প্রতিনিধি, বরিশাল
লকডাউন শেষে এই প্রথম বরিশাল-ঢাকা নৌ পথে লঞ্চের টিকিট যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই বড় লঞ্চগুলোর টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে জাতীয় শোক দিবসসহ ৩ দিনের ছুটির পর রোববার বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীদের ভিড় ছিল তীব্র। কেবিন তো দূরের কথা ডেকেও ঠাঁই পেতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষকে।
বরিশাল নৌবন্দরে লঞ্চগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধির তেমন একটা চোখে পড়েনি। এর মাঝেও কালোবাজারে চড়া দামে লঞ্চের টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউনের পর গত বুধবার থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়। শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে এসেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিন মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি থাকলেও আজ রোববারের চিত্র ছিল বেশি খারাপ। শুক্রবার থেকে রোববার ৩ দিনের ছুটি থাকায় আজ বিকেল থেকেই বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীর ভিড় ছিল ব্যাপক।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, রোববার বরিশাল বন্দর থেকে ৭টি লঞ্চ ঢাকা উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এগুলো হচ্ছে-মানামী, এ্যাডভেঞ্চার-১, কীর্তনখোলা-১০, সুন্দরবন-১০, সুরভী-৯, পারাবত-১১ ও পারাবত-১০। তিনি বলেন, গত ৩ দিনের তুলনায় যাত্রী চাপ অনেকাংশে বেশি। এর কারণ হিসেবে তিনি ৩ দিনের ছুটির কথা উল্লেখ করেন। আবার লকডাউনে যারা যেতে পারেননি তাদের শেষ ঢেউও পড়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা লঞ্চে লঞ্চে যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা নেবে। ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউন শেষে বর্ধিত ভাড়া বৃদ্ধি করে ডেকের ভাড়া ২৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি তদারকি করেছেন। গত কয়েক দিন বরিশাল নৌবন্দরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান এবং জাবেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বরিশাল লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা ও যাত্রীদের মাস্ক পরিধান করায় উৎসাহিত করা হয়। এ ছাড়া বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যথাসময়ে লঞ্চ ছাড়ার এবং নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর এ চেষ্টা আজ অনেকটাই বিফল হয়েছে। বিকেল থেকে বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীর চাপ ছিল প্রচুর। মাসুদ আহমেদ নামে এক ব্যাংকার জানান, তিনি ২ দিন ধরে ঘুরে অনেক কষ্টে টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু এসে দেখেন কেবিনের সামনেও চাঁদর বিছিয়ে বসে পড়েছেন যাত্রীরা। নৌবন্দরে পরিবার নিয়ে ঝালকাঠী থেকে আসা আ. রহমান জানান, টিকিট না পেয়ে ডেকেই যেতে হচ্ছে।
রহমানের মত অনেককেই কেবিনের জন্য ছুটতে দেখা গেছে। অবশ্য ঘাটে ব্লাকারদের চড়া দামে লঞ্চের কেবিন বিক্রি করতে দেখা গেছে। ১০০০ টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ টাকায়ও কিনেছে অনেকে। আবার ২০০০ টাকার ডাবল কেবিন ৩০০০ টাকা পর্যন্ত কালোবাজারে বিক্রি হয়েছে। নয়ন চৌধুরী নামে ঢাকা আদালতের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে টিকিট কেটে রেখেছেন। কিন্তু লঞ্চ কাউন্টার থেকে বারবার টিকিট ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মুজিবর রহমান বলেন, তিন দিনের ছুটির কারণে রোববার ভিড় ছিল ব্যাপক। স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তিনি বলেন, লঞ্চের টিকিট মালিকেরা নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউন শেষ হলেও লঞ্চ মালিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি তারা মনিটরিং করছেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও এসে পরিদর্শন করেন। রবিবার শোক দিবস শেষে যাত্রী চাপ বেশি থাকায় ৭টি বৃহৎ লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রী সার্ভিসে নামানো হয়েছে।
লকডাউন শেষে এই প্রথম বরিশাল-ঢাকা নৌ পথে লঞ্চের টিকিট যেন সোনার হরিণ হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহ আগে থেকেই বড় লঞ্চগুলোর টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। একইভাবে জাতীয় শোক দিবসসহ ৩ দিনের ছুটির পর রোববার বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীদের ভিড় ছিল তীব্র। কেবিন তো দূরের কথা ডেকেও ঠাঁই পেতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষকে।
বরিশাল নৌবন্দরে লঞ্চগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধির তেমন একটা চোখে পড়েনি। এর মাঝেও কালোবাজারে চড়া দামে লঞ্চের টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউনের পর গত বুধবার থেকে লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়। শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে এসেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। কয়েক দিন মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি থাকলেও আজ রোববারের চিত্র ছিল বেশি খারাপ। শুক্রবার থেকে রোববার ৩ দিনের ছুটি থাকায় আজ বিকেল থেকেই বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীর ভিড় ছিল ব্যাপক।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, রোববার বরিশাল বন্দর থেকে ৭টি লঞ্চ ঢাকা উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এগুলো হচ্ছে-মানামী, এ্যাডভেঞ্চার-১, কীর্তনখোলা-১০, সুন্দরবন-১০, সুরভী-৯, পারাবত-১১ ও পারাবত-১০। তিনি বলেন, গত ৩ দিনের তুলনায় যাত্রী চাপ অনেকাংশে বেশি। এর কারণ হিসেবে তিনি ৩ দিনের ছুটির কথা উল্লেখ করেন। আবার লকডাউনে যারা যেতে পারেননি তাদের শেষ ঢেউও পড়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা লঞ্চে লঞ্চে যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা নেবে। ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউন শেষে বর্ধিত ভাড়া বৃদ্ধি করে ডেকের ভাড়া ২৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি তদারকি করেছেন। গত কয়েক দিন বরিশাল নৌবন্দরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকুর রহমান এবং জাবেদ হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে বরিশাল লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা ও যাত্রীদের মাস্ক পরিধান করায় উৎসাহিত করা হয়। এ ছাড়া বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যথাসময়ে লঞ্চ ছাড়ার এবং নির্ধারিত ভাড়া আদায়ের জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর এ চেষ্টা আজ অনেকটাই বিফল হয়েছে। বিকেল থেকে বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীর চাপ ছিল প্রচুর। মাসুদ আহমেদ নামে এক ব্যাংকার জানান, তিনি ২ দিন ধরে ঘুরে অনেক কষ্টে টিকিট পেয়েছেন। কিন্তু এসে দেখেন কেবিনের সামনেও চাঁদর বিছিয়ে বসে পড়েছেন যাত্রীরা। নৌবন্দরে পরিবার নিয়ে ঝালকাঠী থেকে আসা আ. রহমান জানান, টিকিট না পেয়ে ডেকেই যেতে হচ্ছে।
রহমানের মত অনেককেই কেবিনের জন্য ছুটতে দেখা গেছে। অবশ্য ঘাটে ব্লাকারদের চড়া দামে লঞ্চের কেবিন বিক্রি করতে দেখা গেছে। ১০০০ টাকার সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ টাকায়ও কিনেছে অনেকে। আবার ২০০০ টাকার ডাবল কেবিন ৩০০০ টাকা পর্যন্ত কালোবাজারে বিক্রি হয়েছে। নয়ন চৌধুরী নামে ঢাকা আদালতের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে টিকিট কেটে রেখেছেন। কিন্তু লঞ্চ কাউন্টার থেকে বারবার টিকিট ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার মুজিবর রহমান বলেন, তিন দিনের ছুটির কারণে রোববার ভিড় ছিল ব্যাপক। স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তিনি বলেন, লঞ্চের টিকিট মালিকেরা নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ প্রসঙ্গে বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউন শেষ হলেও লঞ্চ মালিক ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি তারা মনিটরিং করছেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও এসে পরিদর্শন করেন। রবিবার শোক দিবস শেষে যাত্রী চাপ বেশি থাকায় ৭টি বৃহৎ লঞ্চ ঢাকা-বরিশাল রুটে যাত্রী সার্ভিসে নামানো হয়েছে।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া লঞ্চঘাট থেকে উত্তর দিকে বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। বেতাগী থেকে মোকামিয়া যেতে বেড়িবাঁধের প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ৭ কিলোমিটার পাকা হলেও মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। যে কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ প্রতিদিন...
১০ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের চকচকা গ্রামের কাঠিহারধর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৮ মিনিট আগেশেরপুরে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান শেরপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞা। আজ শনিবার সকালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ শুরু করলে কার্যালয় ছেড়ে চলে যান তিনি।
১ ঘণ্টা আগেদেশের অন্যতম শীর্ষ চাল ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে