রেজা করিম
ঢাকা: দলাদলি, বিশৃঙ্খলা আর নিজেদের মধ্যে বৈরিতা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক আমির শাহ আহমদ শফী। বলেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পরে এ সংগঠন ছয় মাসও টিকবে বলে মনে হয় না। তাঁর সেই ভবিষদ্বানী এখন অক্ষরে অক্ষরে ফলতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠাতার সেই ভবিষদ্বানীকে স্মরণ করে বিভেদের পথ থেকে সরে আসার তাগিদ অনুভব করছে দ্বিধাবিভক্ত হেফাজত। এ জন্য এক টেবিলে বসারও ইচ্ছা আছে তাঁদের।
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান আহমদ শফী। তাঁর জীবদ্দশাতেই নানা কারণে হেফাজতের মধ্যে দলাদলি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ও শফীপুত্র আনাস মাদানীর মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এর জেরে তখন থেকেই হেফাজতে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে আহমদ শফী নিজে বাবুনগরী ও আনাস মাদানীকে নিয়ে সমঝোতার টেবিলে বসেন। সমঝোতাও করে দেন। দুই নেতা সেদিন কোলাকুলি করে পুরোনো বিভেদ ভুলে গিয়ে হেফাজতের স্বার্থে মিলেমিশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আহমদ শফীর মৃত্যুর পরে এ প্রতিশ্রুতি আর ঠিক থাকেনি। বিশেষ করে গেল বছরের নভেম্বরে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীর অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকে তাঁরা এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক মোদীবিরোধী আন্দোলনের পরে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দুটি পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি আবারও সামনে চলে আসে। তবে সম্প্রতি সংগঠন বিলুপ্তির ঘোষণার পরে দুটি পক্ষই আবার নতুন করে সংগঠিত হওয়া নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। দুটি পক্ষ এ বিষয়ে তাগিদ অনুভব করলেও এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়নি এখনো।
২৫ এপ্রিল রাত ১১টায় হেফাজতে ইসলামের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বাবুনগরীকে আর সদস্য সচিব করা হয় আগের কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে।
আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পরেই তাঁরা এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি করার কথাও বলেছেন। হেফাজতে ইসলামের আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী বলেছেন, শিগগিরই তাঁরা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন। তবে এখন এ অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন আনাসপন্থীরা। তাঁরা এখন আলোচনার মাধ্যমে একতাবদ্ধ হতে চান। একসাথে কাজ করতে চান।
মঈনুদ্দীন রুহী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ না করলে হেফাজতের অবস্থা ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ জন্য এক হওয়া দরকার।’
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য কোনো কাজ শুরু হয়েছে কী-না জানতে চাইলে রুহী বলেন, ‘আমরা নিজেরা কথা বলছি। আলেম-ওলামাদের সাথে যোগাযোগ করছি। এখন রমজান চলছে। পাশাপাশি লকডাউন পরিস্থিতি চলছে। এ অবস্থা শেষ হলে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’
বিভেদের দেয়াল তোলার তাগিদ অনুভব করছেন বাবুনগরীপন্থীরাও। তাঁরাও ভাবছেন সঙ্কটকালে নিজেদের মধ্যে শত্রুতা কোনো ভালো ফল আনে না। কিন্তু আনাসপন্থীদেরকে আলোচনার প্রস্তাব দিতে তাঁরা কিছুটা সঙ্কোচবোধ করছেন। তাঁরা চাইছেন, ওই পক্ষ (আনাসপন্থী) থেকেই আলোচনার জন্য ডাকা হোক।
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আলোচনার বিষয়ে ওই পক্ষ থেকে তো সে রকম কোনো আভাস পাইনি।’ যদি আলোচনা হয় এবং সেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন কি করবেন—জানতে চাইলে জিহাদী বলেন, ‘এটাতো (আলোচনা) হয়নি । হওয়ার পরে না বলতে পারব।’
তবে সরকারের কঠোর অবস্থানে হেফাজতের সংগঠিত হওয়ার এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন ইঙ্গিতও রয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের এক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পরে সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও সরকারের দিক থেকে পাত্তা পায়নি। উল্টো হেফাজতের আমিরের পদে বাবুনগরীর বিকল্প খোঁজা হচ্ছে।’
এ অবস্থায় হেফাজতের সংগঠিত বা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন ওই নেতা। তিনি বলেন, ‘হেফাজতকে আর কোনো মতেই বিশ্বাস করতে পারছেনা সরকার।’
ঢাকা: দলাদলি, বিশৃঙ্খলা আর নিজেদের মধ্যে বৈরিতা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক আমির শাহ আহমদ শফী। বলেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পরে এ সংগঠন ছয় মাসও টিকবে বলে মনে হয় না। তাঁর সেই ভবিষদ্বানী এখন অক্ষরে অক্ষরে ফলতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠাতার সেই ভবিষদ্বানীকে স্মরণ করে বিভেদের পথ থেকে সরে আসার তাগিদ অনুভব করছে দ্বিধাবিভক্ত হেফাজত। এ জন্য এক টেবিলে বসারও ইচ্ছা আছে তাঁদের।
২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান আহমদ শফী। তাঁর জীবদ্দশাতেই নানা কারণে হেফাজতের মধ্যে দলাদলি ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে। তখনকার মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ও শফীপুত্র আনাস মাদানীর মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এর জেরে তখন থেকেই হেফাজতে দুটি পক্ষ দাঁড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে আহমদ শফী নিজে বাবুনগরী ও আনাস মাদানীকে নিয়ে সমঝোতার টেবিলে বসেন। সমঝোতাও করে দেন। দুই নেতা সেদিন কোলাকুলি করে পুরোনো বিভেদ ভুলে গিয়ে হেফাজতের স্বার্থে মিলেমিশে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আহমদ শফীর মৃত্যুর পরে এ প্রতিশ্রুতি আর ঠিক থাকেনি। বিশেষ করে গেল বছরের নভেম্বরে হেফাজতের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানীর অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি। এরপর থেকে তাঁরা এই কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক মোদীবিরোধী আন্দোলনের পরে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দুটি পক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি আবারও সামনে চলে আসে। তবে সম্প্রতি সংগঠন বিলুপ্তির ঘোষণার পরে দুটি পক্ষই আবার নতুন করে সংগঠিত হওয়া নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে। দুটি পক্ষ এ বিষয়ে তাগিদ অনুভব করলেও এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়নি এখনো।
২৫ এপ্রিল রাত ১১টায় হেফাজতে ইসলামের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয় বাবুনগরীকে আর সদস্য সচিব করা হয় আগের কমিটির মহাসচিব নুরুল ইসলাম জিহাদীকে।
আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পরেই তাঁরা এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি করার কথাও বলেছেন। হেফাজতে ইসলামের আগের কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দীন রুহী বলেছেন, শিগগিরই তাঁরা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করবেন। তবে এখন এ অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে এসেছেন আনাসপন্থীরা। তাঁরা এখন আলোচনার মাধ্যমে একতাবদ্ধ হতে চান। একসাথে কাজ করতে চান।
মঈনুদ্দীন রুহী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ না করলে হেফাজতের অবস্থা ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ জন্য এক হওয়া দরকার।’
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য কোনো কাজ শুরু হয়েছে কী-না জানতে চাইলে রুহী বলেন, ‘আমরা নিজেরা কথা বলছি। আলেম-ওলামাদের সাথে যোগাযোগ করছি। এখন রমজান চলছে। পাশাপাশি লকডাউন পরিস্থিতি চলছে। এ অবস্থা শেষ হলে আমরা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।’
বিভেদের দেয়াল তোলার তাগিদ অনুভব করছেন বাবুনগরীপন্থীরাও। তাঁরাও ভাবছেন সঙ্কটকালে নিজেদের মধ্যে শত্রুতা কোনো ভালো ফল আনে না। কিন্তু আনাসপন্থীদেরকে আলোচনার প্রস্তাব দিতে তাঁরা কিছুটা সঙ্কোচবোধ করছেন। তাঁরা চাইছেন, ওই পক্ষ (আনাসপন্থী) থেকেই আলোচনার জন্য ডাকা হোক।
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির মহাসচিব ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম জিহাদী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আলোচনার বিষয়ে ওই পক্ষ থেকে তো সে রকম কোনো আভাস পাইনি।’ যদি আলোচনা হয় এবং সেখানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন কি করবেন—জানতে চাইলে জিহাদী বলেন, ‘এটাতো (আলোচনা) হয়নি । হওয়ার পরে না বলতে পারব।’
তবে সরকারের কঠোর অবস্থানে হেফাজতের সংগঠিত হওয়ার এ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন ইঙ্গিতও রয়েছে। ১৪ দলীয় জোটের এক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর পরে সরকারের পক্ষ থেকে হেফাজতকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হলেও সরকারের দিক থেকে পাত্তা পায়নি। উল্টো হেফাজতের আমিরের পদে বাবুনগরীর বিকল্প খোঁজা হচ্ছে।’
এ অবস্থায় হেফাজতের সংগঠিত বা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন ওই নেতা। তিনি বলেন, ‘হেফাজতকে আর কোনো মতেই বিশ্বাস করতে পারছেনা সরকার।’
রাজধানীর আজিমপুরে অপহৃত শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
৬ মিনিট আগেনিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৮ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৯ ঘণ্টা আগে