নিজস্ব প্রতিবেদক,বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রী মাইশা ফৌজিয়া মিম নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন মিমের সহপাঠীরা। মিমকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালক গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দাবিতে তাঁরা এ অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের সামনে দ্রুতবেগের একটি বাস মিমকে ধাক্কা দিলে তিনি নিহত হন। মিমের জানাজা বৃহস্পতিবার দুপুরে ববি ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত হলে তাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ক্যাম্পাসে গিয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে মহাসড়ক অবরোধে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো যাত্রী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মহাসড়কের সামনে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, মাইশা মিমকে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, নিরাপদ সড়কসহ বাস মালিককে হাজির করার কথাও জানান তারা।
এর আগে বুধবার রাতে মিমের মৃত্যুর পর বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে পাঁচ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাও করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, ‘আমরা সব দাবি বাস্তবায়ন করব। ক্ষতিপূরণের বিষয়টা নিয়ে বাস মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলব।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—বৃহস্পতিবারের মধ্যে মিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং যত দ্রুত সম্ভব বিচার নিশ্চিত করা, মিমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, মালিক পক্ষকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে প্রচার, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, বাসের রুটপার্মিট বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার জন্য নির্ধারিত গতি নির্ধারণ, স্পিড সেন্সর ও স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের ব্যবস্থা উন্নতিকরণ, অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা বাড়ানো, সড়কে ফুটপাত নির্মাণ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ।
এদিকে দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা তোমাদের সব দাবি শুনেছি। এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। সড়কে স্পিড ব্রেকার বসানোর কাজ চলছে। ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। সড়কে ফুটপাতের যে দাবি করেছ তা একটু দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব দাবিগুলো অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় থেকে বিক্ষোভ ও অবরোধ চালিয়ে যান।’
এদিকে অবরোধ চলাকালে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিমের জানাজা মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নেন হাজারো মানুষ।
মিমের মামা জানাজায় বলেন, ‘আমাদের আদরের মিমকে এখানে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের আদরের মিমকে প্লিজ আপনারা ক্ষমা করে দেবেন।’
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস পেয়েছেন যে দোষিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে তারা। চালককে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দাবিসহ মিমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাস মালিককেও ঘটনাস্থলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাজির করা হবে। এ ছাড়া নিরাপদ সড়কসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁঞা বলেন, ‘আমাদের ফোর্স এরই মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে। অতি দ্রুতই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
প্রসঙ্গত, বাসের ধাক্কায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের সন্নিকটে মারা যান। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোড সংলগ্ন মোড়ে নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস ওই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রী মাইশা ফৌজিয়া মিম নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন মিমের সহপাঠীরা। মিমকে ধাক্কা দেওয়া বাসের চালক গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দাবিতে তাঁরা এ অবরোধ অনির্দিষ্টকালের জন্য চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের সামনে দ্রুতবেগের একটি বাস মিমকে ধাক্কা দিলে তিনি নিহত হন। মিমের জানাজা বৃহস্পতিবার দুপুরে ববি ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত হলে তাতে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ক্যাম্পাসে গিয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে মহাসড়ক অবরোধে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো যাত্রী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মহাসড়কের সামনে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, মাইশা মিমকে হত্যা করা হয়েছে। এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, নিরাপদ সড়কসহ বাস মালিককে হাজির করার কথাও জানান তারা।
এর আগে বুধবার রাতে মিমের মৃত্যুর পর বাস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরে পাঁচ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাস ভবন ঘেরাও করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, ‘আমরা সব দাবি বাস্তবায়ন করব। ক্ষতিপূরণের বিষয়টা নিয়ে বাস মালিক ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলব।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—বৃহস্পতিবারের মধ্যে মিম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং যত দ্রুত সম্ভব বিচার নিশ্চিত করা, মিমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, মালিক পক্ষকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে গণমাধ্যমে প্রচার, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, বাসের রুটপার্মিট বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার জন্য নির্ধারিত গতি নির্ধারণ, স্পিড সেন্সর ও স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের ব্যবস্থা উন্নতিকরণ, অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা বাড়ানো, সড়কে ফুটপাত নির্মাণ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ।
এদিকে দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা তোমাদের সব দাবি শুনেছি। এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। সড়কে স্পিড ব্রেকার বসানোর কাজ চলছে। ট্রাফিক পুলিশ থাকবে। সড়কে ফুটপাতের যে দাবি করেছ তা একটু দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সর্বোচ্চ চেষ্টা করব দাবিগুলো অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় থেকে বিক্ষোভ ও অবরোধ চালিয়ে যান।’
এদিকে অবরোধ চলাকালে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মিমের জানাজা মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশ নেন হাজারো মানুষ।
মিমের মামা জানাজায় বলেন, ‘আমাদের আদরের মিমকে এখানে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। আমাদের আদরের মিমকে প্লিজ আপনারা ক্ষমা করে দেবেন।’
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন বলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস পেয়েছেন যে দোষিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে তারা। চালককে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের দাবিসহ মিমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাস মালিককেও ঘটনাস্থলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাজির করা হবে। এ ছাড়া নিরাপদ সড়কসহ শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁঞা বলেন, ‘আমাদের ফোর্স এরই মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে। অতি দ্রুতই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব।’
প্রসঙ্গত, বাসের ধাক্কায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী মাইশা ফৌজিয়া মিম বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের সন্নিকটে মারা যান। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোলা রোড সংলগ্ন মোড়ে নারায়ণগঞ্জ এক্সপ্রেস ওই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে আই আর খান জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে মজুত করা বিপুলপরিমাণে পাট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
২৭ মিনিট আগেনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নে দুর্গম চরাঞ্চল দিয়ারা বালুয়া গুচ্ছগ্রামে চাঁদা না পেয়ে ছুরিকাঘাতে ইউনুছ আলী এরশাদ (৩৯) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
৪৪ মিনিট আগেগোলাম মোস্তফা। বয়স ৩৫ বছর। পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন। গুলিতে তাঁর ডান হাতের কবজি থেকে কনুই পর্যন্ত হাড় ভেঙে কয়েক টুকরা হয়েছিল। গত ২৩ জুলাই ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাতে ১০ বার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। পেশায় নিরাপত্তাকর্মী মোস্তফা গুলিব
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৭ ঘণ্টা আগে