অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ, শেবাচিম হাসপাতালে ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬: ৫৮

বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মো. শহীদ হাওলাদার নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনেরা চিকিৎসকের কক্ষ ভাঙচুর করেছেন। আজ রোববার হাসপাতালের নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ড-২-এ এই ঘটনা ঘটে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

শহীদ হাওলাদার (৪৮) বরিশাল মহানগর বিমানবন্দর থানার কলসগ্রামের মো. আলী হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর হামলাকারী একজনকে পুলিশ আটক করলেও চিকিৎসকদের অনুরোধে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

নিহতের ছেলে মো. জুম্মান হাওলাদারের অভিযোগ, তাঁর বাবা বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে আজ সকালের দিকে ভর্তি হন। এ সময় তাঁর অক্সিজেনের দরকার ছিল। কিন্তু অক্সিজেন দেওয়ার মতো কোনো চিকিৎসক বা স্টাফ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে অক্সিজেনের অভাবে তাঁর বাবা মৃত্যুবরণ করেন। খবর পেয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক এসে নার্সদের বকাবকি করেন। এ ঘটনায় আত্মীয়স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের রুমে টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করেন। 

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় মো. জুম্মানকে আটক করা হয়। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা এসে বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে মো. জুম্মানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

sera hoispitalহাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই মো. মাইনুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুম্মান চিকিৎসকের কক্ষে টেবিলের গ্লাস, চেয়ার ও কাপ-পিরিচ ভেঙে ফেলে। বাবার মৃত্যুর কারণে বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি। তাই চিকিৎসকেরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়, সেটা সঠিক নয়। তাঁরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। চিকিৎকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত