নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নবম ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন দুই প্রজন্মের দুই কথাসাহিত্যিক। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ইমদাদুল হক মিলন এবং নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে ‘রাইরিন্তার শেষ উপহার’ গল্পগ্রন্থের জন্য পুরস্কার পান মাহবুব ময়ূখ রিশাদ।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি জানিয়ে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক ও অন্যদিনকে ধন্যবাদ জানাই যে, তাঁরা হুমায়ূন ভাইয়ের নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। অন্যদিন ও আমরা একসঙ্গেই পথচলা শুরু করেছিলাম। আমি, মাজহার, কমল। হুমায়ূন ভাই ছিলেন আমাদের অগ্রে। তিনি অকালে চলে গেলেন। যখনই কোনো লেখক পুরস্কার পান তখন মনে হয় যে তিনি যে কাজটি করেন তার মূল্যায়ন হলো। কিন্তু একটু বিষাদ আছে এই আনন্দে। হুমায়ূন ভাই আজ বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতাম।’
মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বলেন, ‘আমি আসলে খুব ঘাবড়ে গেছি। এই জায়গাটা আমার জন্য ইমোশনাল। কারণ আমি ইমদাদুল হক মিলনের সঙ্গ পেয়েছি। আমার জীবনের লেখালেখির শুরুটা তাঁর হাত ধরেই হয়েছিল। তিনি আমাকে সন্তানের মতো স্নেহ করেন। আর যার নামে এই পুরস্কার তাঁর জন্য কৃতজ্ঞতা। তিনি আমাদের বাসায় এসেছিলেন। এসে বললেন যে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাবেন। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমরা গিয়েছিলাম। আমি তাঁর হাত ধরে পাহাড়ে উঠেছিলাম। তিনি এখনো প্রাসঙ্গিক, যত দিন পৃথিবী থাকবে হুমায়ূন আহমেদ প্রাসঙ্গিক থাকবেন। আমি ম্যাজিক তৈরি করতে চাই লেখালেখিতে। এই পুরস্কার সেটি তৈরিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটি সত্যি সত্যি আমার জন্য একটি অন্য রকম দিন। কারণ আমার পরম শ্রদ্ধেয় প্রিয় মানুষ হুমায়ূন আহমেদের নামে একটি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আজকে এই অনুষ্ঠানে কথা বলতে পারছি, এটাই আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়। একটি অসাধারণ দায়িত্ব এক্সিম ব্যাংক ও অন্যদিন পালন করছে। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সঙ্গে আসাম মিলিয়ে বাংলা ভাষায় মানুষ কথা বলে। এরই মধ্যে পৃথিবীতে পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা এটি। পাশাপাশি সবচেয়ে মধুরতম ভাষা। এখন থেকে বিশ বছর পরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের চেয়ে বেশি হবে। কারণ একটি ইউনিলিংগুয়াল পৃথিবী থেকে মাতৃভাষার পৃথিবীতে রূপান্তর হচ্ছে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমরা ছোট সময়ে সাহিত্য পড়তে গেলে বাংলাদেশি লেখকদের লেখা পেতাম না। পশ্চিম বাংলার লেখকদের মুখাপেক্ষী হতে হতো। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মকে বাংলাদেশের সাহিত্যকে যারা পড়ানো শিখিয়েছেন তিনি হুমায়ূন আহমেদ।’
সভাপতি ও বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জাফর ইকবাল। আরও বক্তব্য দেন এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আবদুল বারী, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদেনীমণ্ডল গ্রামে। বর্তমানে তিনি কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক। তার লেখা প্রথম গল্প ‘বন্ধু’। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন ‘নূরজাহান’ উপন্যাস দিয়ে। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি নানা সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক।
অন্যদিকে মাহবুব ময়ূখ রিশাদের জন্ম ১৯৮৮ সালের ৩০ জুন। পেশায় তিনি চিকিৎসক। তার বাবা মনোচিকিৎসক কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল। রিশাদের প্রথম ছোট গল্প ‘পাপমুক্তি’। তার আলোচিত উপন্যাস ‘আরিমাতানো’।
২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। সেই বছর পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক শওকত আলী ও সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম। ২০২২ সালে পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও মৌরি মরিয়ম।
পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় অর্থ, স্মারক, সনদ এবং উত্তরীয়। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য অর্থমূল্য সাত লাখ টাকা এবং নবীন সাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য তিন লাখ টাকা।
আয়োজনের শুরুতে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন শামা রহমান। আয়োজনটি ১৩ নভেম্বর চ্যানেল আইতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দেখানো হবে।
নবম ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন দুই প্রজন্মের দুই কথাসাহিত্যিক। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ইমদাদুল হক মিলন এবং নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে ‘রাইরিন্তার শেষ উপহার’ গল্পগ্রন্থের জন্য পুরস্কার পান মাহবুব ময়ূখ রিশাদ।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার পেয়ে অনুভূতি জানিয়ে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘এক্সিম ব্যাংক ও অন্যদিনকে ধন্যবাদ জানাই যে, তাঁরা হুমায়ূন ভাইয়ের নামে এই পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। অন্যদিন ও আমরা একসঙ্গেই পথচলা শুরু করেছিলাম। আমি, মাজহার, কমল। হুমায়ূন ভাই ছিলেন আমাদের অগ্রে। তিনি অকালে চলে গেলেন। যখনই কোনো লেখক পুরস্কার পান তখন মনে হয় যে তিনি যে কাজটি করেন তার মূল্যায়ন হলো। কিন্তু একটু বিষাদ আছে এই আনন্দে। হুমায়ূন ভাই আজ বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হতাম।’
মাহবুব ময়ূখ রিশাদ বলেন, ‘আমি আসলে খুব ঘাবড়ে গেছি। এই জায়গাটা আমার জন্য ইমোশনাল। কারণ আমি ইমদাদুল হক মিলনের সঙ্গ পেয়েছি। আমার জীবনের লেখালেখির শুরুটা তাঁর হাত ধরেই হয়েছিল। তিনি আমাকে সন্তানের মতো স্নেহ করেন। আর যার নামে এই পুরস্কার তাঁর জন্য কৃতজ্ঞতা। তিনি আমাদের বাসায় এসেছিলেন। এসে বললেন যে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাবেন। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমরা গিয়েছিলাম। আমি তাঁর হাত ধরে পাহাড়ে উঠেছিলাম। তিনি এখনো প্রাসঙ্গিক, যত দিন পৃথিবী থাকবে হুমায়ূন আহমেদ প্রাসঙ্গিক থাকবেন। আমি ম্যাজিক তৈরি করতে চাই লেখালেখিতে। এই পুরস্কার সেটি তৈরিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এটি সত্যি সত্যি আমার জন্য একটি অন্য রকম দিন। কারণ আমার পরম শ্রদ্ধেয় প্রিয় মানুষ হুমায়ূন আহমেদের নামে একটি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আজকে এই অনুষ্ঠানে কথা বলতে পারছি, এটাই আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়। একটি অসাধারণ দায়িত্ব এক্সিম ব্যাংক ও অন্যদিন পালন করছে। পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ তাঁর সঙ্গে আসাম মিলিয়ে বাংলা ভাষায় মানুষ কথা বলে। এরই মধ্যে পৃথিবীতে পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা এটি। পাশাপাশি সবচেয়ে মধুরতম ভাষা। এখন থেকে বিশ বছর পরে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের চেয়ে বেশি হবে। কারণ একটি ইউনিলিংগুয়াল পৃথিবী থেকে মাতৃভাষার পৃথিবীতে রূপান্তর হচ্ছে।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘আমরা ছোট সময়ে সাহিত্য পড়তে গেলে বাংলাদেশি লেখকদের লেখা পেতাম না। পশ্চিম বাংলার লেখকদের মুখাপেক্ষী হতে হতো। কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্মকে বাংলাদেশের সাহিত্যকে যারা পড়ানো শিখিয়েছেন তিনি হুমায়ূন আহমেদ।’
সভাপতি ও বিচারকমণ্ডলীর সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অন্যদিন সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জাফর ইকবাল। আরও বক্তব্য দেন এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মো. আবদুল বারী, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
ইমদাদুল হক মিলনের জন্ম ১৯৫৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুরের মেদেনীমণ্ডল গ্রামে। বর্তমানে তিনি কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক। তার লেখা প্রথম গল্প ‘বন্ধু’। তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন ‘নূরজাহান’ উপন্যাস দিয়ে। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি নানা সম্মাননা পেয়েছেন। পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক।
অন্যদিকে মাহবুব ময়ূখ রিশাদের জন্ম ১৯৮৮ সালের ৩০ জুন। পেশায় তিনি চিকিৎসক। তার বাবা মনোচিকিৎসক কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল। রিশাদের প্রথম ছোট গল্প ‘পাপমুক্তি’। তার আলোচিত উপন্যাস ‘আরিমাতানো’।
২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার’। সেই বছর পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক শওকত আলী ও সাদিয়া মাহজাবীন ইমাম। ২০২২ সালে পুরস্কার পান কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক ও মৌরি মরিয়ম।
পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় অর্থ, স্মারক, সনদ এবং উত্তরীয়। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য অর্থমূল্য সাত লাখ টাকা এবং নবীন সাহিত্য পুরস্কারের অর্থমূল্য তিন লাখ টাকা।
আয়োজনের শুরুতে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন শামা রহমান। আয়োজনটি ১৩ নভেম্বর চ্যানেল আইতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দেখানো হবে।
চারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
৬ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
১৩ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
১৩ দিন আগেদ্য ভেজিটেরিয়ানের পর হান কাঙের পরের উপন্যাস ছিল ‘দ্য উইন্ড ব্লোজ, গো’। এই উপন্যাস লেখার সময়ই ঘটে বিপত্তি! হান অনুভব করেন তিনি আর লিখতে পারছেন না। গত বছর নিজের পঞ্চম উপন্যাস ‘গ্রিক লেসন’ ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হলে স্পেনের এল-পাইস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তিনি।
১০ অক্টোবর ২০২৪