জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনো শুরু হয়নি কালুরঘাট সেতুর কাজও। এ ছাড়া নিয়োগ হয়নি ৩২ জন স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যানদের। কয়টি ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে, টিকিটের দামও বা কত তাও নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল নিয়ে শঙ্কায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের জুনে পুরাতন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হওয়ার কথা বলেন সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফার। তিনি জানান, এটির পুরোপুরি সংস্কার কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৬ মাস। অর্থাৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঘোষণা দিয়েছেন তিন মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই কক্সবাজারে ট্রেন যাবে।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, কক্সবাজার রুটে মোট ৮টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো হলো—চকরিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, হারবাং, ডুলাহাজারা এবং কক্সবাজার। এই ৮ স্টেশনে ন্যূনতম চারজন করে স্টেশন মাস্টার প্রয়োজন। একজন করে প্রয়োজন পয়েন্টম্যান। কিন্তু কক্সবাজার রুটের কাজ শেষ হওয়ার পথে হলেও এই ৩২ জন স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান নিয়োগ করা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনিতে রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান সংকট। অন্য স্টেশন থেকে কক্সবাজার রুটের স্টেশনে কোনো স্টেশন মাস্টার বা পয়েন্টম্যান দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব নয়। যদি অন্য কোনো স্টেশন থেকে স্টেশন মাস্টার আনা হয় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ বর্তমানে প্রায় দেড় শ স্টেশনে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক জনবল রয়েছে।’
রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন অবস্থায় নতুন নিয়োগ ছাড়া কক্সবাজার রুটের ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আবার নতুন করে স্টেশন মাস্টারও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ স্টেশন সম্পর্কে বুঝতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দুই-তিন বছর সময় লাগে। এখন শুধু একটি উপায় তা হলো—সম্প্রতি যে সব স্টেশন মাস্টার বা পয়েন্টম্যান অবসরে গেছেন তাঁদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। এদের নিয়োগ দিলে তবেই কক্সবাজার রুটের ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। কারণ এদের ৩০ বছর মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার রুটে প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি দুটি ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কয়টি ট্রেন চলাচল করবে। এমনকি ভাড়াও নির্ধারণ করা যায়নি। মূলত একটি রুটে ট্রেন চালানোর জন্য যা যা দরকার তার বেশির ভাগই ঘাটতি রয়ে গেছে। শুধু রেল রুটের কাজ শেষ পর্যায়ে, বাকি কাজগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুতে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলোর এক্সেল লোড ১১ দশমিক ৯৬ টন। কক্সবাজারে যে ট্রেন যাবে, তার ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। যেহেতু কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু করা অনেক সময়ের ব্যাপার, তাই পুরোনো সেতুটি সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সেতুতে ১৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। তারা একটি নকশা দিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।’
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতুটি পরিদর্শন করে। তারপর এই সেতু দিয়ে ভারবাহী ট্রেন চালানো যাবে কি না, গেলেও কীভাবে সংস্কার করতে হবে—সেই পরামর্শ দিতে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চান বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন। এ নিয়ে রেলের দফায় দফায় বৈঠক শেষে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরামর্শ দিতে রাজি হন তাঁরা।
কক্সবাজার রুটের জনবল নিয়োগের বিষয়ে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে মন্ত্রী মহোদয়কে জনবল নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। সেটির অনুমোদন হলে শিগগিরই জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।’
তিন মাস পর অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনো শুরু হয়নি কালুরঘাট সেতুর কাজও। এ ছাড়া নিয়োগ হয়নি ৩২ জন স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যানদের। কয়টি ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে, টিকিটের দামও বা কত তাও নির্ধারণ করা যায়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল নিয়ে শঙ্কায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছরের জুনে পুরাতন কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হওয়ার কথা বলেন সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফার। তিনি জানান, এটির পুরোপুরি সংস্কার কাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৬ মাস। অর্থাৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শেষ হবে। অন্যদিকে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ঘোষণা দিয়েছেন তিন মাস পর অর্থাৎ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই কক্সবাজারে ট্রেন যাবে।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ জানায়, কক্সবাজার রুটে মোট ৮টি স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো হলো—চকরিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, হারবাং, ডুলাহাজারা এবং কক্সবাজার। এই ৮ স্টেশনে ন্যূনতম চারজন করে স্টেশন মাস্টার প্রয়োজন। একজন করে প্রয়োজন পয়েন্টম্যান। কিন্তু কক্সবাজার রুটের কাজ শেষ হওয়ার পথে হলেও এই ৩২ জন স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান নিয়োগ করা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনিতে রেলওয়েতে স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যান সংকট। অন্য স্টেশন থেকে কক্সবাজার রুটের স্টেশনে কোনো স্টেশন মাস্টার বা পয়েন্টম্যান দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব নয়। যদি অন্য কোনো স্টেশন থেকে স্টেশন মাস্টার আনা হয় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ বর্তমানে প্রায় দেড় শ স্টেশনে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক জনবল রয়েছে।’
রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন অবস্থায় নতুন নিয়োগ ছাড়া কক্সবাজার রুটের ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আবার নতুন করে স্টেশন মাস্টারও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ স্টেশন সম্পর্কে বুঝতে ৬ মাসের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দুই-তিন বছর সময় লাগে। এখন শুধু একটি উপায় তা হলো—সম্প্রতি যে সব স্টেশন মাস্টার বা পয়েন্টম্যান অবসরে গেছেন তাঁদের অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। এদের নিয়োগ দিলে তবেই কক্সবাজার রুটের ট্রেন পরিচালনা করা যাবে। কারণ এদের ৩০ বছর মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার রুটে প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি দুটি ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি কয়টি ট্রেন চলাচল করবে। এমনকি ভাড়াও নির্ধারণ করা যায়নি। মূলত একটি রুটে ট্রেন চালানোর জন্য যা যা দরকার তার বেশির ভাগই ঘাটতি রয়ে গেছে। শুধু রেল রুটের কাজ শেষ পর্যায়ে, বাকি কাজগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কালুরঘাট সেতুর ফোকাল পারসন ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুতে বর্তমানে যেসব ট্রেন যায়, সেগুলোর এক্সেল লোড ১১ দশমিক ৯৬ টন। কক্সবাজারে যে ট্রেন যাবে, তার ইঞ্জিন ১৫ এক্সেল লোডের। যেহেতু কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু করা অনেক সময়ের ব্যাপার, তাই পুরোনো সেতুটি সংস্কার করে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সেতুতে ১৫ এক্সেল লোডের ট্রেন চালানোর জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। তারা একটি নকশা দিয়েছে, সেটির ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।’
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল সেতুটি পরিদর্শন করে। তারপর এই সেতু দিয়ে ভারবাহী ট্রেন চালানো যাবে কি না, গেলেও কীভাবে সংস্কার করতে হবে—সেই পরামর্শ দিতে ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চান বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও পর্যবেক্ষক দলের প্রধান ড. এ এফ এম সাইফুল আমিন। এ নিয়ে রেলের দফায় দফায় বৈঠক শেষে ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে পরামর্শ দিতে রাজি হন তাঁরা।
কক্সবাজার রুটের জনবল নিয়োগের বিষয়ে রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এসএম সলিমুল্লাহ বাহার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে মন্ত্রী মহোদয়কে জনবল নিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিয়েছি। সেটির অনুমোদন হলে শিগগিরই জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৬ ঘণ্টা আগে