সম্পাদকীয়
সিকান্দার আবু জাফর নামে যিনি পরিচিত, তাঁর পুরো নাম আসলে সৈয়দ আল্ হাশেমী আবু জাফর মুহম্মদ বখ্ত সিকান্দার। তিনি ছিলেন কবি, গীতিকার, গল্পকার, ওপন্যাসিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও বলিষ্ঠ সংগঠক।
১৯১৮ সালের ১৯ মার্চ সাতক্ষীরা জেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি স্থানীয় তালা বিদে ইনস্টিটিউট থেকে প্রবেশিকা এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেননি। মাত্র ২২ বছর বয়সে লেখাপড়ার ইতি টেনে ১৯৪১ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর মতো স্বাধীনচেতা মানুষের পক্ষে একটা চাকরির মধ্যে বেশি দিন আটকে থাকা সম্ভব হয়নি। ওই চাকরি ছেড়ে ‘দৈনিক নবযুগ’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি শুরু করেন নারকেল তেলের ব্যবসা। চলল না। পূর্ণ সময় ব্যবসা করবেন বলে পত্রিকা ছেড়ে দিয়ে একটার পর একটা ব্যবসা ধরলেন, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হলেন।
তিনি ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ ও মিল্লাত পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
অন্যের পত্রিকায় সাংবাদিকতার চাকরি তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কোথাও যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ এবং অকপট কথা বলায় সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশ্যেই নিজস্ব পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। বিশিষ্ট কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সম্পাদিত ‘কনটেম্পোরারি’ নামের ইংরেজি পত্রিকার নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিজের পত্রিকার নাম রাখেন ‘সমকাল’। ১৯৫৭ সালের আগস্টে তাঁর সম্পাদনায় এই পত্রিকা প্রথম প্রকাশ হয়। এরপর তিনি ‘সমকাল মুদ্রায়ণ’ নামে একটি ছাপাখানা এবং ‘সমকাল প্রকাশনী’ নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার যে ধারা গড়ে ওঠে, তিনি ছিলেন তাঁর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতা, দেশপ্রেম ও বিপ্লবের চেতনাসম্পন্ন অনেক গান রচনা করেন। তাঁর রচিত ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই’ গানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
সিকান্দার আবু জাফর নামে যিনি পরিচিত, তাঁর পুরো নাম আসলে সৈয়দ আল্ হাশেমী আবু জাফর মুহম্মদ বখ্ত সিকান্দার। তিনি ছিলেন কবি, গীতিকার, গল্পকার, ওপন্যাসিক, সাংবাদিক, সম্পাদক ও বলিষ্ঠ সংগঠক।
১৯১৮ সালের ১৯ মার্চ সাতক্ষীরা জেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি স্থানীয় তালা বিদে ইনস্টিটিউট থেকে প্রবেশিকা এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। পরে কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করেননি। মাত্র ২২ বছর বয়সে লেখাপড়ার ইতি টেনে ১৯৪১ সালে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তাঁর মতো স্বাধীনচেতা মানুষের পক্ষে একটা চাকরির মধ্যে বেশি দিন আটকে থাকা সম্ভব হয়নি। ওই চাকরি ছেড়ে ‘দৈনিক নবযুগ’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি শুরু করেন নারকেল তেলের ব্যবসা। চলল না। পূর্ণ সময় ব্যবসা করবেন বলে পত্রিকা ছেড়ে দিয়ে একটার পর একটা ব্যবসা ধরলেন, কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হলেন।
তিনি ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদ ও মিল্লাত পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
অন্যের পত্রিকায় সাংবাদিকতার চাকরি তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। কোথাও যেন স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ এবং অকপট কথা বলায় সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। সেই উদ্দেশ্যেই নিজস্ব পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। বিশিষ্ট কথাশিল্পী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সম্পাদিত ‘কনটেম্পোরারি’ নামের ইংরেজি পত্রিকার নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি নিজের পত্রিকার নাম রাখেন ‘সমকাল’। ১৯৫৭ সালের আগস্টে তাঁর সম্পাদনায় এই পত্রিকা প্রথম প্রকাশ হয়। এরপর তিনি ‘সমকাল মুদ্রায়ণ’ নামে একটি ছাপাখানা এবং ‘সমকাল প্রকাশনী’ নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার যে ধারা গড়ে ওঠে, তিনি ছিলেন তাঁর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতা, দেশপ্রেম ও বিপ্লবের চেতনাসম্পন্ন অনেক গান রচনা করেন। তাঁর রচিত ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই’ গানটি মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১০ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৩ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৪ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫ দিন আগে