নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্যে উঠে আসছে দুই দিন ধরে।
খোলা চোখে ইউএনওর বাসার পোস্টার অপসারণ নিয়ে যে সংঘর্ষের শুরু, তা যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার (বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক) রাজনীতির মারপ্যাঁচ—গত কয়েক দিনে তা পরিষ্কার। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে সরকার, দল ও সামাজিক মাধ্যমে যে আপত্তি উঠেছে, সেই সংগঠনের সভাপতি কবীর বিন আনোয়ার পানি-সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
প্রথম দিকে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার পর গতকাল রোববার এক আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে দুই মামলা। যাতে ইউএনও মনিবুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও চিন্তা বাড়িয়েছে সব মহলে।
স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি এত দূর গড়াত না। আওয়ামী লীগ জোট সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করা শুরু করলে তা ক্ষতি করবে ক্ষমতাসীনদেরই।
আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশালের ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আমি চাই আইন অনুসারে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হোক। মেয়রের পক্ষ থেকেও যদি কোনো মামলা হয় সেটিও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
কিন্তু গত বুধবারের ঘটনার পরদিন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’—বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বিবৃতি নিয়ে পানি ঘোলা শুরু হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক আলোচনায় ‘দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না, যদি দলের লোকও হয়’—এমন বক্তব্য দিলে হালে পানি পান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও সরকারে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ জানান।
আলোচনা ঘুরে যায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে শব্দ ব্যবহারের দিকে। সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার আর কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তবে বরিশালের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। সরকারি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিবৃতিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও বিবৃতির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, সব বিষয়ই আমরা দেখছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সরকার সবকিছু দেখছে। সবাইকে তাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকে আচরণ করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। দুজন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তাঁরা কোনো কথা বলতে চান না।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবৃতিতে তাঁরা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, জ্যেষ্ঠ নেতারা এর একটি সম্মানজনক সমাধান করবেন। এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (বরিশাল সদর ইউএনওর কার্যালয়) কিছু পোস্টার অপসারণ করতে গেলে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিরসন হয়ে যাবে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। মামলায় কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
বরিশালের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন চটজলদি বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, দল বিব্রত কি না—সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের মাঝে যে তিক্ততা রয়েছে তা মেটেনি। এ নিয়ে দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। গত ২৮ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই এগুলো দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ...এটা একটা রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদদের যে একটা কর্তৃত্ব বা কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’
হঠাৎ করে দৃশ্যপট পাল্টানো শুরু হয়েছে বরিশালের ঘটনার। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি থেকে ভুল-বোঝাবুঝিতে নেমে এসেছে শব্দের ব্যবহার। তবে পুরো বিষয়টি সরকারের জন্য অস্বস্তিকর সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে বোঝানোর দরকার পড়ছে না। বরিশালের মেয়র ও ইউএনও ইস্যু যে সরকার ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে, সেটি সরকারের শীর্ষ মহলের বক্তব্যে উঠে আসছে দুই দিন ধরে।
খোলা চোখে ইউএনওর বাসার পোস্টার অপসারণ নিয়ে যে সংঘর্ষের শুরু, তা যে আওয়ামী লীগের দুই নেতার (বরিশালের মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক) রাজনীতির মারপ্যাঁচ—গত কয়েক দিনে তা পরিষ্কার। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভাষা নিয়ে সরকার, দল ও সামাজিক মাধ্যমে যে আপত্তি উঠেছে, সেই সংগঠনের সভাপতি কবীর বিন আনোয়ার পানি-সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব।
প্রথম দিকে বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলার পর গতকাল রোববার এক আওয়ামী লীগ নেতা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) এক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে করা হয়েছে দুই মামলা। যাতে ইউএনও মনিবুর রহমান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি মামলাও চিন্তা বাড়িয়েছে সব মহলে।
স্থানীয় সরকার, জনপ্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা বলছেন, ঘটনার পরই কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি এত দূর গড়াত না। আওয়ামী লীগ জোট সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত। এভাবে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করা শুরু করলে তা ক্ষতি করবে ক্ষমতাসীনদেরই।
আওয়ামী লীগের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় সাধারণ সম্পাদক ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তারপর এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।’
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বরিশালের ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আমি চাই আইন অনুসারে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হোক। মেয়রের পক্ষ থেকেও যদি কোনো মামলা হয় সেটিও আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি হওয়া উচিত।’
কিন্তু গত বুধবারের ঘটনার পরদিন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি এবং ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে’—বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন বিবৃতি নিয়ে পানি ঘোলা শুরু হয়েছে। একই দিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক আলোচনায় ‘দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না, যদি দলের লোকও হয়’—এমন বক্তব্য দিলে হালে পানি পান প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু তারপরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আওয়ামী লীগ ও সরকারে। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের বড় একটি অংশ মাঠ প্রশাসনের কর্তৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ জানান।
আলোচনা ঘুরে যায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে শব্দ ব্যবহারের দিকে। সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার আর কোথাও কোনো মন্তব্য করেননি। আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। তবে বরিশালের ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ। সরকারি ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, বিবৃতিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাও বিবৃতির ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেখানে কেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল, সব বিষয়ই আমরা দেখছি। আমরা বোঝার চেষ্টা করছি, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই সরকার সবকিছু দেখছে। সবাইকে তাদের এখতিয়ারের মধ্য থেকে আচরণ করতে হবে।’ বিষয়টি নিয়ে বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। দুজন বলেন, ঘটনাটি নিয়ে দলের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক কথা বলবেন। তাঁরা কোনো কথা বলতে চান না।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিবৃতিতে তাঁরা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, তা খুবই আপত্তিজনক। আশা করি, জ্যেষ্ঠ নেতারা এর একটি সম্মানজনক সমাধান করবেন। এই সমাধানের মধ্যে রয়েছে ভবিষ্যতের কর্মকাণ্ড।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে (বরিশাল সদর ইউএনওর কার্যালয়) কিছু পোস্টার অপসারণ করতে গেলে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এটা নিরসন হয়ে যাবে।’ মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলা যে কারও বিরুদ্ধে হতে পারে। মামলায় কেউ দোষী হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
বরিশালের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন চটজলদি বিবৃতি দিয়েছে বলে মনে করছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত মেয়রকে আসামি করায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না, দল বিব্রত কি না—সেই প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ইতিপূর্বে অনেক মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলা হলে সেটি তদন্তে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত এটি নিয়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট, মাঠ প্রশাসন ও দলীয় নেতাদের মাঝে যে তিক্ততা রয়েছে তা মেটেনি। এ নিয়ে দুই মাস আগে জাতীয় সংসদে আলোচনা হয়েছে। গত ২৮ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এখন আমাদের জেলায় জেলায় দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা। মানুষ মনে করে আমরা যা দিই এগুলো দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ...এটা একটা রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদদের যে একটা কর্তৃত্ব বা কাজ, সেটা কিন্তু ম্লান হয়ে যায়।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
০১ জানুয়ারি ১৯৭০নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩২ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে