আল-আমিন রাজু, ঝালকাঠি থেকে
ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচল করা অভিযান-১০ ছিল এই রুটের অন্যতম বিলাসবহুল লঞ্চ। যাত্রীদের বিলাসবহুল আলিশান প্রাসাদের স্বাদ দেওয়ার সব ধরনের আয়োজন থাকলেও নামেমাত্র ছিল জরুরি মুহূর্তে জীবন রক্ষার সরঞ্জাম।
ঝালকাঠি সদরের লঞ্চঘাটের টার্মিনালে বেঁধে রাখা আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চটি ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
লঞ্চটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কিছু অংশ ছিল ডেকের যাত্রীদের জন্য। আর দ্বিতীয় তলার অর্ধেক অংশ এবং তৃতীয় তলার পুরোটাই ছিল কেবিন যাত্রীদের জন্য। অভিযান-১০ লঞ্চে সিঙ্গেল ও ডাবল মিলিয়ে শতাধিক কেবিন ছিল। আর এসব কেবিনে পাঁচ তারকা মানের হোটেলের মতো সব ধরনের আয়োজন ছিল। শুধু ছিল না অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও জরুরি মুহূর্তে পানিতে লাফিয়ে জীবন বাঁচানোর বয়া।
অভিযান-১০-এর ডেকের যাত্রীদের জন্য নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় ৫০টিরও কম বয়া ছিল। দ্বিতীয় তলার কেবিন ব্লকে দুই পাশ মিলিয়ে ৮ থেকে ১০টি বয়া রাখার স্থান ছিল আর তৃতীয় তলায় ৫৮টি সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিনের জন্য সব মিলিয়ে ২০টি বয়া রাখার স্থান ছিল। অর্থাৎ শতাধিক কেবিনের জন্য মাত্র ৩০টি বয়া রাখার স্থানের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
হাজারের বেশি যাত্রী বহনকারী বিলাসবহুল অভিযান-১০ লঞ্চ যাত্রীসেবায় আকৃষ্ট করলেও উপেক্ষিত থেকে গেছে লঞ্চে ওঠা যাত্রীদের জীবন রক্ষার বিষয়টি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র যেন আরেক শুভংকরের ফাঁকি। পুরো লঞ্চটিতে মাত্র তিনটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পাওয়া গেছে। সেটিও ইঞ্জিনরুমের পাশে।
এ ছাড়া লঞ্চের রান্নাঘর ছিল ইঞ্জিনরুমের মাত্র ১০ ফুটের মধ্যে, চায়ের ক্যানটিন ছিল ১৫ ফুটের মধ্যে। ছিল না জরুরি মুহূর্তে বের হওয়ার কোনো উপায়। লঞ্চ থেকে যাত্রীদের বের হওয়ার দরজাটি তিন ফুটেরও কম। সেখান দিয়ে একসঙ্গে দুজন বের হওয়াই কষ্টকর।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির লাইনের ব্যবস্থা থাকলেও ছিল না ব্যবহার করার ব্যবস্থা। এমনকি আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরও অব্যবহৃত থেকে গেছে সেই পানির লাইন।
যাত্রীদের জন্য রাখা জীবনরক্ষা সামগ্রী বয়া রাখা ছিল অন্তত ১২ ফুট উচ্চতায়, যা দেখে গতকাল শনিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেছেন, এই বয়া কীভাবে পাবে যাত্রীরা। বাস্তবে ঘটেছেও তাই। লঞ্চে থাকা অল্পসংখ্যক যে বয়া ছিল, তার বেশির ভাগই থেকে গেছে লঞ্চে। কিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে আর কিছু বয়া আগুনে খানিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও টিকে গেছে যাত্রীদের জীবন নিয়ে অবহেলা আর লোক দেখানোর প্রতিবাদ হিসেবে।
বয়া রাখার স্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঘটনার পরদিন লঞ্চটি পরিদর্শনে আশা সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানও।
দুর্ঘটনার তৃতীয় দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চটি পরিদর্শনে যান ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি অভিযান-১০ ঘুরে দেখেছে।
ঢাকা-বরগুনা রুটে চলাচল করা অভিযান-১০ ছিল এই রুটের অন্যতম বিলাসবহুল লঞ্চ। যাত্রীদের বিলাসবহুল আলিশান প্রাসাদের স্বাদ দেওয়ার সব ধরনের আয়োজন থাকলেও নামেমাত্র ছিল জরুরি মুহূর্তে জীবন রক্ষার সরঞ্জাম।
ঝালকাঠি সদরের লঞ্চঘাটের টার্মিনালে বেঁধে রাখা আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চটি ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে।
লঞ্চটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার কিছু অংশ ছিল ডেকের যাত্রীদের জন্য। আর দ্বিতীয় তলার অর্ধেক অংশ এবং তৃতীয় তলার পুরোটাই ছিল কেবিন যাত্রীদের জন্য। অভিযান-১০ লঞ্চে সিঙ্গেল ও ডাবল মিলিয়ে শতাধিক কেবিন ছিল। আর এসব কেবিনে পাঁচ তারকা মানের হোটেলের মতো সব ধরনের আয়োজন ছিল। শুধু ছিল না অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও জরুরি মুহূর্তে পানিতে লাফিয়ে জীবন বাঁচানোর বয়া।
অভিযান-১০-এর ডেকের যাত্রীদের জন্য নিচতলা ও দ্বিতীয় তলায় ৫০টিরও কম বয়া ছিল। দ্বিতীয় তলার কেবিন ব্লকে দুই পাশ মিলিয়ে ৮ থেকে ১০টি বয়া রাখার স্থান ছিল আর তৃতীয় তলায় ৫৮টি সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিনের জন্য সব মিলিয়ে ২০টি বয়া রাখার স্থান ছিল। অর্থাৎ শতাধিক কেবিনের জন্য মাত্র ৩০টি বয়া রাখার স্থানের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
হাজারের বেশি যাত্রী বহনকারী বিলাসবহুল অভিযান-১০ লঞ্চ যাত্রীসেবায় আকৃষ্ট করলেও উপেক্ষিত থেকে গেছে লঞ্চে ওঠা যাত্রীদের জীবন রক্ষার বিষয়টি। এ ছাড়া অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র যেন আরেক শুভংকরের ফাঁকি। পুরো লঞ্চটিতে মাত্র তিনটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পাওয়া গেছে। সেটিও ইঞ্জিনরুমের পাশে।
এ ছাড়া লঞ্চের রান্নাঘর ছিল ইঞ্জিনরুমের মাত্র ১০ ফুটের মধ্যে, চায়ের ক্যানটিন ছিল ১৫ ফুটের মধ্যে। ছিল না জরুরি মুহূর্তে বের হওয়ার কোনো উপায়। লঞ্চ থেকে যাত্রীদের বের হওয়ার দরজাটি তিন ফুটেরও কম। সেখান দিয়ে একসঙ্গে দুজন বের হওয়াই কষ্টকর।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির লাইনের ব্যবস্থা থাকলেও ছিল না ব্যবহার করার ব্যবস্থা। এমনকি আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরও অব্যবহৃত থেকে গেছে সেই পানির লাইন।
যাত্রীদের জন্য রাখা জীবনরক্ষা সামগ্রী বয়া রাখা ছিল অন্তত ১২ ফুট উচ্চতায়, যা দেখে গতকাল শনিবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা মন্তব্য করেছেন, এই বয়া কীভাবে পাবে যাত্রীরা। বাস্তবে ঘটেছেও তাই। লঞ্চে থাকা অল্পসংখ্যক যে বয়া ছিল, তার বেশির ভাগই থেকে গেছে লঞ্চে। কিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে আর কিছু বয়া আগুনে খানিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও টিকে গেছে যাত্রীদের জীবন নিয়ে অবহেলা আর লোক দেখানোর প্রতিবাদ হিসেবে।
বয়া রাখার স্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঘটনার পরদিন লঞ্চটি পরিদর্শনে আশা সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানও।
দুর্ঘটনার তৃতীয় দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া অভিযান-১০ লঞ্চটি পরিদর্শনে যান ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলটি অভিযান-১০ ঘুরে দেখেছে।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাহিলাড়া-নলচিড়া সড়কের কেফায়েত নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১২ মিনিট আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা বাজারে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ দুই শতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান চালায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগ...
১৮ মিনিট আগেরংপুরের কাউনিয়ায় মহাসড়কে পড়ে ছিল অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের (৪০) ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মীরবাগ বিজলের ঘুণ্টি এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্ৰাম মহাসড়ক থেকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৩৮ মিনিট আগেরাজধানীর পল্লবীতে তিন ও সাত বছরের দুই ছেলেসন্তানকে গলাকেটে হত্যার পর বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর বাগেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে