সম্পাদকীয়
ম্যাক্সিম গোর্কি ছিলেন রাশিয়ার বিপ্লবী সাহিত্যিক। তাঁর আসল নাম আলেক্সেই পেশকভ। দারিদ্র্য তাঁর সঙ্গে ছিল ছায়ার মতো। মাত্র আট বছর বয়সে বাবার মৃত্যু হলে নানার বাড়িতে ঠাঁই হয় তাঁর। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর নানা তাঁর দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
শহরের এক জুতার দোকানে কাজ নেন গোর্কি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান আর মনিবের বাড়ির সব কাজ করতে হতো তাঁকে। কিছুদিন পর জুতার দোকানের কাজ ছেড়ে দিয়ে জাহাজঘাটে থালাবাসন পরিষ্কার করার কাজ নেন। একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি লাঘবের জন্য শহরময় ঘুরে বেড়াতেন। আর ঘরে ফেরার পথে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে ব্যথিত হতেন। এসব বিষয়ই তাঁকে লেখক ও রাজনীতিক হয়ে ওঠার তাড়না দিয়েছিল। অন্যায়, দুর্দশা তাঁকে এতটাই বিচলিত করে তুলেছিল যে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে একবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু বেঁচে যান।
সাহিত্যজীবনের প্রথমদিকে তিনি কিছু কবিতা রচনা করেন। যদিও তেমন সমৃদ্ধ হয়নি। তাঁর প্রথম গল্প ‘মাকার চুদ্রা’ প্রকাশিত হয় একটি পত্রিকায়। একসময় তিনি একটি মার্ক্সবাদী গ্রুপে সক্রিয় হন। এরপর কিছুদিন বলশেভিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৯৮ সালে তাঁর কিছু প্রবন্ধ ও গল্প নিয়ে ‘রেখাচিত্র ও কাহিনি’ নামে একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। ১৯০২ সালে লেনিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এরপর তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হন।
কাজানের এক আন্দোলনে অনেক ছাত্র নিহত হলে ম্যাক্সিম গোর্কি লেখেন ‘ঝোড়ো পাখির গান’ নামের বিখ্যাত কবিতা। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন জারের ১ নম্বর শত্রু। ১৯০৫ সালের বিপ্লব নিয়ে লেখেন নাটক ‘চিলড্রেন অব সান’। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘মা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৬ সালে। জারের ভয়ে তখন এ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছিল ইংরেজিতে। পৃথিবীজুড়ে এই উপন্যাস এখনো ব্যাপক জনপ্রিয়।
ম্যাক্সিম গোর্কি জন্মেছিলেন ১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ, রাশিয়ার এক ছোট্ট শহর নিঝনি নোভগরদে।
ম্যাক্সিম গোর্কি ছিলেন রাশিয়ার বিপ্লবী সাহিত্যিক। তাঁর আসল নাম আলেক্সেই পেশকভ। দারিদ্র্য তাঁর সঙ্গে ছিল ছায়ার মতো। মাত্র আট বছর বয়সে বাবার মৃত্যু হলে নানার বাড়িতে ঠাঁই হয় তাঁর। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর নানা তাঁর দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
শহরের এক জুতার দোকানে কাজ নেন গোর্কি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান আর মনিবের বাড়ির সব কাজ করতে হতো তাঁকে। কিছুদিন পর জুতার দোকানের কাজ ছেড়ে দিয়ে জাহাজঘাটে থালাবাসন পরিষ্কার করার কাজ নেন। একঘেয়ে জীবনের ক্লান্তি লাঘবের জন্য শহরময় ঘুরে বেড়াতেন। আর ঘরে ফেরার পথে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে ব্যথিত হতেন। এসব বিষয়ই তাঁকে লেখক ও রাজনীতিক হয়ে ওঠার তাড়না দিয়েছিল। অন্যায়, দুর্দশা তাঁকে এতটাই বিচলিত করে তুলেছিল যে জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে একবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু বেঁচে যান।
সাহিত্যজীবনের প্রথমদিকে তিনি কিছু কবিতা রচনা করেন। যদিও তেমন সমৃদ্ধ হয়নি। তাঁর প্রথম গল্প ‘মাকার চুদ্রা’ প্রকাশিত হয় একটি পত্রিকায়। একসময় তিনি একটি মার্ক্সবাদী গ্রুপে সক্রিয় হন। এরপর কিছুদিন বলশেভিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৮৯৮ সালে তাঁর কিছু প্রবন্ধ ও গল্প নিয়ে ‘রেখাচিত্র ও কাহিনি’ নামে একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। ১৯০২ সালে লেনিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এরপর তাঁরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিণত হন।
কাজানের এক আন্দোলনে অনেক ছাত্র নিহত হলে ম্যাক্সিম গোর্কি লেখেন ‘ঝোড়ো পাখির গান’ নামের বিখ্যাত কবিতা। এরপর তিনি হয়ে ওঠেন জারের ১ নম্বর শত্রু। ১৯০৫ সালের বিপ্লব নিয়ে লেখেন নাটক ‘চিলড্রেন অব সান’। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস ‘মা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৬ সালে। জারের ভয়ে তখন এ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছিল ইংরেজিতে। পৃথিবীজুড়ে এই উপন্যাস এখনো ব্যাপক জনপ্রিয়।
ম্যাক্সিম গোর্কি জন্মেছিলেন ১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ, রাশিয়ার এক ছোট্ট শহর নিঝনি নোভগরদে।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে