মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন খেয়াঘাট গুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে দুই তিন গুন বেশি ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা। লকডাউনের শুরু থেকে বাড়তি এই ভাড়া নেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এর ফলে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সংযোগে থাকা খেয়া ঘাটগুলো এখন জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায়ের ঘটনা পুরো জেলার উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের ইজারা দেওয়া খেয়াঘাটগুলোয় এমন নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, জেলা পরিষদের পুরো জেলায় ২৪টি খেয়াঘাট রয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন পৌরসভাসহ উপজেলাগুলোতে একাধিক খেয়াঘাট রয়েছে। তবে এসব খেয়া পারাপার হওয়া সকল যাত্রীরাই বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সরেজমিনে পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মির্জাগঞ্জ পাড়ে জেলা পরিষদ নির্ধারিত তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা। তালিকায় জনপ্রতি ১০ টাকা, চালকসহ বাইসাইকেল ১২ টাকা, চালকসহ মোটরসাইকেল ২৫ টাকা, রিকশা/ভ্যান/ঠেলাগাড়ি ১৩ টাকা। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। বর্তমানে খেয়ায় নদী পারাপার করতে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেল প্রতি ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ দিকে কলাপাড়া বালিয়াতলি খেয়াঘাটের তালিকা অনুযায়ী জন প্রতি ৪ টাকা, মোটরসাইকেল প্রতি ১০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পারাপার করতে জন প্রতি ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল প্রতি ৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বাউফলের চন্দ্রদিপ, গলাচিপার হরিদেবপুর খেয়াঘাটসহ জেলার অন্যান্য খেয়া ঘাটগুলোরও একই অবস্থা চলছে।
প্রতিদিন খেয়া পারাপার হওয়ায় একাধিক যাত্রীরা জানান, করোনার শুরু থেকেই এই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে না চাইলে অনেক সময় ইজারাদারের লোক জনের কাছে অপমান অপদস্থ হতে হয় বলেও জানান তাঁরা।
পায়রাকুঞ্জ খেয়া পারাপারের যাত্রী বেতাগী উপজেলার রহিম মিয়া বলেন, ‘করোনায় মানুষের আয় কমে গেলেও খেয়া ভাড়া কমে নাই। ভাড়া আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। দশ টাকার ভাড়া ২০ টাকা।’
পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারাদার স্বপন হাওলাদার বলেন, ‘খেয়াঘাটে আমরা লসে আছি। এখন একটু ভাড়া বেশি নেই। জন প্রতি ভাড়া ১৫ টাকা করার জন্য বলেছি।’
কলাপাড়া লালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জুয়েল হোসেন বলেন, ‘এখনতো ভাড়া কম হওয়া উচিত। কিন্তু পাঁচটি ইউনিয়ন লতাচাপলী, ধুলাসার, ডালবুগঞ্জ, বালিয়াতলী এবং লালুয়া ইউপির সাধারণ জনগণ খেয়াঘাটে জিম্মি। মানুষ জন প্রতি ১০ টাকা মোটরসাইকেল প্রতি ৪০ টাকা এমনকি হাতে একটা পোটলা থাকলেই ২০০ টাকা দিতে হয়। এই ভাড়া রাতে দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।’
কলাপাড়া বালিয়াতলি খেয়াঘাটের ইজারাদার আবু মুসা বলেন, ‘আমাদের খেয়া ঘাটের ভাড়া বাড়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। পরে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছেও আবেদন করলে ভাড়া বাড়ায়নি। যার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে গত তিন মাস ধরে ভাড়া বেশি নেই।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করেছি। যদি এখনো হয়ে থাকে তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জেলা পরিষদের খেয়াঘাটগুলো সব সময় মনিটরিং করা হয়। এ ছাড়াও খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে আমরা সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আবারো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন খেয়াঘাট গুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে দুই তিন গুন বেশি ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা। লকডাউনের শুরু থেকে বাড়তি এই ভাড়া নেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এর ফলে পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সংযোগে থাকা খেয়া ঘাটগুলো এখন জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায়ের ঘটনা পুরো জেলার উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের ইজারা দেওয়া খেয়াঘাটগুলোয় এমন নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, জেলা পরিষদের পুরো জেলায় ২৪টি খেয়াঘাট রয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসন পৌরসভাসহ উপজেলাগুলোতে একাধিক খেয়াঘাট রয়েছে। তবে এসব খেয়া পারাপার হওয়া সকল যাত্রীরাই বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সরেজমিনে পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মির্জাগঞ্জ পাড়ে জেলা পরিষদ নির্ধারিত তালিকার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন ইজারাদাররা। তালিকায় জনপ্রতি ১০ টাকা, চালকসহ বাইসাইকেল ১২ টাকা, চালকসহ মোটরসাইকেল ২৫ টাকা, রিকশা/ভ্যান/ঠেলাগাড়ি ১৩ টাকা। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। বর্তমানে খেয়ায় নদী পারাপার করতে জনপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা এবং মোটরসাইকেল প্রতি ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ দিকে কলাপাড়া বালিয়াতলি খেয়াঘাটের তালিকা অনুযায়ী জন প্রতি ৪ টাকা, মোটরসাইকেল প্রতি ১০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পারাপার করতে জন প্রতি ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল প্রতি ৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও বাউফলের চন্দ্রদিপ, গলাচিপার হরিদেবপুর খেয়াঘাটসহ জেলার অন্যান্য খেয়া ঘাটগুলোরও একই অবস্থা চলছে।
প্রতিদিন খেয়া পারাপার হওয়ায় একাধিক যাত্রীরা জানান, করোনার শুরু থেকেই এই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়। এ ছাড়া বাড়তি ভাড়া দিতে না চাইলে অনেক সময় ইজারাদারের লোক জনের কাছে অপমান অপদস্থ হতে হয় বলেও জানান তাঁরা।
পায়রাকুঞ্জ খেয়া পারাপারের যাত্রী বেতাগী উপজেলার রহিম মিয়া বলেন, ‘করোনায় মানুষের আয় কমে গেলেও খেয়া ভাড়া কমে নাই। ভাড়া আরও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। দশ টাকার ভাড়া ২০ টাকা।’
পায়রাকুঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারাদার স্বপন হাওলাদার বলেন, ‘খেয়াঘাটে আমরা লসে আছি। এখন একটু ভাড়া বেশি নেই। জন প্রতি ভাড়া ১৫ টাকা করার জন্য বলেছি।’
কলাপাড়া লালুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জুয়েল হোসেন বলেন, ‘এখনতো ভাড়া কম হওয়া উচিত। কিন্তু পাঁচটি ইউনিয়ন লতাচাপলী, ধুলাসার, ডালবুগঞ্জ, বালিয়াতলী এবং লালুয়া ইউপির সাধারণ জনগণ খেয়াঘাটে জিম্মি। মানুষ জন প্রতি ১০ টাকা মোটরসাইকেল প্রতি ৪০ টাকা এমনকি হাতে একটা পোটলা থাকলেই ২০০ টাকা দিতে হয়। এই ভাড়া রাতে দ্বিগুণ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।’
কলাপাড়া বালিয়াতলি খেয়াঘাটের ইজারাদার আবু মুসা বলেন, ‘আমাদের খেয়া ঘাটের ভাড়া বাড়ানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। পরে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর কাছেও আবেদন করলে ভাড়া বাড়ায়নি। যার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে গত তিন মাস ধরে ভাড়া বেশি নেই।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করেছি। যদি এখনো হয়ে থাকে তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জেলা পরিষদের খেয়াঘাটগুলো সব সময় মনিটরিং করা হয়। এ ছাড়াও খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে আমরা সব সময় ব্যবস্থা নিয়ে আসছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে আবারো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রিফিল করার সময় বিস্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের এক গাড়িচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাশীনাথপুর বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে...
২ মিনিট আগেব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী আফসানা করিম নিহতের ঘটনায় এক দিনের শোক ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপ-রেজিস্ট্রারসহ ৪ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগেবিএনপিসমর্থিত কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বজলুর রশিদকে জেলা দায়রা ও জজ আদালতের নতুন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
৮ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের নয়মাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন।
৮ ঘণ্টা আগে