কুবি প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সহকারী প্রক্টরকে মারতে তেড়ে গেলেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। গতকাল সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুবির (রেজা গ্রুপ) কয়েকজন নেতা-কর্মীর উঠতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের দাবি অনুযায়ী তাঁরা অছাত্র। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই পক্ষকে নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষ।
আলোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে যায় প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে মারতে তেড়ে যান শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।
তখন উপস্থিত প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর কাজী এম আনিছুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকেরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁদের লাঞ্ছিত করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী, একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত আহমেদসহ কয়েকজন শিক্ষকদের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হেনস্তার শিকার সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘এখানে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালনকালে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। দুই পক্ষের উত্তেজনা থামাতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়।’
তবে শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি এ রকম কিছুই করি নাই। স্যার আমাদের দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে অনেকেই ধাক্কাধাক্কি ও আওয়াজ করছিল। স্যার হয়তো ভুল বুঝে অভিযোগ করেছেন। স্যারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।’
অভিযুক্ত আরেকজন সালমান চৌধুরী বলেন, ‘এগ্রেসিভ মুডে স্যারের সঙ্গে কথা বলা যাবে না? আমি যদি বলি, স্যার আমাদের মারতে আসছেন? সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আর স্যার যদি বলে থাকেন, আমরা মারতে গিয়েছি, এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
অভিযুক্ত নেতাদের দিয়ে শিক্ষকের কাছে ‘স্যরি’ বলাবেন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, সহকারী প্রক্টর হিসেবে যেকোনো জায়গায় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ধমক দেওয়াটাই স্বাভাবিক। এটা তাঁর রাইট ছিল। পোলাপান না বুঝতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। মারতে যাওয়াটা ভিত্তিহীন। তারপরও যারা স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেছে, আমরা ব্যক্তিগতভাবে স্যারের সঙ্গে এদের স্যরি বলার ব্যবস্থা করব।’
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, ‘আজকের ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। আমরা আগামীকাল সব হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে বসব। তারপর আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর অছাত্র কেউ হলে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যারা হলে থাকবে তাদের প্রত্যেককে ছাত্র এবং এলটেড হতে হবে।’
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সবার সামনেই ঘটেছে। অনেক ভিডিও রয়েছে। আমরা তথ্যপ্রমাণ সব যাচাই করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সহকারী প্রক্টরকে মারতে তেড়ে গেলেন ছাত্রলীগের দুই নেতা। গতকাল সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুবির (রেজা গ্রুপ) কয়েকজন নেতা-কর্মীর উঠতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তীব্র দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ছাত্রলীগের দাবি অনুযায়ী তাঁরা অছাত্র। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে দুই পক্ষকে নিয়ে হলের প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রাধ্যক্ষ।
আলোচনার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা উত্তেজিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ঘটনা সামাল দিতে এগিয়ে যায় প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে মারতে তেড়ে যান শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী।
তখন উপস্থিত প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর কাজী এম আনিছুল ইসলামসহ অন্য শিক্ষকেরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁদের লাঞ্ছিত করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহারাতবির হোসেন পাপন মিয়াজী, একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত আহমেদসহ কয়েকজন শিক্ষকদের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হেনস্তার শিকার সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘এখানে আমরা প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালনকালে বাধার সম্মুখীন হয়েছি। দুই পক্ষের উত্তেজনা থামাতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়।’
তবে শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘আমি এ রকম কিছুই করি নাই। স্যার আমাদের দুই পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে অনেকেই ধাক্কাধাক্কি ও আওয়াজ করছিল। স্যার হয়তো ভুল বুঝে অভিযোগ করেছেন। স্যারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।’
অভিযুক্ত আরেকজন সালমান চৌধুরী বলেন, ‘এগ্রেসিভ মুডে স্যারের সঙ্গে কথা বলা যাবে না? আমি যদি বলি, স্যার আমাদের মারতে আসছেন? সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আর স্যার যদি বলে থাকেন, আমরা মারতে গিয়েছি, এটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
অভিযুক্ত নেতাদের দিয়ে শিক্ষকের কাছে ‘স্যরি’ বলাবেন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, সহকারী প্রক্টর হিসেবে যেকোনো জায়গায় ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ধমক দেওয়াটাই স্বাভাবিক। এটা তাঁর রাইট ছিল। পোলাপান না বুঝতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। মারতে যাওয়াটা ভিত্তিহীন। তারপরও যারা স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করেছে, আমরা ব্যক্তিগতভাবে স্যারের সঙ্গে এদের স্যরি বলার ব্যবস্থা করব।’
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, ‘আজকের ঘটনা আসলেই দুঃখজনক। আমরা আগামীকাল সব হলের প্রভোস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মিলে বসব। তারপর আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর অছাত্র কেউ হলে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যারা হলে থাকবে তাদের প্রত্যেককে ছাত্র এবং এলটেড হতে হবে।’
দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সবার সামনেই ঘটেছে। অনেক ভিডিও রয়েছে। আমরা তথ্যপ্রমাণ সব যাচাই করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেব।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৫ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৬ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৭ ঘণ্টা আগে