হিজলা (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের হিজলা উপজেলায় এক গৃহবধূর লাশ নিয়ে স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজনের মাঝে টানাহেঁচড়া এবং মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে আবার শুরু হয় মারামারি। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পুলিশের মধ্যস্থতায় দাফনের জন্য লাশ স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে টানাটানি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে লাশ উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে আজ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মৃত গৃহবধূর নাম পারভীন বেগম। তিনি কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক গ্রামের মানিক সিকদারের মেয়ে এবং একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার আক্তার সরদারের স্ত্রী। তাঁদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, গতকাল রাতে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। তখন ওই গৃহবধূর লাশ উপজেলার গোলেরহাট নামক বাজারে এলে উভয় পরিবারের লোকজন জড়ো হন। তাঁরা লাশবাহী গাড়ির পথরোধ করেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে হিজলা থানা-পুলিশ এসে স্বামী অনুপস্থিত থাকায় মরদেহ বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এরপর আজ ওই গৃহবধূর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ফেরার পথে স্বামীর বাড়ির লোকজন বাধা দেয়। স্বামীর দাবি, স্ত্রীর লাশ নিজের বাড়িতে দাফন করবেন। অন্যদিকে গৃহবধূর বাবার পরিবারের দাবি, তাদের বাড়িতে দাফন হবে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় চার ব্যক্তি আহত হন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই গৃহবধূর মরদেহ স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আন্ধারমানিক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কাজী জানান, গৃহবধূর মরদেহ স্বামীর বাড়িতে কবর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে গৃহবধূর পরিবার।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর মা কল্পনা বেগম জানান, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ছেলে সন্তান হয় না বলে তাঁর মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে আসছেন আক্তার সরদার। তাঁরা প্রতিবাদ করলে, মেয়ে লালনপালনের খরচ মেটাতে বলে জামাতার পরিবার। এ নিয়ে কিছুদিন পরপর তাঁর মেয়ের ওপর চরম নির্যাতন চালান আক্তার। গত বৃহস্পতিবার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তাঁর মেয়ে। পরের দিন আবার চলে যান তিনি।
মৃত গৃহবধূর ভাই জানান, ভগ্নিপতির পরিবার থেকে তাঁর বোনকে অনেকবার স্বামীর ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু মেয়ে তিনটির কথা চিন্তা করে যাননি তাঁর বোন। গত দুই দিন আগে নির্যাতনে শিকার হয়ে তাঁদের বাড়িতে এলে ওষুধ কিনে দেন তাঁরা। বোনের হত্যার বিচারের দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় মৃত নারীর মেয়ে (১৪) জানায়, গতকাল দুপুরে হঠাৎ তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার দাদি ও বাবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মায়ের মৃত্যু হয়। গতকাল তার বাবা তার মায়ের প্রতি কোনো নির্যাতন করেনি বলে জানায় সে। তবে আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হতো বলে জানায় মৃত গৃহবধূর মেয়ে।
কাজিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের পর আবারও দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় দাফনের জন্য লাশ স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
বরিশালের হিজলা উপজেলায় এক গৃহবধূর লাশ নিয়ে স্বামী ও বাবার বাড়ির লোকজনের মাঝে টানাহেঁচড়া এবং মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে আবার শুরু হয় মারামারি। এতে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও পুলিশের মধ্যস্থতায় দাফনের জন্য লাশ স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে টানাটানি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে লাশ উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে আজ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
মৃত গৃহবধূর নাম পারভীন বেগম। তিনি কাজিরহাট থানার আন্ধারমানিক গ্রামের মানিক সিকদারের মেয়ে এবং একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী এলাকার আক্তার সরদারের স্ত্রী। তাঁদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।
জানা যায়, গতকাল রাতে ওই গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। তখন ওই গৃহবধূর লাশ উপজেলার গোলেরহাট নামক বাজারে এলে উভয় পরিবারের লোকজন জড়ো হন। তাঁরা লাশবাহী গাড়ির পথরোধ করেন এবং উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে হিজলা থানা-পুলিশ এসে স্বামী অনুপস্থিত থাকায় মরদেহ বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
এরপর আজ ওই গৃহবধূর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে ফেরার পথে স্বামীর বাড়ির লোকজন বাধা দেয়। স্বামীর দাবি, স্ত্রীর লাশ নিজের বাড়িতে দাফন করবেন। অন্যদিকে গৃহবধূর বাবার পরিবারের দাবি, তাদের বাড়িতে দাফন হবে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় চার ব্যক্তি আহত হন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের মধ্যস্থতায় ওই গৃহবধূর মরদেহ স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আন্ধারমানিক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম কাজী জানান, গৃহবধূর মরদেহ স্বামীর বাড়িতে কবর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে গৃহবধূর পরিবার।
এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর মা কল্পনা বেগম জানান, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ছেলে সন্তান হয় না বলে তাঁর মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে আসছেন আক্তার সরদার। তাঁরা প্রতিবাদ করলে, মেয়ে লালনপালনের খরচ মেটাতে বলে জামাতার পরিবার। এ নিয়ে কিছুদিন পরপর তাঁর মেয়ের ওপর চরম নির্যাতন চালান আক্তার। গত বৃহস্পতিবার স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন তাঁর মেয়ে। পরের দিন আবার চলে যান তিনি।
মৃত গৃহবধূর ভাই জানান, ভগ্নিপতির পরিবার থেকে তাঁর বোনকে অনেকবার স্বামীর ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু মেয়ে তিনটির কথা চিন্তা করে যাননি তাঁর বোন। গত দুই দিন আগে নির্যাতনে শিকার হয়ে তাঁদের বাড়িতে এলে ওষুধ কিনে দেন তাঁরা। বোনের হত্যার বিচারের দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় মৃত নারীর মেয়ে (১৪) জানায়, গতকাল দুপুরে হঠাৎ তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তার দাদি ও বাবা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মায়ের মৃত্যু হয়। গতকাল তার বাবা তার মায়ের প্রতি কোনো নির্যাতন করেনি বলে জানায় সে। তবে আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হতো বলে জানায় মৃত গৃহবধূর মেয়ে।
কাজিরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন জানান, ময়নাতদন্তের পর আবারও দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় দাফনের জন্য লাশ স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
১১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৪১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
২ ঘণ্টা আগে