সম্পাদকীয়
আলতাফ মাহমুদ ছোটবেলায় দুষ্টুমি করে কাঁঠালগাছের বাকলে নিজের নাম লিখেছিলেন ‘ঝিলু দ্য গ্রেট’। কে জানত, সেদিনের সেই ঝিলুই বড় হয়ে উঠবেন বাংলা সুরের মহিরুহরূপে। ষাটের দশকের ছাত্র ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে তিনি সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন।
১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুরের পাতারচর গ্রামে তাঁর জন্ম। সংগীতে তাঁর হাতেখড়ি হয় প্রখ্যাত বেহালাবাদক সুরেন রায়ের কাছে। এরপর গণসংগীতের ধারায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি ঢাকায় আসেন ১৯৫০ সালে। সে বছরই যোগ দিয়েছিলেন ধূমকেতু শিল্পী সংঘতে। সুরকার হিসেবে তিনি শুরু করেন, ‘মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল ভাষা বাঁচাবার তরে’ গানটি দিয়ে। এরপর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময়ে তাঁর গাওয়া দুটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। গানগুলো গাওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। একসময় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তান গণনাট্য সংঘ। তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে করাচি থেকে।
সুরকার হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন ১৯৫৩ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিখ্যাত একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ গানটি দিয়ে। অবশ্য এই গানের তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সুরকার। প্রথম সুরকার ছিলেন আব্দুল লতিফ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বাসা হয়ে উঠেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম গোপন ক্যাম্প। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সুরে এখান থেকে অজস্র দেশাত্মবোধক গান প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট ভোরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁর বন্ধু, সহযোদ্ধাসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের ওপর চালানো হয় পৈশাচিক নির্যাতন। আলতাফ মাহমুদকে ফ্যানের সঙ্গে পা বেঁধে মাথা নিচের দিকে ঝুলিয়ে ফুলস্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিত আর্মিরা। গায়ে জ্বলন্ত সিগারেট ডলে ডলে নেভাত, হাঁটুর হাড় ভেঙে দিয়েছিল। এরপর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আলতাফ মাহমুদ ছোটবেলায় দুষ্টুমি করে কাঁঠালগাছের বাকলে নিজের নাম লিখেছিলেন ‘ঝিলু দ্য গ্রেট’। কে জানত, সেদিনের সেই ঝিলুই বড় হয়ে উঠবেন বাংলা সুরের মহিরুহরূপে। ষাটের দশকের ছাত্র ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী গণ-অভ্যুত্থানে তিনি সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন।
১৯৩৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুরের পাতারচর গ্রামে তাঁর জন্ম। সংগীতে তাঁর হাতেখড়ি হয় প্রখ্যাত বেহালাবাদক সুরেন রায়ের কাছে। এরপর গণসংগীতের ধারায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি ঢাকায় আসেন ১৯৫০ সালে। সে বছরই যোগ দিয়েছিলেন ধূমকেতু শিল্পী সংঘতে। সুরকার হিসেবে তিনি শুরু করেন, ‘মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল ভাষা বাঁচাবার তরে’ গানটি দিয়ে। এরপর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময়ে তাঁর গাওয়া দুটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। গানগুলো গাওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। একসময় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তান গণনাট্য সংঘ। তাঁর প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালে করাচি থেকে।
সুরকার হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন ১৯৫৩ সালে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিখ্যাত একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি...’ গানটি দিয়ে। অবশ্য এই গানের তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সুরকার। প্রথম সুরকার ছিলেন আব্দুল লতিফ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বাসা হয়ে উঠেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম গোপন ক্যাম্প। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর সুরে এখান থেকে অজস্র দেশাত্মবোধক গান প্রচারিত হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট ভোরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাঁর বন্ধু, সহযোদ্ধাসহ ছয়জনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাঁদের ওপর চালানো হয় পৈশাচিক নির্যাতন। আলতাফ মাহমুদকে ফ্যানের সঙ্গে পা বেঁধে মাথা নিচের দিকে ঝুলিয়ে ফুলস্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিত আর্মিরা। গায়ে জ্বলন্ত সিগারেট ডলে ডলে নেভাত, হাঁটুর হাড় ভেঙে দিয়েছিল। এরপর তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আধুনিক আফ্রিকান সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব চিনুয়া আচেবের জন্ম ১৯৩০ সালের ১৬ নভেম্বর নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল ওগিদিতে। তিনি ইবাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতকদের একজন। লেখাপড়া শেষে নাইজেরিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে রেডিও প্রযোজক ও এক্সটারনাল ব্রডকাস্টিংয়ের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেবারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১ দিন আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগে