মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবাধ্য হলে বিপাকে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
দলের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী আলমগীরের নিজস্ব একটি বলয় ছিল। এর মাধ্যমে জেলাজুড়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার, নিয়োগ ও সালিস-বাণিজ্যে। আর দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি। আর মতের অমিল হলেই জামায়াত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করতেন প্রতিপক্ষকে; এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা।
টেন্ডার-বাণিজ্য
সরকারি দপ্তরগুলো ছিল কাজী আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে। জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের গড়ে তোলা সিন্ডিকেট দিয়ে বাগিয়ে নিতেন ঠিকাদারি কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজী আলমগীর কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করে সুপারিশ করতেন এবং তাঁর কাজটি করার জন্য প্রভাব বিস্তারও করতেন। আর কাজটি না হলেই ডিসি অফিসের সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতেন।’
বঞ্চিত ইজারাদার তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘গত মে মাসে সড়ক বিভাগের অধীনে গলাচিপা ফেরিঘাট ইজারাদার হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি হই। তবে কাজী আলমগীর চাচায় তাঁর বাহিনী পাঠিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্যাদেশ অন্যকে পাইয়ে দেন। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগই নয়, জেলার সব দপ্তর তাঁর বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার-বাণিজ্য চালাতেন।’
রেস্টরুম দখল করে অফিস
পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর বাঁধঘাট এলাকার বটতলা মোড়ে ছিল কাজী আলমগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকলেও বসতেন না সেখানে। বটতলা মোড়ে পৌরসভার একটি পার্কের রেস্টরুম দখল করে সালিস-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন সেখান থেকে। ৫ আগস্টের পর কাজী আলমগীর গা ঢাকা দেওয়ায় পৌরসভা তাদের রেস্টরুমটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার জানা মতে উনি (কাজী আলমগীর) পার্কের রুমটিতে বসতেন। ৫ আগস্টের পর এটির চাবি আনা হয়েছে; বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর
২০২১ সালে শহরের শিশুপার্ক এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’র সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হানের বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। কাজী আলমগীর অপরপক্ষের সুবিধা নিয়ে সালিসের মাধ্যমে রায়হানের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। না পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি কর্মসূচি ও রায়হানের ওপর হামলা করে পণ্ড করে দেওয়া হয়; যা তখন দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘কাজী আলমগীর শহরের বিভিন্ন জায়গা-জমির, এমনকি পারিবারিক সালিস টাকার মাধ্যমে করতেন তাঁর বটতলা অফিসে। তিনি প্রকাশ্যে সার্কিট হাউস মোড়ে বসে আমার গায়ে হাত দেন এবং আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে সামাজিকভাবে অপমান করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকায় কোনো মানুষ তাঁর অপরাধ এবং অপকর্ম নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে পদ-বাণিজ্য
জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘হুন্ডা ড্রাইভারের প্রেসক্রিপশনে চলত জেলা আওয়ামী লীগ। দলের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজের সন্তান এবং স্বজনদের জন্য বিভিন্ন অফিসের ঠিকাদারি কাজের তদবির করত।’
সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সোয়েব বলেন, ‘কাজী আলমগীর দলের দায়িত্বে আসার পর ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে বিপরীত দলের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দলীয় পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষ্পেষিত করে শেষ করে দিয়েছেন।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দল করেছি কিন্তু তিনি (কাজী আলমগীর) আমাদের দলের কাছেও ঘেঁষতে দেননি। দলের মধ্যে তাঁর কারণে আমরা ছিলাম স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি খারাপ লোকদের নিয়ে চলায় এবং তাঁর অপকর্মের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আজ বিপদে পড়েছেন।’
যেভাবে উত্থান
সরকারি জুবলি উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী রবি বলেন, ‘আমি মুকুল সিনেমা হলে ৮০ সালের পর হইতে অনেক বছর চাকরি করছি। তয়, ৯০ সালের দিক কাজী আলমগীর আমাগো হলের ম্যানেজার আছিল। মালিকের লগে ভালো সম্পর্ক থাহায় উনি আইয়া যাইয়া সব দেহাশুনা করতো।’
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর কাজী আলমগীর হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করলেও হেরে যান তিনি। তবে ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও তাঁর সভা-সমাবেশে জেলার পাঁচ এমপি উপস্থিত থাকতেন। এ নিয়ে নিজেই দাম্ভিকতা করতেন কাজী আলমগীর।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পটুয়াখালীতে এসেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ তাজুল ইসলাম। তবে কাজী আলমগীরকে না জানিয়ে আসায় শিশু একাডেমিতে সুধী সমাবেশে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দলের নেতা আসছে আর আমি জানি না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার পাঁচটা এমপি থাকে আমার পকেটে।’ তাঁর এই বক্তব্য তখন ভাইরাল হয়।
একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি
কাজী আলমগীরের গ্রামের বাড়ি জেলার দশমিনা উপজেলায়। তবে পটুয়াখালীর দক্ষিণ সবুজবাগে আবহাওয়া অফিসের পাশে একটি এবং পিটিআই সড়কে আরেকটি বাড়ি আছে তাঁর ও সন্তানদের নামে। এ ছাড়া ঢাকায়ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
ছাত্রলীগের পরে যুবলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পেশা ছিল সিনেমা হলের ম্যানেজার। পরে হন এক স্কুলের শিক্ষক। আরও পরে আওয়ামী লীগ নেতা। চেয়েছিলেন মেয়র ও সংসদ সদস্য (এমপি) হতে। তবে তা না হতে পারলেও আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পেয়ে যান। আর এর ক্ষমতাবলে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন পুরো জেলা। এমনকি জেলার পাঁচ এমপিও তাঁর অবাধ্য হলে বিপাকে পড়তেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর।
দলের নেতা ও স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজী আলমগীরের নিজস্ব একটি বলয় ছিল। এর মাধ্যমে জেলাজুড়ে তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং টেন্ডার, নিয়োগ ও সালিস-বাণিজ্যে। আর দলের পদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়েছেন তিনি। আর মতের অমিল হলেই জামায়াত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে হয়রানি করতেন প্রতিপক্ষকে; এমনকি দলীয় নেতা-কর্মীদেরও। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা।
টেন্ডার-বাণিজ্য
সরকারি দপ্তরগুলো ছিল কাজী আলমগীরের নিয়ন্ত্রণে। জেলার উন্নয়ন সমন্বয় সভাগুলোতে বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন এবং নিজের গড়ে তোলা সিন্ডিকেট দিয়ে বাগিয়ে নিতেন ঠিকাদারি কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রথম শ্রেণির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাজী আলমগীর কাজের জন্য বিভিন্ন সময় ফোন করে সুপারিশ করতেন এবং তাঁর কাজটি করার জন্য প্রভাব বিস্তারও করতেন। আর কাজটি না হলেই ডিসি অফিসের সমন্বয় সভায় প্রকাশ্যে গালিগালাজ করতেন।’
বঞ্চিত ইজারাদার তৌফিক আলী খান কবির বলেন, ‘গত মে মাসে সড়ক বিভাগের অধীনে গলাচিপা ফেরিঘাট ইজারাদার হিসেবে সর্বোচ্চ দরদাতা আমি হই। তবে কাজী আলমগীর চাচায় তাঁর বাহিনী পাঠিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে টাকার বিনিময়ে কার্যাদেশ অন্যকে পাইয়ে দেন। শুধু সড়ক ও জনপথ বিভাগই নয়, জেলার সব দপ্তর তাঁর বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে টেন্ডার-বাণিজ্য চালাতেন।’
রেস্টরুম দখল করে অফিস
পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গরুর বাঁধঘাট এলাকার বটতলা মোড়ে ছিল কাজী আলমগীরের ব্যক্তিগত কার্যালয়। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থাকলেও বসতেন না সেখানে। বটতলা মোড়ে পৌরসভার একটি পার্কের রেস্টরুম দখল করে সালিস-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দলীয় সব কার্যক্রম পরিচালনা করতেন সেখান থেকে। ৫ আগস্টের পর কাজী আলমগীর গা ঢাকা দেওয়ায় পৌরসভা তাদের রেস্টরুমটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমার জানা মতে উনি (কাজী আলমগীর) পার্কের রুমটিতে বসতেন। ৫ আগস্টের পর এটির চাবি আনা হয়েছে; বর্তমানে আমাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর
২০২১ সালে শহরের শিশুপার্ক এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পটুয়াখালীবাসী’র সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হানের বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে। কাজী আলমগীর অপরপক্ষের সুবিধা নিয়ে সালিসের মাধ্যমে রায়হানের ওপর প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। না পেরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের একটি কর্মসূচি ও রায়হানের ওপর হামলা করে পণ্ড করে দেওয়া হয়; যা তখন দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
স্বেচ্ছাসেবী মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘কাজী আলমগীর শহরের বিভিন্ন জায়গা-জমির, এমনকি পারিবারিক সালিস টাকার মাধ্যমে করতেন তাঁর বটতলা অফিসে। তিনি প্রকাশ্যে সার্কিট হাউস মোড়ে বসে আমার গায়ে হাত দেন এবং আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে সামাজিকভাবে অপমান করেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকায় কোনো মানুষ তাঁর অপরাধ এবং অপকর্ম নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারেননি।’
দলীয় নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে পদ-বাণিজ্য
জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য জুয়েল ইসলাম মিঠুন বলেন, ‘হুন্ডা ড্রাইভারের প্রেসক্রিপশনে চলত জেলা আওয়ামী লীগ। দলের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে নিজের সন্তান এবং স্বজনদের জন্য বিভিন্ন অফিসের ঠিকাদারি কাজের তদবির করত।’
সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সোয়েব বলেন, ‘কাজী আলমগীর দলের দায়িত্বে আসার পর ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে বিপরীত দলের লোকজনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দলীয় পদ ও মনোনয়ন-বাণিজ্য করে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে নিষ্পেষিত করে শেষ করে দিয়েছেন।’
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা দল করেছি কিন্তু তিনি (কাজী আলমগীর) আমাদের দলের কাছেও ঘেঁষতে দেননি। দলের মধ্যে তাঁর কারণে আমরা ছিলাম স্বতন্ত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। তিনি সব সময় আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি খারাপ লোকদের নিয়ে চলায় এবং তাঁর অপকর্মের জন্য তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আজ বিপদে পড়েছেন।’
যেভাবে উত্থান
সরকারি জুবলি উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী রবি বলেন, ‘আমি মুকুল সিনেমা হলে ৮০ সালের পর হইতে অনেক বছর চাকরি করছি। তয়, ৯০ সালের দিক কাজী আলমগীর আমাগো হলের ম্যানেজার আছিল। মালিকের লগে ভালো সম্পর্ক থাহায় উনি আইয়া যাইয়া সব দেহাশুনা করতো।’
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর কাজী আলমগীর হন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ২০১৮ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করলেও হেরে যান তিনি। তবে ২০১৯ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে একাধিকবার দলের মনোনয়ন চেয়ে না পেলেও তাঁর সভা-সমাবেশে জেলার পাঁচ এমপি উপস্থিত থাকতেন। এ নিয়ে নিজেই দাম্ভিকতা করতেন কাজী আলমগীর।
২০২১ সালের ১২ অক্টোবর পটুয়াখালীতে এসেছিলেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ তাজুল ইসলাম। তবে কাজী আলমগীরকে না জানিয়ে আসায় শিশু একাডেমিতে সুধী সমাবেশে সবার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দলের নেতা আসছে আর আমি জানি না। আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জেলার পাঁচটা এমপি থাকে আমার পকেটে।’ তাঁর এই বক্তব্য তখন ভাইরাল হয়।
একাধিক ফ্ল্যাট, বাড়ি
কাজী আলমগীরের গ্রামের বাড়ি জেলার দশমিনা উপজেলায়। তবে পটুয়াখালীর দক্ষিণ সবুজবাগে আবহাওয়া অফিসের পাশে একটি এবং পিটিআই সড়কে আরেকটি বাড়ি আছে তাঁর ও সন্তানদের নামে। এ ছাড়া ঢাকায়ও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি–১৫–এর একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় বাসার ভাড়াটিয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক ভোর পৌনে ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
৯ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রথম স্ত্রীর বাসায় যাওয়ায় স্বামীকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার গভীর রাতে পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে