পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া ছাত্রলীগের কর্মী আলিফ মাহমুদ রুদ্রকে (২২) এবার হলফনামা আকারে লিখিতভাবে ত্যাজ্য ঘোষণা দিলেন তাঁর বাবা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা রাসেল মোল্লা।
কলাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা রাসেল মোল্লা গত ৩১ মে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করে ডাকযোগে হলফনামার কপি ছেলের কাছে পাঠান। গতকাল শনিবার (১৭ জুন) আলিফ তা হাতে পেয়েছেন।
রাসেল মোল্লা কলাপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর ছেলে আলিফ উপজেলার ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। এখন তিনি কলাপাড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করায় আমার বাবা কিছুদিন আগে মৌখিকভাবে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেছেন। গতকাল ডাকযোগে স্ট্যাম্পে লিখে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার কাগজ হাতে পেলাম। ছাত্রলীগের রাজনীতি আমার রক্তে মিশে আছে, আমি এই রাজনীতি ছেড়ে ভালো থাকতে পারি না। তাই আমি ছাত্রলীগ ছাড়ব না।’
গত ২৩ মে মো. রাসেল মোল্লা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রাসেল মোল্লা হলফনামায় বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমার পুত্র আলিফ আল মাহমুদ রুদ্র আমার সম্পূর্ণ অবাধ্য, আমার নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য ফেলে রেখে রাজনীতিতে পড়ে থাকে। যাহা আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য আদৌ কাম্য নয়। সে প্রায়ই রাজনৈতিক কাজে অর্থ ব্যয় করার জন্য পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে, যাহা পরিবারের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাঁর আচার-ব্যবহারে সমাজে আমাদের প্রতিপন্ন হতে হয়, তাকে সংশোধন করার জন্য বহু চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হই এবং তাহার রাজনৈতিক খরচ বহন করার জন্য আমাদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে, যাহা আমার পুত্রের জীবন বিপন্ন হওয়ার নমুনা মাত্র। বর্তমানে সে আমার পরিবারের সম্পূর্ণ অবাধ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘কতিপয় সাক্ষী মিলন গাজী, শানু শিকদার ও শ্রী দুলাল মন্ডল এদের মোকাবেলায় আমার পুত্র আলিফ আল মাহমুদ রুদ্রকে ত্যাজ্য ঘোষণা করিলাম এবং সংসার হইতে চিরদিনের জন্য ত্যাজ্য করিলাম এবং আমার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হইতে বহিষ্কার করিলাম। আমি মৃত্যুর পরে আমার কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ ভিটিবাড়ি ও ঘর সে প্রাপ্ত হইবে না।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা সবাই জানি। এবং এ জন্য আমি একটি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে আমরা ছাত্রলীগ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ত্যাজ্যপুত্রের ঘোষণার কোনো ভিত্তি নেই। এটি নিছক ভ্রান্ত ধারণা। ত্যাজ্য বলে ঘোষণা করলেই পুত্র ত্যাজ্য হয়ে যায় না। আইন একে বৈধতা দেয় না। হলফনামার মাধ্যমে হলেও না।
এ ছাড়া এভাবে ঘোষণা দিয়ে সন্তানকে সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা যায় না। সেটা করতে হলে জীবিতাবস্থায় সম্পত্তি অন্য কাউকে দান করে কিংবা বিক্রি করে দখল ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে। যেটুকু সম্পত্তিই বাবা-মা নিজের নামে রেখে যান না কেন, তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীরা এই সম্পত্তির অংশীদার হবেন। এ থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে বঞ্চিত করার ঘোষণা মুসলিম আইন অনুযায়ী অকার্যকর।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া ছাত্রলীগের কর্মী আলিফ মাহমুদ রুদ্রকে (২২) এবার হলফনামা আকারে লিখিতভাবে ত্যাজ্য ঘোষণা দিলেন তাঁর বাবা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা রাসেল মোল্লা।
কলাপাড়া উপজেলার বাসিন্দা রাসেল মোল্লা গত ৩১ মে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করে ডাকযোগে হলফনামার কপি ছেলের কাছে পাঠান। গতকাল শনিবার (১৭ জুন) আলিফ তা হাতে পেয়েছেন।
রাসেল মোল্লা কলাপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর ছেলে আলিফ উপজেলার ইসমাইল তালুকদার টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। এখন তিনি কলাপাড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলিফ মাহমুদ রুদ্র আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি করায় আমার বাবা কিছুদিন আগে মৌখিকভাবে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করেছেন। গতকাল ডাকযোগে স্ট্যাম্পে লিখে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণার কাগজ হাতে পেলাম। ছাত্রলীগের রাজনীতি আমার রক্তে মিশে আছে, আমি এই রাজনীতি ছেড়ে ভালো থাকতে পারি না। তাই আমি ছাত্রলীগ ছাড়ব না।’
গত ২৩ মে মো. রাসেল মোল্লা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছেলেকে ত্যাজ্য ঘোষণা করলে তা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়।
রাসেল মোল্লা হলফনামায় বলেন, ‘দুঃখের বিষয়, আমার পুত্র আলিফ আল মাহমুদ রুদ্র আমার সম্পূর্ণ অবাধ্য, আমার নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য ফেলে রেখে রাজনীতিতে পড়ে থাকে। যাহা আমার জন্য এবং আমার পরিবারের জন্য আদৌ কাম্য নয়। সে প্রায়ই রাজনৈতিক কাজে অর্থ ব্যয় করার জন্য পরিবারের উপর চাপ প্রয়োগ করে, যাহা পরিবারের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাঁর আচার-ব্যবহারে সমাজে আমাদের প্রতিপন্ন হতে হয়, তাকে সংশোধন করার জন্য বহু চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হই এবং তাহার রাজনৈতিক খরচ বহন করার জন্য আমাদের উপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করে, যাহা আমার পুত্রের জীবন বিপন্ন হওয়ার নমুনা মাত্র। বর্তমানে সে আমার পরিবারের সম্পূর্ণ অবাধ্য।’
তিনি আরো বলেন, ‘কতিপয় সাক্ষী মিলন গাজী, শানু শিকদার ও শ্রী দুলাল মন্ডল এদের মোকাবেলায় আমার পুত্র আলিফ আল মাহমুদ রুদ্রকে ত্যাজ্য ঘোষণা করিলাম এবং সংসার হইতে চিরদিনের জন্য ত্যাজ্য করিলাম এবং আমার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হইতে বহিষ্কার করিলাম। আমি মৃত্যুর পরে আমার কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ ভিটিবাড়ি ও ঘর সে প্রাপ্ত হইবে না।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা সবাই জানি। এবং এ জন্য আমি একটি তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ হলে আমরা ছাত্রলীগ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ত্যাজ্যপুত্রের ঘোষণার কোনো ভিত্তি নেই। এটি নিছক ভ্রান্ত ধারণা। ত্যাজ্য বলে ঘোষণা করলেই পুত্র ত্যাজ্য হয়ে যায় না। আইন একে বৈধতা দেয় না। হলফনামার মাধ্যমে হলেও না।
এ ছাড়া এভাবে ঘোষণা দিয়ে সন্তানকে সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা যায় না। সেটা করতে হলে জীবিতাবস্থায় সম্পত্তি অন্য কাউকে দান করে কিংবা বিক্রি করে দখল ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে। যেটুকু সম্পত্তিই বাবা-মা নিজের নামে রেখে যান না কেন, তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁর বৈধ উত্তরাধিকারীরা এই সম্পত্তির অংশীদার হবেন। এ থেকে জীবিত অবস্থায় কাউকে বঞ্চিত করার ঘোষণা মুসলিম আইন অনুযায়ী অকার্যকর।
শেরপুরের নকলায় পরিত্যক্ত একটি ডোবা থেকে এক দরজির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুণীগাঁও মধ্যপাড়া গ্রামের এক ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের মুখ ও গলায় একাধিক ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
৬ মিনিট আগেরাজশাহীতে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার অভয়া-কামারপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেপ্রায় তিন মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরোনো নাম বদলে নতুন নাম ধারণ করা সাফারি পার্ক গাজীপুরে আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যাপক ভাঙচুরের পর পার্কটি বন্ধ রাখা হয়।
২৭ মিনিট আগেপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস উৎসবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। পুণ্যার্থীদের আগমনে ভরপুর কুয়াকাটার রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের প্রাঙ্গণসহ কুয়াকাটার আশপাশ।
১ ঘণ্টা আগে