হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সারা দেশে বিদ্যুতের বিপর্যয় চলেছে। অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। তীব্র দাবদাহে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত। এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি সেখানে। হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দারা ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে করা নতুন ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রকল্প নেওয়া হয় হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য। প্রকল্পটি ছিল ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও এ বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা সদরে চাইনিজ হোটেল অ্যান্ড ক্যাফে-২৪-এর মালিক মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছাড়া চাইনিজ হোটেলের গ্রাহক সার্ভিসের কথা চিন্তাই করা যায় না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হোটেলে গ্রাহক সার্ভিসে কোনো সমস্যা নেই। ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছি। সারা দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সংবাদ টেলিভিশনে দেখি। গত ছয় মাসে এখানে এক ঘণ্টার জন্যও বিদ্যুৎ যায়নি। আবহাওয়ার কারণে মাঝেমধ্যে গেলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে তা আবার সচল করে দেওয়া হয়েছে।’
শুধু উপজেলা সদরে নয়, একই চিত্র উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম্য হাঁট ভৈরব বাজারেও। বাজারের সেলুন দোকানের মালিক বাদল চন্দ্র শিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ছয় মাসে এই বাজারে শুধু একবার ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকগুলো দোকানের সঙ্গে বিদ্যুতের লাইনও পুড়ে গিয়েছিল। পরদিন তা আবার মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়।’
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এক ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় থাকে। তাদের সঙ্গে কথা হলেও তারা বলে দিনে কয়েকবার করে বিদ্যুৎ থাকে না। কিন্তু আমাদের এখানে প্রায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আমরা পাই। এ কথা শুনে আমার ছেলে-মেয়েরাও চলে আসতে চায়।’
হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো আলোচনা নেই। দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা এই দ্বীপে মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেয়ে মহাখুশি। বেড়িবাঁধের ওপরে, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট-বড় হাঁট-বাজার এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। নতুন এই বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে উপজেলার জাহাজমারা ও নিঝুম দ্বীপে বেশ কয়েকটি আইস ফ্যাক্টরির কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ফ্যাক্টরিও চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
হাতিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিয়ায় আজ পর্যন্ত (৭ জুন) আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। প্রতিদিন নতুন সংযোগের আবেদন আসছে। যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকদের সংযোগ দিচ্ছেন বিদ্যুতের কর্মীরা। এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০০।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতিয়ায় স্বাধীনতার পর বিদ্যুতের তেমন উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সরকার হাতিয়ায় পাঁচটি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে শুরু করে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। কিন্তু অনেক পুরোনো এই ইঞ্জিনগুলো এখন অনেকটাই বিকল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার হাতিয়ায় নতুন ১৫ মেগাওয়াটের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিউবো)।’
এই প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু বিতরণ বিভাগের উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হয় দেশ এনার্জি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে। তারা প্রাথমিকভাবে ১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে হাতিয়ায়। এ জন্য সরকারিভাবে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরেন্দ্র মার্কেটের কাছে ১৬ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ১০ সেন্টে কিনে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করছে সরকার। ইতিমধ্যে উৎপাদনে শতভাগ ও বিতরণে ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাতিয়ায় তিনটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া মূল হাতিয়ায় নতুন ৪৬৫ কিলোমিটার ও নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়। নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হাতিয়ার মোক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ খাল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন করা হয়। সব শেষে গত মাসে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিয়াবাসীর স্বপ্ন ছিল হাতিয়ায় শতভাগ বিদ্যুতের উন্নয়ন হবে। আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সারা দেশের তুলনায় ভিন্ন হাতিয়া। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে দ্বীপবাসীর। এখানে স্থাপিত হচ্ছে কোল্ড স্টোরেজ, ছোট-বড় অনেক শিল্প কল-কারখানা। এর সুফল ভোগ করবে দ্বীপের প্রায় ৭ লাখ লোক। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’
সারা দেশে বিদ্যুতের বিপর্যয় চলেছে। অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। তীব্র দাবদাহে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত। এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি সেখানে। হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দারা ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে করা নতুন ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্রকল্প নেওয়া হয় হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য। প্রকল্পটি ছিল ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও এ বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে মানুষ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে।
হাতিয়া উপজেলা সদরে চাইনিজ হোটেল অ্যান্ড ক্যাফে-২৪-এর মালিক মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছাড়া চাইনিজ হোটেলের গ্রাহক সার্ভিসের কথা চিন্তাই করা যায় না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই হোটেলে গ্রাহক সার্ভিসে কোনো সমস্যা নেই। ২৪ ঘণ্টাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছি। সারা দেশে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সংবাদ টেলিভিশনে দেখি। গত ছয় মাসে এখানে এক ঘণ্টার জন্যও বিদ্যুৎ যায়নি। আবহাওয়ার কারণে মাঝেমধ্যে গেলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে তা আবার সচল করে দেওয়া হয়েছে।’
শুধু উপজেলা সদরে নয়, একই চিত্র উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম্য হাঁট ভৈরব বাজারেও। বাজারের সেলুন দোকানের মালিক বাদল চন্দ্র শিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ছয় মাসে এই বাজারে শুধু একবার ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকগুলো দোকানের সঙ্গে বিদ্যুতের লাইনও পুড়ে গিয়েছিল। পরদিন তা আবার মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেওয়া হয়।’
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহমিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার এক ছেলে ও মেয়ে ঢাকায় থাকে। তাদের সঙ্গে কথা হলেও তারা বলে দিনে কয়েকবার করে বিদ্যুৎ থাকে না। কিন্তু আমাদের এখানে প্রায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আমরা পাই। এ কথা শুনে আমার ছেলে-মেয়েরাও চলে আসতে চায়।’
হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো আলোচনা নেই। দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা এই দ্বীপে মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেয়ে মহাখুশি। বেড়িবাঁধের ওপরে, গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট-বড় হাঁট-বাজার এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত। নতুন এই বিদ্যুৎ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে উপজেলার জাহাজমারা ও নিঝুম দ্বীপে বেশ কয়েকটি আইস ফ্যাক্টরির কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ফ্যাক্টরিও চালু করা হবে বলে জানা গেছে।
হাতিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিয়ায় আজ পর্যন্ত (৭ জুন) আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিদ্যুতের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। প্রতিদিন নতুন সংযোগের আবেদন আসছে। যাচাই-বাছাই করে গ্রাহকদের সংযোগ দিচ্ছেন বিদ্যুতের কর্মীরা। এক বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫০০।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাতিয়ায় স্বাধীনতার পর বিদ্যুতের তেমন উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সরকার হাতিয়ায় পাঁচটি ডিজেল ইঞ্জিন দিয়ে শুরু করে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি। কিন্তু অনেক পুরোনো এই ইঞ্জিনগুলো এখন অনেকটাই বিকল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার হাতিয়ায় নতুন ১৫ মেগাওয়াটের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’। প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিউবো)।’
এই প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ফারুক আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু বিতরণ বিভাগের উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। উৎপাদনের জন্য চুক্তি করা হয় দেশ এনার্জি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে। তারা প্রাথমিকভাবে ১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে হাতিয়ায়। এ জন্য সরকারিভাবে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরেন্দ্র মার্কেটের কাছে ১৬ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে, যাদের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ১০ সেন্টে কিনে গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করছে সরকার। ইতিমধ্যে উৎপাদনে শতভাগ ও বিতরণে ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাতিয়ায় তিনটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া মূল হাতিয়ায় নতুন ৪৬৫ কিলোমিটার ও নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়। নিঝুম দ্বীপ হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হাতিয়ার মোক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ খাল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন করা হয়। সব শেষে গত মাসে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে নোয়াখালী-৬ হাতিয়া আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিয়াবাসীর স্বপ্ন ছিল হাতিয়ায় শতভাগ বিদ্যুতের উন্নয়ন হবে। আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সারা দেশের তুলনায় ভিন্ন হাতিয়া। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে দ্বীপবাসীর। এখানে স্থাপিত হচ্ছে কোল্ড স্টোরেজ, ছোট-বড় অনেক শিল্প কল-কারখানা। এর সুফল ভোগ করবে দ্বীপের প্রায় ৭ লাখ লোক। এ জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ।’
প্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
১০ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
২৭ মিনিট আগেখুলনায় অগ্নিকাণ্ডে একটি পাটের বস্তার গোডাউনসহ ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বড় বাজারের বার্মাশীল এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বেনাপোল পৌর বল ফিল্ড মাঠে গার্ড অব অনার শেষে পাশের বড় আঁচড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে