অনলাইন ডেস্ক
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হয়। দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাকীবিল্লাহ মিশকাত বলেন, ‘শুধু সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করে থাকি।’ আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাদ্রা মাজার কমপ্লেক্স মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজে তিনিই ইমামতি করেন।
বাকীবিল্লাহ মিশকাত আরও বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্যাপনের নিয়ম চালু করেন।
সাদ্রা দরবার শরিফের পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগা ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত হয়। এই জামাতে তিনিই ইমামতি করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সেখানে ইমামতি করেন। ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। তাতে ইমামতি করেন মাওলানা আকরাম হোসেন।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়: হাজীগঞ্জের সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, মধ্য ইসলামবাদ, গাজীপুর, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি), ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
মাদারীপুর: মাদারীপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত পড়ান তাল্লুক গ্রামের মৌলভী বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদ মো. ইকবাল সরদার, মোসলেম খাঁ, রকিব হাসান, আরিফসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রায় দেড় শ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদ্যাপন করা হয়।
যেসব গ্রামে আজ ঈদের জামাত হয় সেগুলো হলো, মাদারীপুর সদরের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি; শিবচরের বাহেরচর; কালকিনির কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আণ্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১০টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ আজ ঈদ উদ্যাপন করছে।
সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এ ছাড়া এসব গ্রামের মুসল্লিরা নিজেদের ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মাওলানা ইসহাক (রহ.)-এর অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এসব গ্রামের মুসল্লিরা গত ৪৪ বছর ধরে এভাবে এক দিন আগে ঈদ উদ্যাপন করছে।
খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করছি। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই রোজা। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করা হয়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ৭৬ বিঘি গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোজাম্মেল হক। একই সময়ে রাধানগরেও ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত ছিল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের অনেক স্থানে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করেন কিছু মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জে এবারও ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হয়েছে। তবে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল একেবারে সামান্য।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিনোদপুর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে আজ ঈদের জামাত হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শান্তিপূর্ণভাবে দুই গ্রামে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদরের ভাড়ুখালী পাঞ্জেগানা মসজিদে আজ সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মাহবুবুর রহমান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাতে ইমাম ছিলেন মাওলানা মহব্বত আলী।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদ করি। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনা যেহেতু আমরা মুহূর্তে জানতে পারি, তাই সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আমরা আজ ঈদ পালন করছি।’
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শতাধিক পরিবার আজ সকাল ৭টায় শহরের সার্কিট হাউস এলাকার একটি বাসায় ঈদের নামাজ আদায় করে। ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)।
ঈদের নামাজের ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী বলেন, ‘কোরআন ও হাদিস অনুসারে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদ করতে হয়। সেই অনুসারে আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করলাম।’
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে আজ বুধবার ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হয়। দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাকীবিল্লাহ মিশকাত বলেন, ‘শুধু সৌদি আরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করে থাকি।’ আজ বুধবার সকাল ৯টায় সাদ্রা মাজার কমপ্লেক্স মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। এই নামাজে তিনিই ইমামতি করেন।
বাকীবিল্লাহ মিশকাত আরও বলেন, আগাম রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল থেকে সাদ্রা দরবার শরিফের পীর সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদ্যাপনের নিয়ম চালু করেন।
সাদ্রা দরবার শরিফের পীর শাইখ আরীফ চৌধুরী বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ঈদগা ময়দানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত হয়। এই জামাতে তিনিই ইমামতি করেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সেখানে ইমামতি করেন। ফরিদগঞ্জের টোরা মুন্সিরহাট জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৯টায়। তাতে ইমামতি করেন মাওলানা আকরাম হোসেন।
যেসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়: হাজীগঞ্জের সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, মধ্য ইসলামবাদ, গাজীপুর, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি), ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
মাদারীপুর: মাদারীপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত পড়ান তাল্লুক গ্রামের মৌলভী বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।
সুরেশ্বর দরবার শরিফের মুরিদ মো. ইকবাল সরদার, মোসলেম খাঁ, রকিব হাসান, আরিফসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, প্রায় দেড় শ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদ্যাপন করা হয়।
যেসব গ্রামে আজ ঈদের জামাত হয় সেগুলো হলো, মাদারীপুর সদরের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি; শিবচরের বাহেরচর; কালকিনির কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আণ্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১০টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ আজ ঈদ উদ্যাপন করছে।
সকাল ৮টায় রামগঞ্জ উপজেলার খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এ ছাড়া এসব গ্রামের মুসল্লিরা নিজেদের ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মাওলানা ইসহাক (রহ.)-এর অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র মক্কা ও মদিনার সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে। এসব গ্রামের মুসল্লিরা গত ৪৪ বছর ধরে এভাবে এক দিন আগে ঈদ উদ্যাপন করছে।
খানকায়ে মাদানিয়া কাসেমিয়া মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতের ইমাম মাওলানা মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করছি। বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর শান্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই রোজা। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করা হয়।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ৭৬ বিঘি গ্রামে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোজাম্মেল হক। একই সময়ে রাধানগরেও ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় নিরাপত্তা দিতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত ছিল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের অনেক স্থানে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করেন কিছু মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জে এবারও ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করা হয়েছে। তবে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল একেবারে সামান্য।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিনোদপুর ইউনিয়নের দুটি গ্রামে আজ ঈদের জামাত হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে শান্তিপূর্ণভাবে দুই গ্রামে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে।
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদরের ভাড়ুখালী পাঞ্জেগানা মসজিদে আজ সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা মাহবুবুর রহমান ঈদের জামাতে ইমামতি করেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাতে ইমাম ছিলেন মাওলানা মহব্বত আলী।
এ প্রসঙ্গে মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদ করি। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনা যেহেতু আমরা মুহূর্তে জানতে পারি, তাই সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আমরা আজ ঈদ পালন করছি।’
মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শতাধিক পরিবার আজ সকাল ৭টায় শহরের সার্কিট হাউস এলাকার একটি বাসায় ঈদের নামাজ আদায় করে। ঈদের নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)।
ঈদের নামাজের ইমাম আব্দুল মাওফিক চৌধুরী বলেন, ‘কোরআন ও হাদিস অনুসারে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে রোজা ও ঈদ করতে হয়। সেই অনুসারে আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করলাম।’
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে