দুই ডোজ টিকা নেওয়া কর্মীদের প্রায় শতভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে: গবেষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৮: ৪২

সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী ও পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে যারা দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় শতভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়াদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ ও যারা এক ডোজও টিকা নেননি তাঁদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৫০ শতাংশ।
 
৫ মাস ধরে চট্টগ্রামে ৭৪৬ জন স্বাস্থ্য-পোশাক কর্মীদের ওপর চালানো গবেষণার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউট। সিভাসুর উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে গবেষণায় অংশ নেন ১০ জন গবেষক। 
 
ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলতি বছরের মার্চে গবেষণাটি পরিচালনা করি। সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহে বিশ্লেষণ করে এই ফলাফল পাই আমরা। এতে যারা দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে প্রায় শতভাগ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
 
গৌতম বুদ্ধ দাশ জানান, শরীরে নির্দিষ্ট কোন রোগের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে কিনা, সেটি শরীরের রক্তের নমুনা নিয়ে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হয়ে থাকে। এতে কেউ করোনা ভাইরাস বা অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা বুঝতে পারা যায়। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের পর মানব দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। যদিও একেক জনের দেহে একেক রকম অ্যান্টিবডির পরিমাণ পরিবর্তিত হয়।
 
তাদের গবেষণায় দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী মোট ৭৪৬ জনের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বা ২২৩ জন করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। উভয় ডোজ নিয়েছেন প্রায় ৩১ শতাংশ বা ২৩১ জন এবং টিকা গ্রহণ করেননি ৩৯ দশমিক ১৪ শতাংশ বা ২৯২ জন। 

এতে দেখা যায়, প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৩৩ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি শনাক্ত হয়েছে। উভয় ডোজ টিকা গ্রহণকারীর মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশের দেহে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবডি (ওমএ) পাওয়া গেছে।
 
গবেষণা পরিচালনা করেন ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ও পরিচালক প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী প্রধান গবেষক ও বিভাগীয় প্রধান (মেডিসিন) প্রফেসর ডা. এম এ হাসান চৌধুরী, সহকারী গবেষক ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তারেক উল কাদের, ডা. আনান দাশ, ডা. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ডা. ইয়াসির হাসিব, ডা. তাজরিনা রহমান, ডা. সীমান্ত দাশ। 
গবেষণাটি চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, রোগীর এটেনডেন্ট, আউটডোর ও ইনডোর রোগী (কোভিড-১৯ আক্রান্ত নয় এমন), পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ওপর পরিচালিত হয়।  

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

দ্রুত বেতন-ভাতা পাবে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান

দেশে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর উদ্যোগ, সুযোগ পেতে পারে ইলন মাস্কের স্টারলিংক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক, কাজে যোগ দেবে কাল

মালামালের সঙ্গে শিশুকেও তুলে নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত