রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রামগড় পৌরসভা নির্বাচন। আগামীকাল রোববার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের উত্তাপ কিছুটা কমে আসে। তবে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় আবার তা ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বেসরকারিভাবে মেয়রপদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল আলম কামাল এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোহাম্মদ শামীমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। রামগড় পৌরসভায় এবার ৮টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচন করবেন।
নির্বাচনী প্রচারণার জন্য পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন নানান রকম প্রতিশ্রুতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়িয়ে চায়ের দোকানেও চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। তবে উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী বেঁছে নেবেন বলে জানাচ্ছেন ভোটারেরা।
রামগড় সদর, বল্টুরাম, কালাডেবা এবং সোনাইপুল এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কের মুখে পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুন। নিজ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীন প্রচারণা। পাশাপাশি সমানভাবে চালাচ্ছেন উঠান বৈঠক ও মাইকিং।
রামগড় ১ নম্বর ওয়ার্ড বল্টুরাম টিলা এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হক বলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ আগের থেকে অনেক সচেতন হয়েছেন। মাদক এবং শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে তিনি সকলের সহায়তা চান। নির্বাচিত হলে জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
রামগড় সদর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আফছার বলেন, নির্বাচিত হলে গরিব এবং অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি। ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে পুরো এলাকায় সড়কবাতি এবং শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করবেন। সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
রামগড় পৌরসভার ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ারা বেগম বলেন, অধিকার আদায়ে জনগণের পাশে থাকবেন। তিনি দাবি করেন ভোটাররা তাঁকে কর্মগুণেই ভোট দেবেন। বিগত ২ বারের মতো এবার ও তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
রামগড় সদর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কংচাইরী মারমা বলেন, নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়ান। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিপদে পাশে থাকবেন এমন একজন যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
সোনাইপুল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন ভোটার সাদমান শাকিব বলেন, তিনি একজন নবীন ভোটার। প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন তাই চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। তার মধ্যে বিপুল উৎসাহ কাজ করছে। তবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ এবং যোগ্য প্রার্থীকে বেঁছে নেবেন।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার দেবাশিষ দাস বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। রামগড় পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮ শত ৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৮ শত ৬১ জন ও মহিলা ১০ হাজার ২৫ জন।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, প্রচার-প্রচারণায় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে টহল বাড়ানো হয়েছে। ভোটের সময় প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া প্রতি কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
তিনি আরও জানান, রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বল্টু রাম টিলা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এবং ৮ নম্বরের সোনাইপুল এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এ ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রামগড় পৌরসভা নির্বাচন। আগামীকাল রোববার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভা। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের উত্তাপ কিছুটা কমে আসে। তবে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় আবার তা ভোটারদের আগ্রহের কেন্দ্র বিন্দুতে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে এবার মেয়র এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট গ্রহণ হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বেসরকারিভাবে মেয়রপদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রফিকুল আলম কামাল এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোহাম্মদ শামীমকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। রামগড় পৌরসভায় এবার ৮টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ জন নির্বাচন করবেন।
নির্বাচনী প্রচারণার জন্য পুরো এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন প্রার্থী এবং তাঁদের সমর্থকেরা। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের আস্থা অর্জনে দিচ্ছেন নানান রকম প্রতিশ্রুতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়িয়ে চায়ের দোকানেও চলছে প্রার্থীদের প্রচারণা। তবে উন্নয়নের স্বার্থে যোগ্য প্রার্থী বেঁছে নেবেন বলে জানাচ্ছেন ভোটারেরা।
রামগড় সদর, বল্টুরাম, কালাডেবা এবং সোনাইপুল এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন সড়কের মুখে পোস্টার, ব্যানার আর ফেস্টুন। নিজ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা। চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীন প্রচারণা। পাশাপাশি সমানভাবে চালাচ্ছেন উঠান বৈঠক ও মাইকিং।
রামগড় ১ নম্বর ওয়ার্ড বল্টুরাম টিলা এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হক বলেন, প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ আগের থেকে অনেক সচেতন হয়েছেন। মাদক এবং শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে তিনি সকলের সহায়তা চান। নির্বাচিত হলে জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
রামগড় সদর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আফছার বলেন, নির্বাচিত হলে গরিব এবং অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চান তিনি। ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে পুরো এলাকায় সড়কবাতি এবং শৌচাগারের সুবিধা নিশ্চিত করবেন। সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
রামগড় পৌরসভার ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ারা বেগম বলেন, অধিকার আদায়ে জনগণের পাশে থাকবেন। তিনি দাবি করেন ভোটাররা তাঁকে কর্মগুণেই ভোট দেবেন। বিগত ২ বারের মতো এবার ও তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
রামগড় সদর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার কংচাইরী মারমা বলেন, নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়ান। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বিপদে পাশে থাকবেন এমন একজন যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন।
সোনাইপুল ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন ভোটার সাদমান শাকিব বলেন, তিনি একজন নবীন ভোটার। প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন তাই চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। তার মধ্যে বিপুল উৎসাহ কাজ করছে। তবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ এবং যোগ্য প্রার্থীকে বেঁছে নেবেন।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার দেবাশিষ দাস বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। রামগড় পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৮ শত ৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৮ শত ৬১ জন ও মহিলা ১০ হাজার ২৫ জন।
রামগড় থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, প্রচার-প্রচারণায় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে টহল বাড়ানো হয়েছে। ভোটের সময় প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া প্রতি কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
তিনি আরও জানান, রামগড় পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বল্টু রাম টিলা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এবং ৮ নম্বরের সোনাইপুল এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এ ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
তিন ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের ‘অযোগ্য’ বলছে একটি পক্ষ। আরেক পক্ষের অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটিতে এখন ‘ভূমিদস্যু’ ও ‘চাঁদাবাজদের’ দৌরাত্ম্য। তাই আলাদা হয়েছেন তাঁরা। তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক বলছেন, দ্বন্দ্ব-বিভাজনের কথা তাঁর জানা নেই।
৩৪ মিনিট আগেরাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
১ ঘণ্টা আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৯ ঘণ্টা আগে