মারুফ কিবরিয়া ও রফিকুল ইসলাম খান, বরিশাল থেকে
সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র এই বিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় তা এখন জাতীয় ইস্যু। এরও একটা প্রেক্ষাপট আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা।
উপজেলা পরিষদে চত্বর থেকে ব্যানার অপসারণ নিয়ে গত বুধবার রাতে ইউএনওর বাসভবনে হামলা করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ওসব ব্যানার ছিল বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের। ওই রাতের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়রসহ তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পরদিন দুটি মামলা করে পুলিশ প্রশাসন। এর বিপরীতে গতকাল দুটি পাল্টা মামলা হয়েছে আদালতে। আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি থানার সদ্য সাবেক ওসি নুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং আরেক কর্মকর্তা। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সদর আসনে প্রার্থী হলে ওই সময় সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় ছিলেন। কিন্তু জাহিদ ফারুক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মধ্যে। প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা অভিযোগ করেন, নানা সময় সভা-সমাবেশে অবজ্ঞা ও অসম্মান করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে। যে কারণে দূরত্ব বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে কিছুদিন আগের দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকের বাসভবনের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে মেয়র সাদিক প্রকাশ্যে এমপি জাহিদ ফারুককে উদ্দেশ করে নালিশ করেন নানকের কাছে। ওই সময় মেয়র নানককে জানান, প্রতিমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকেন না। এ ঘটনায় দুজনের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর থেকে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়রকে আর এক মঞ্চে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্নভাবেই অবস্থান দেখা মেলে তাঁদের। দূরত্বের শেষ পেরেক হলো গত বছর নগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকে সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি। যদিও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে সরব দেখা যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী উপহারসামগ্রী বিতরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন, খেলাধুলার উদ্বোধন, সমাজসেবার মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদান প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমেই দিত জেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ চত্বর অনেকটা একচেটিয়া ঘাঁটি হয়ে দাঁড়ায় জাহিদ ফারুকের। যে কারণে সেখানে নানা দিবসে কর্মসূচিতে ব্যানার ফেস্টুনে ভরে যেত তাঁর নামে। এর ওপর চলতি মাসে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিটি কাউন্সিলর দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করান প্রতিমন্ত্রী। নগরীর ছয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রকাশ্যেই জাহিদ ফারুককে সমর্থন করেছেন। তাঁর অনুসারী হতে যাচ্ছেন আরও ১৫ জন কাউন্সিলর। নগরীর মধ্যে এভাবে জাহিদ ফারুকের তৎপরতা মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেননি মেয়র ও তাঁর অনুসারীরা।
মেয়রকে নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যেও ক্ষোভ আছে। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে আমাদের কোনো কাজ নেই। কাউন্সিলররা কোন পরিস্থিতিতে আছেন বলার ভাষা নেই। যে কারণে ১৫ থেকে ২০ জন কাউন্সিলর নগরভবনে যান না।’
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ওপর অন্যায় করা হয়েছে। দলের দুঃসময়ে আমরা পাশে ছিলাম। কিন্তু রেজা হত্যা মামলায় আমাকে অনেক ভোগানো হয়েছে। আমার বাড়ি ভাঙতে গেছে। বরিশালবাসী জানেন এসব কে করেছে। যার ফল এখন ভোগ করছে।’
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, প্রতিমন্ত্রী যে ত্রাণ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরীতে দিচ্ছেন তা তো প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার অপসারণের জন্য তো সিটি করপোরেশনের লোকজন যাননি। তাঁরা নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় সব ধরনের ব্যানার অপসারণ করছেন। এ নিয়ে জল ঘোল করছে একটি মহল।
মেয়র পক্ষের কয়েজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে উপজেলা পরিষদ চত্বর। জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রতিমন্ত্রীকে প্রাধান্য দিতেন। এ নিয়ে অবহেলিত মনে করতেন মেয়র।
অন্যদিকে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময় মেয়রের কথাবার্তা এবং আচরণ তাঁদের ব্যথিত করেছে। এ কারণে তাঁর প্রতি কর্মকর্তাদের কিছু হলেও অসন্তোষ রয়েছে।
গত বুধবার রাতের ঘটনার নেপথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি গতকাল বলেন, ‘মামলার এজাহারেই সব উল্লেখ করেছি। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা ও মেয়রকে আসামি করা হয়েছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত মনে করি, ইউএনও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি তৈরি করে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের ব্যানার তো ইউএনওর না। সিটি করপোরেশনের কাজে তিনি কেন বাধা দেবেন?’
সামান্য ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা বরিশাল নগরীতে ঘটে গেল, তা অভাবনীয়। রাজনৈতিক মারামারি-হানাহানি মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় হয়। বরিশালেও তা-ই হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় সাংসদের, যিনি আবার প্রতিমন্ত্রী, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বই এর নেপথ্যে। কিন্তু প্রশাসনযন্ত্র বা আমলাতন্ত্র এই বিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় তা এখন জাতীয় ইস্যু। এরও একটা প্রেক্ষাপট আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারা।
উপজেলা পরিষদে চত্বর থেকে ব্যানার অপসারণ নিয়ে গত বুধবার রাতে ইউএনওর বাসভবনে হামলা করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ওসব ব্যানার ছিল বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারীদের। ওই রাতের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় মেয়রসহ তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পরদিন দুটি মামলা করে পুলিশ প্রশাসন। এর বিপরীতে গতকাল দুটি পাল্টা মামলা হয়েছে আদালতে। আদালতে ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি থানার সদ্য সাবেক ওসি নুরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন এবং আরেক কর্মকর্তা। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সদর আসনে প্রার্থী হলে ওই সময় সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর সঙ্গে প্রচারণায় ছিলেন। কিন্তু জাহিদ ফারুক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ে দুজনের মধ্যে। প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা অভিযোগ করেন, নানা সময় সভা-সমাবেশে অবজ্ঞা ও অসম্মান করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুককে। যে কারণে দূরত্ব বাড়ে তাঁদের মধ্যে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে কিছুদিন আগের দলের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানকের বাসভবনের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে মেয়র সাদিক প্রকাশ্যে এমপি জাহিদ ফারুককে উদ্দেশ করে নালিশ করেন নানকের কাছে। ওই সময় মেয়র নানককে জানান, প্রতিমন্ত্রী দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকেন না। এ ঘটনায় দুজনের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর থেকে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়রকে আর এক মঞ্চে দেখা যায়নি। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্নভাবেই অবস্থান দেখা মেলে তাঁদের। দূরত্বের শেষ পেরেক হলো গত বছর নগর আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকে সদস্য হিসেবেও রাখা হয়নি। যদিও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বরিশাল সদর উপজেলা চত্বরে সরব দেখা যায়। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী উপহারসামগ্রী বিতরণ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন, খেলাধুলার উদ্বোধন, সমাজসেবার মাধ্যমে বিভিন্ন অনুদান প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমেই দিত জেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ চত্বর অনেকটা একচেটিয়া ঘাঁটি হয়ে দাঁড়ায় জাহিদ ফারুকের। যে কারণে সেখানে নানা দিবসে কর্মসূচিতে ব্যানার ফেস্টুনে ভরে যেত তাঁর নামে। এর ওপর চলতি মাসে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিটি কাউন্সিলর দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করান প্রতিমন্ত্রী। নগরীর ছয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রকাশ্যেই জাহিদ ফারুককে সমর্থন করেছেন। তাঁর অনুসারী হতে যাচ্ছেন আরও ১৫ জন কাউন্সিলর। নগরীর মধ্যে এভাবে জাহিদ ফারুকের তৎপরতা মোটেও ভালোভাবে নিতে পারেননি মেয়র ও তাঁর অনুসারীরা।
মেয়রকে নিয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যেও ক্ষোভ আছে। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে আমাদের কোনো কাজ নেই। কাউন্সিলররা কোন পরিস্থিতিতে আছেন বলার ভাষা নেই। যে কারণে ১৫ থেকে ২০ জন কাউন্সিলর নগরভবনে যান না।’
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ওপর অন্যায় করা হয়েছে। দলের দুঃসময়ে আমরা পাশে ছিলাম। কিন্তু রেজা হত্যা মামলায় আমাকে অনেক ভোগানো হয়েছে। আমার বাড়ি ভাঙতে গেছে। বরিশালবাসী জানেন এসব কে করেছে। যার ফল এখন ভোগ করছে।’
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গাজী নঈমুল হোসেন লিটু বলেন, প্রতিমন্ত্রী যে ত্রাণ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নগরীতে দিচ্ছেন তা তো প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিমন্ত্রীর ব্যানার অপসারণের জন্য তো সিটি করপোরেশনের লোকজন যাননি। তাঁরা নগরীর সৌন্দর্য রক্ষায় সব ধরনের ব্যানার অপসারণ করছেন। এ নিয়ে জল ঘোল করছে একটি মহল।
মেয়র পক্ষের কয়েজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে উপজেলা পরিষদ চত্বর। জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসনও তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রতিমন্ত্রীকে প্রাধান্য দিতেন। এ নিয়ে অবহেলিত মনে করতেন মেয়র।
অন্যদিকে প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁদের কোনো রাজনৈতিক পক্ষপাত নেই। কিন্তু বিভিন্ন সময় মেয়রের কথাবার্তা এবং আচরণ তাঁদের ব্যথিত করেছে। এ কারণে তাঁর প্রতি কর্মকর্তাদের কিছু হলেও অসন্তোষ রয়েছে।
গত বুধবার রাতের ঘটনার নেপথ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি গতকাল বলেন, ‘মামলার এজাহারেই সব উল্লেখ করেছি। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতা ও মেয়রকে আসামি করা হয়েছে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফজালুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমত মনে করি, ইউএনও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি তৈরি করে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা পরিষদের ব্যানার তো ইউএনওর না। সিটি করপোরেশনের কাজে তিনি কেন বাধা দেবেন?’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩৮ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৩ ঘণ্টা আগে