সম্পাদকীয়
শহীদুল্লা কায়সার একাধারে ভাষাসৈনিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক। তবে তিনটি পরিচয় থেকে তাঁকে আলাদা করা যাবে না। একদিকে সাংবাদিকতা, অন্যদিকে রাজনীতি এবং অপর দিকে সাহিত্যকর্ম—এই ত্রিভুজ ফ্রেমে তিনি সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন।
তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল মাত্র ১৪ বছরে বয়সে, মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তবে রাজনীতিতে পুরোদস্তুর প্রবেশ ভারত বিভক্তির পর, তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। এ সময় তিনি সরাসরি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এর সার্বক্ষণিক কর্মী হন। একাত্তরের পুরোটা সময় কলমকে অস্ত্র বানিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার জন্য তিনি ঢাকা ত্যাগ করেননি।
তাঁর যৌবনের বড় একটা অংশ কেটেছে জেলে। ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন তিনি। পরের ১০ বছরের মধ্যে ৮ বছরই ছিলেন কারাগারে। জেলে বসেই লেখেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাস ‘সারেং বউ’। এরপর ১৯৫৮ সালে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় জননিরাপত্তা আইনে। আটক ছিলেন ১৯৬২ সাল পর্যন্ত।
সাংবাদিকতা ছিল তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সাংবাদিকতার শুরু মাত্র ২২ বছর বয়সে ইত্তেফাকের মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবার যোগ দেন সংবাদ পত্রিকায়। এখানে কাজ করার সময় ‘দেশপ্রেমিক’ ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক পরিক্রমা’ ও ‘বিশ্বকর্মা’ ছদ্মনামে ‘বিচিত্র কথা’ শীর্ষ উপসম্পাদকীয় লিখতেন। এসব লেখায় ফুটে উঠত শোষিত ও নিপীড়িত বাঙালির স্বাধিকারের আকাঙ্ক্ষা।
’৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা গড়িয়ে আসছে। পুরান ঢাকার কায়েতটুলির বাসায় তিনি বিবিসি শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময়ই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের অনেকের লাশ চিহ্নিত করা গেলেও পাওয়া যায়নি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের লাশ। তিনি মনে করতেন, মানুষের চূড়ান্ত মুক্তিপথের দরজা খুলে দিতে পারে মার্কসবাদ।
শহীদুল্লা কায়সার একাধারে ভাষাসৈনিক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক। তবে তিনটি পরিচয় থেকে তাঁকে আলাদা করা যাবে না। একদিকে সাংবাদিকতা, অন্যদিকে রাজনীতি এবং অপর দিকে সাহিত্যকর্ম—এই ত্রিভুজ ফ্রেমে তিনি সমানভাবে সক্রিয় ছিলেন।
তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল মাত্র ১৪ বছরে বয়সে, মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তবে রাজনীতিতে পুরোদস্তুর প্রবেশ ভারত বিভক্তির পর, তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। এ সময় তিনি সরাসরি কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এর সার্বক্ষণিক কর্মী হন। একাত্তরের পুরোটা সময় কলমকে অস্ত্র বানিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করার জন্য তিনি ঢাকা ত্যাগ করেননি।
তাঁর যৌবনের বড় একটা অংশ কেটেছে জেলে। ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন তিনি। পরের ১০ বছরের মধ্যে ৮ বছরই ছিলেন কারাগারে। জেলে বসেই লেখেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম উপন্যাস ‘সারেং বউ’। এরপর ১৯৫৮ সালে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয় জননিরাপত্তা আইনে। আটক ছিলেন ১৯৬২ সাল পর্যন্ত।
সাংবাদিকতা ছিল তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সাংবাদিকতার শুরু মাত্র ২২ বছর বয়সে ইত্তেফাকের মাধ্যমে। ১৯৬২ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আবার যোগ দেন সংবাদ পত্রিকায়। এখানে কাজ করার সময় ‘দেশপ্রেমিক’ ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক পরিক্রমা’ ও ‘বিশ্বকর্মা’ ছদ্মনামে ‘বিচিত্র কথা’ শীর্ষ উপসম্পাদকীয় লিখতেন। এসব লেখায় ফুটে উঠত শোষিত ও নিপীড়িত বাঙালির স্বাধিকারের আকাঙ্ক্ষা।
’৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা গড়িয়ে আসছে। পুরান ঢাকার কায়েতটুলির বাসায় তিনি বিবিসি শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময়ই পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের অনেকের লাশ চিহ্নিত করা গেলেও পাওয়া যায়নি শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের লাশ। তিনি মনে করতেন, মানুষের চূড়ান্ত মুক্তিপথের দরজা খুলে দিতে পারে মার্কসবাদ।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১০ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে