একদিনে কুকুরের কামড়ে আহত ২৭, ভ্যাকসিন নেই হাসপাতালে

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ৪৮
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে এক শিশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার আমতলীতে একদিনে কুকুরের কামড়ে নারী-শিশুসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, একে স্কুল এবং বটতলা এলাকায় ২৭ জন পথচারী কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে। আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ১০ জনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন না থাকায় রোগী ও তার স্বজনদের বিপাকে পড়তে হয়। ফার্মেসি থেকে উচ্চ মূল্যে ভ্যাকসিন কিনতে হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আমতলী পৌর শহরের পল্লবী, একে স্কুল ও বটতলা এলাকায় শুক্রবার সকালে পথচারীদের কুকুর কামড় দেয়। বেলা গড়াতে থাকলে কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পায়। এদিন সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ২৭ জন পথচারীকে কুকুর কামড়ে আহত করেছে।

আহত মারিয়া, আবু রায়হান, সাফিন, সঙ্কর চন্দ মাতুর্ব্বর, জাহিদ, রাফি, মাসুদ, আব্দুল মালেক, আরাফাত, আব্দুল্লাহ, আজম, তমাল, জোহামনি, সীমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে বরগুনা ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কুকুরে কামড়ে আহতের মধ্যে অধিকাংশ শিশু।

কুকুরের কামড়ে আহত সংঙ্কর চন্দ্র মাতুব্বর বলেন, পৌর শহরের বটতলায় কুকুর আমাকে কামড়িয়ে আহত করেছে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় ফার্মেসি থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় ভ্যাকসিন কিনে প্রয়োগ করেছি।

আহত সীমা বলেন, একে স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। পথে কুকুরে এসে কামড় দেয়। তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। কিন্তু হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরে দেড় হাজার টাকায় ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন এনে দিই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খাঁন বলেন, সকালে থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৭ জন কুকুরে কামড়ানো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে। এর মধ্যে অনেক রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী ও বরগুনায় পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তেনমং বলেন, হাসপাতালে ভ্যাকসিন আছে কিনা আমার জানা নেই। আমি এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কুকুরের উপদ্রব রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত