মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশকে লগি–বইঠা নিয়ে ধাওয়া

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ৪৪

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশকে লগি-বইঠা নিয়ে ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন জেলেরা। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ঢনঢনিয়া কেদির খালে এ ঘটনা ঘটে।

ইলিশের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর মাছ শিকার, আহরণ, পরিবহন, ক্রয়–বিক্রয় ও মজুত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদে উপজেলা মৎস্য অফিস ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। গতকাল বিকেল ৫টায় তেঁতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ঢনঢনিয়া কেদির খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নৌকা নিয়ে অভিযান চালান। এ সময় ওই এলাকার এক থেকে দেড় শ জেলে লগি–বইঠা নিয়ে তাঁদের ধাওয়া দেয় এবং তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। বাধ্য হয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও নৌ পুলিশ সদস্যরা ফিরে যান। 

এ বিষয়ে মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঢনঢনিয়া খালে অভিযান পরিচালনার সময় ওই এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী রমিজ ও আল–আমিন মুন্সি এক থেকে দেড় শ লোক নিয়ে আমাদের কাজে বাধা দেয়। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় ফিরে আসতে হয়।’ 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢনঢনিয়া কানাই খালে কয়েকজন জেলে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে—এমন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখি সাত–আটটি নৌকায় জাল রয়েছে। নৌকার কাছে গেলে ওই এলাকার জেলেরা লগি–বইঠা নিয়ে আমাদের ধাওয়া করে এবং ইটের খোয়া মারে। তখন আমরা চলে আসি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।’ 

অভিযান দেখে লগি–বইঠা নিয়ে ধাওয়া দেন স্থানীয় জেলেরাইউএনও নাফিসা নাজ নীরা বলেন, ‘ঘটনার বিষয় আমাকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অবরোধ সময়ে কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না।’ 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি দেখছি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত