বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে নিজ ইউনিয়নের বাওয়ালকার এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশিরুল আলম।

মতিউর রহমান রাজা বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি সদরের বদরখালী ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। সরকার পতন আন্দোলনে অংশ নিয়ে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে গত নভেম্বরে পুলিশ বাদী হয়ে বরগুনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় মতিউর রহমান রাজাও আসামি।

মামলার বাদী বরগুনার সদর থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. আবু হানিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আবু হানিফ জানান, বরগুনা সদর থানার এসআই নুরুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করছেন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রচার সভায় বক্তব্য দেন মতিউর রহমান রাজা। নাশকতা মামলায় পলাতক থাকা অবস্থায় নৌকার মঞ্চে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এ সময় তিনি নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে বিজয়ী করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।

মতিউর রহমান রাজার নৌকার নির্বাচনী মঞ্চে বক্তব্য দেওয়া ও গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘মতিউর রহমান রাজা আমার কমিটির সদস্য। আমাদের ধারণা, তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে নৌকার মঞ্চে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।’

• বিএনপির নাশকতা চেষ্টা মামলার ‘পলাতক’ আসামি শম্ভুর মঞ্চে, ভোট চাইলেন নৌকায়

বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশিরুল আলম বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে করা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন রাজা। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদরখালী ইউনিয়নের বাওয়ালকার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নাশকতা মামলার পলাতক আসামি মতিউর রহমান রাজাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী সময় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’