নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ৩১টি সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য’ নামে মোর্চা গঠন করেছে। ২০২৩ সালে ‘প্রতিবাদী সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’–এর ব্যানারে সংগঠনগুলো একসঙ্গে কাজ করে আসছিল। গণমানুষের কণ্ঠস্বর হতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা। এ উপলক্ষে তাঁরা ১১ দফার একটি প্রস্তাবও দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পরিচিতি তুলে ধরেন নতুন এই মোর্চার সদস্যরা। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু।
তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমৃদ্ধ ও সংগ্রামী ধারাকে রক্ষা করতে হবে, হয়ে উঠতে হবে জনগণের কণ্ঠস্বর। সমাজ বদলের পরিপূরক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, কবি ও বুদ্ধিজীবীরা জাতির সব ক্রান্তিকালে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে চেয়েছে। আমরা সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এই নামে ঐক্যবদ্ধভাবে কিছু প্রতিবাদী কর্মসূচির আয়োজন করে আসছি। এখন থেকে আমাদের এই সংগঠনের নতুন নামকরণ করা হলো—গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য।’
নতুন এই মোর্চা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের অতীতের সংগ্রামী ভূমিকা ও গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকারকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন মফিজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের নেতারা রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে—সাইবার নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ নিবর্তনমূলক সব আইন বাতিল; গণমাধ্যমকে সরকারি প্রভাবমুক্ত করা; গ্রামীণ ও লোকসংস্কৃতি চর্চাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও নিরাপত্তা প্রদান; পশ্চিমা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির প্রচার বন্ধ; সংস্কৃতি ক্ষেত্রে জাতীয় বাজেটের এক শতাংশ বরাদ্দ; শিল্পকলা একাডেমিকে জনবান্ধব ও কার্যকর করে গড়ে তোলা; বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও কার্যকর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ চালু করা।
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সব জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক স্বীকৃতি, সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ি জাতিসত্তার ওপর অব্যাহত নির্যাতন বন্ধ এবং পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট উচ্ছেদ করে জনবান্ধব সমবায়ের ভিত্তিতে কৃষিপণ্য বিপণন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ; অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল বাতিল করা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তাঁরা।
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের নেতারা নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার দাবি জানান। নির্বাচনী বিধিমালার আমূল সংস্কারের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, কালোটাকার মালিক, সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবিও পেশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সহসভাপতি জামশেদ আনোয়ার তপন, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাম নেতা ও মওলানা ভাসানী পরিষদের হারুনুর রশিদ, সমাজচিন্তা ফোরামের কামাল হোসেন প্রমুখ।
দেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ৩১টি সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য’ নামে মোর্চা গঠন করেছে। ২০২৩ সালে ‘প্রতিবাদী সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ’–এর ব্যানারে সংগঠনগুলো একসঙ্গে কাজ করে আসছিল। গণমানুষের কণ্ঠস্বর হতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা। এ উপলক্ষে তাঁরা ১১ দফার একটি প্রস্তাবও দিয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পরিচিতি তুলে ধরেন নতুন এই মোর্চার সদস্যরা। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু।
তিনি বলেন, ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সমৃদ্ধ ও সংগ্রামী ধারাকে রক্ষা করতে হবে, হয়ে উঠতে হবে জনগণের কণ্ঠস্বর। সমাজ বদলের পরিপূরক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। প্রগতিশীল সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, কবি ও বুদ্ধিজীবীরা জাতির সব ক্রান্তিকালে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে চেয়েছে। আমরা সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ এই নামে ঐক্যবদ্ধভাবে কিছু প্রতিবাদী কর্মসূচির আয়োজন করে আসছি। এখন থেকে আমাদের এই সংগঠনের নতুন নামকরণ করা হলো—গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য।’
নতুন এই মোর্চা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের অতীতের সংগ্রামী ভূমিকা ও গৌরবোজ্জ্বল উত্তরাধিকারকে পুনরুদ্ধার করতে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন মফিজুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের নেতারা রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে—সাইবার নিরাপত্তা আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ নিবর্তনমূলক সব আইন বাতিল; গণমাধ্যমকে সরকারি প্রভাবমুক্ত করা; গ্রামীণ ও লোকসংস্কৃতি চর্চাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও নিরাপত্তা প্রদান; পশ্চিমা ও ভারতীয় আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির প্রচার বন্ধ; সংস্কৃতি ক্ষেত্রে জাতীয় বাজেটের এক শতাংশ বরাদ্দ; শিল্পকলা একাডেমিকে জনবান্ধব ও কার্যকর করে গড়ে তোলা; বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি প্রণয়ন ও কার্যকর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ চালু করা।
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, সব জাতিসত্তার রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক স্বীকৃতি, সুরক্ষা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ি জাতিসত্তার ওপর অব্যাহত নির্যাতন বন্ধ এবং পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।
ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট উচ্ছেদ করে জনবান্ধব সমবায়ের ভিত্তিতে কৃষিপণ্য বিপণন ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ; অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল বাতিল করা এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবিও জানান তাঁরা।
গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের নেতারা নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করে বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার দাবি জানান। নির্বাচনী বিধিমালার আমূল সংস্কারের মাধ্যমে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করার পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, কালোটাকার মালিক, সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবিও পেশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সহসভাপতি জামশেদ আনোয়ার তপন, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লাল্টু, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বাম নেতা ও মওলানা ভাসানী পরিষদের হারুনুর রশিদ, সমাজচিন্তা ফোরামের কামাল হোসেন প্রমুখ।
চারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
৬ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
১৩ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
১৩ দিন আগেদ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
১০ অক্টোবর ২০২৪