নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যার ঘটনায় গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা গোলাম রসুল নিশানের নিয়ন্ত্রণাধীন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনের তিনতলায় মিলেছে আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষের সন্ধান। এর আগে ভবনটির নিচতলায় পাওয়া গিয়েছিল টর্চার সেল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার আদনান তাইয়ান গত সোমবার সন্ধ্যার পর কোরবান হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষ নজরে আসে।
নিশান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি দলবলসহ নগরীর ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ১০তলা একটি আবাসিক ভবন নিয়ন্ত্রণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি ও তাঁর সহযোগীরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকার লোকজন নগরীর আকবর শাহ থানার সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন নিহত কোরবানের ছেলে আলী রেজা রানা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, নিশানের নিয়ন্ত্রণাধীন ভবনের নিচে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক নির্যাতন করছিল নিশান গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় পাশের দোকানে থাকা রেজা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার এবং এক অভিযুক্তকে আটক করে। এ ঘটনায় রেজার প্রতি ক্ষুব্ধ হয় নিশান গ্রুপের সদস্যরা। তারা সুযোগ পেয়ে ৫ এপ্রিল রেজার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে চিকিৎসক কোরবান এগিয়ে এলে তাঁকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
এলাকাবাসী জানান, ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন পাশাপাশি তিনটি ১০ তলা ভবনের একটি নিশানের আস্তানা। এখানে গৃহায়ণের গার্ড থাকলেও ভয়ে কিছু বলতে পারেন না তাঁরা। নিশানের সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনকে ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন চালায়। সরকারদলীয় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এসব কাজের জন্য নিশান গড়ে তুলেছেন ৪৫-৫০ জনের একটি গ্রুপ। গ্রুপের সদস্যরা প্রকাশ্যেই মাদক সেবন থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম চালায়। প্রতিটি ঘটনায় নিশান পরিকল্পনা করে দেন। বাস্তবায়ন করার সময় তিনি আড়ালে থাকেন। বাস্তবায়নের পর জনসমক্ষে আসেন।
এ বিষয়ে ফিরোজ শাহ সমাজ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম টিপু জানান, ওই ভবনে টর্চার সেলের পর আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষ পাওয়ার ঘটনায় এলাকার লোকজন শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। কোরবান আলী হত্যার বিচার না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে এলাকায়।
ভবনের তিনতলায় নিশান গ্রুপের আড্ডাখানা পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিএমপির উপকমিশনার আদনান তাইয়ান বলেন, ‘আমরা মামলার আলামত সংগ্রহে ঘটনাস্থলে প্রায় সময় যাই। ওই দিনও গিয়েছিলাম। সেখানে একটি আড্ডাখানার সন্ধান পাওয়া যায়।’ অচিরেই আসামিরা গ্রেপ্তার হবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।’
কোরবান গুরুতর আহত হওয়ার পর ৬ এপ্রিল তাঁর ছেলে রেজা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আসল আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান রেজা। এ প্রসঙ্গে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রাব্বানির সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে রিসিভ করেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল মামুন। ওসি মামলার সাক্ষী হিসেবে চট্টগ্রামের বাইরে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশান ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসামিরা দৌড়ের ওপর আছেন। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবেন।’
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী হত্যার ঘটনায় গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতা গোলাম রসুল নিশানের নিয়ন্ত্রণাধীন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনের তিনতলায় মিলেছে আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষের সন্ধান। এর আগে ভবনটির নিচতলায় পাওয়া গিয়েছিল টর্চার সেল। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার আদনান তাইয়ান গত সোমবার সন্ধ্যার পর কোরবান হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষ নজরে আসে।
নিশান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। তিনি দলবলসহ নগরীর ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন ১০তলা একটি আবাসিক ভবন নিয়ন্ত্রণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি ও তাঁর সহযোগীরা এখনো গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকার লোকজন নগরীর আকবর শাহ থানার সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে এ কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন নিহত কোরবানের ছেলে আলী রেজা রানা।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, নিশানের নিয়ন্ত্রণাধীন ভবনের নিচে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক নির্যাতন করছিল নিশান গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় পাশের দোকানে থাকা রেজা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার এবং এক অভিযুক্তকে আটক করে। এ ঘটনায় রেজার প্রতি ক্ষুব্ধ হয় নিশান গ্রুপের সদস্যরা। তারা সুযোগ পেয়ে ৫ এপ্রিল রেজার ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে চিকিৎসক কোরবান এগিয়ে এলে তাঁকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
এলাকাবাসী জানান, ফিরোজ শাহ হাউজিং এস্টেটে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন পাশাপাশি তিনটি ১০ তলা ভবনের একটি নিশানের আস্তানা। এখানে গৃহায়ণের গার্ড থাকলেও ভয়ে কিছু বলতে পারেন না তাঁরা। নিশানের সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষার্থীসহ এলাকার লোকজনকে ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন চালায়। সরকারদলীয় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এসব কাজের জন্য নিশান গড়ে তুলেছেন ৪৫-৫০ জনের একটি গ্রুপ। গ্রুপের সদস্যরা প্রকাশ্যেই মাদক সেবন থেকে শুরু করে সব ধরনের অপকর্ম চালায়। প্রতিটি ঘটনায় নিশান পরিকল্পনা করে দেন। বাস্তবায়ন করার সময় তিনি আড়ালে থাকেন। বাস্তবায়নের পর জনসমক্ষে আসেন।
এ বিষয়ে ফিরোজ শাহ সমাজ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলে করিম টিপু জানান, ওই ভবনে টর্চার সেলের পর আড্ডাখানা ও পরিকল্পনাকক্ষ পাওয়ার ঘটনায় এলাকার লোকজন শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। কোরবান আলী হত্যার বিচার না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে এলাকায়।
ভবনের তিনতলায় নিশান গ্রুপের আড্ডাখানা পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিএমপির উপকমিশনার আদনান তাইয়ান বলেন, ‘আমরা মামলার আলামত সংগ্রহে ঘটনাস্থলে প্রায় সময় যাই। ওই দিনও গিয়েছিলাম। সেখানে একটি আড্ডাখানার সন্ধান পাওয়া যায়।’ অচিরেই আসামিরা গ্রেপ্তার হবেন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।’
কোরবান গুরুতর আহত হওয়ার পর ৬ এপ্রিল তাঁর ছেলে রেজা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আকবর শাহ থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আসল আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি বলে জানান রেজা। এ প্রসঙ্গে আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রাব্বানির সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে রিসিভ করেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আল মামুন। ওসি মামলার সাক্ষী হিসেবে চট্টগ্রামের বাইরে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশান ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসামিরা দৌড়ের ওপর আছেন। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হবেন।’
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে অভিবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যাত্রা করা নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট এবং দূতাবাস কার্যক্রম না থাকায় নাগরিকদের অন্য দেশ অভিমুখী হতে হচ্ছে।
৪০ মিনিট আগেআজ শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়েছে সাদপন্থীরা। সকাল থেকে মসজিদে প্রবেশ করেন শত শত সাদপন্থী। তাঁদের লক্ষ্য, লাখো মুসল্লির সমাগমে জুমার নামাজ আদায় করে নিজেদের অবস্থান ও শক্তি জানান দেওয়া। জমায়েতের চাপে আশপাশে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
১ ঘণ্টা আগেবাড়ির আঙিনায় বেড়া দেওয়া নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্যালকের শাবলের আঘাতে দুলাভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পৌরশহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পেয়ে ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতা-কর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে