমাণ দলের কর্মকর্তাদের কাছে বডি ওর্ন ক্যামেরাগুলো থাকছে। এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা ঘটলে তখনই ক্যামেরাটি দিয়ে রেকর্ড করা হচ্ছে। সব সময় করা হয় না।’
তবে বডি ওর্ন ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করা কোনো ঘটনার বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি। ওসি বলেন, ‘এই মুহূর্তে রেকর্ড করা ঘটনাগুলো আমার মনে নেই।’
ট্রাফিকে সর্বপ্রথম টাইগার পাস মোড়েই বডি ওর্ন ক্যামেরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু এখন এখানে দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্টদের মধ্যে ক্যামেরার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে না। পুলিশের দায়িত্বশীল কয়েকজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ক্যামেরার ব্যাটারি লাইফটাইম ২৪ ঘণ্টা থাকে। তাই ক্যামেরা বহনকারী পুলিশ সদস্যদের বলে দেওয়া হয়, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা ছাড়া ক্যামেরাটি ব্যবহার করা যাবে না। এতে অনেকেই ক্যামেরাটি সঙ্গে রাখলেও তার ব্যবহার করছেন না।
তাঁরা বলেন, পুলিশ ও জনসাধারণের মধ্যে কী ঘটছে—তার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে বডি ওর্ন ক্যামেরার বিকল্প নেই। এসব ক্যামেরা পুলিশের মধ্যে সহজলভ্য করতে হবে। সিস্টেমেও উন্নতি আনতে হবে। ক্যামেরার ব্যবহারও বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিশেষ করে প্রত্যেক থানার টহল দল, ডিউটি অফিসার ও অভিযানে যাওয়া বিশেষ দলের কর্মকর্তাদের কাছে বডি ক্যামেরা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে নগরীর বেশির ভাগ থানায় এখনো বডি ওর্ন ক্যামেরা সরবরাহ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট থানার কয়েকজন ওসির সঙ্গে কথা বলে এসব নিশ্চিত হওয়া গেছে। অতিরিক্ত কমিশনার সানা শামীমুর রহমান বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একটি প্রকল্পের আওতায়ে এসব ক্যামেরা দেওয়া হচ্ছে। সব থানায় ও ট্রাফিকে ক্যামেরার সরবরাহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তথ্যমতে, পুলিশ যখন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তখন সাধারণ মানুষ, অপরাধীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের মুখোমুখি হতে হয়। বডি ওর্ন ক্যামেরা শরীরে লাগানো থাকলে তখন কে কী আচরণ করেন সেই দৃশ্য ক্যামেরায় সংরক্ষিত থাকবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্ভারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে জানতেও পারবেন। জিপিএস সিস্টেম থাকায় ওই পুলিশ অফিসারের অবস্থানও জানা যাবে। যে কোনো অপরাধ পুলিশ সদস্যদের চোখ এড়িয়ে গেলেও ক্যামেরায় সব রেকর্ড থাকবে। এই ক্যামেরার ফুটেজ ইচ্ছে করলেই মুছে ফেলার সুযোগ নেই বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় ছুরিকাঘাতে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এ কে এম আব্দুর রশিদকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ইকোপার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিপন মিয়াকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে চাঁদা চাইলে তাঁকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বের একমাত্র স্বীকৃত উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল চট্টগ্রামে অবতরণ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বিমানে স্থাপিত উড়ন্ত হাসপাতালটি চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিশেষায়িত হাসপাতালটি চক্ষুরোগসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে ১৮ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করবে...
৩ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়...
৩ ঘণ্টা আগে