সম্পাদকীয়
মেহেদী হাসান ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম গজলসম্রাট। তিনি গায়ক, সুরস্রষ্টা এবং সংগীত পরিচালকও ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯২৭ সালের ১৮ জুলাই ভারতের রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার লুনা গ্রামে। বাবা ওস্তাদ আজিম আলী খান এবং চাচা ওস্তাদ ইসমাইল খান ছিলেন ধ্রুপদি সংগীতের প্রখ্যাত পণ্ডিত। কালাওয়ান্ত ঘরানার ষোলতম প্রজন্ম তিনি।
দেশভাগের সময় মেহেদীর পরিবার ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের শাহিওয়াল এলাকায় স্থায়ী হয়। সে সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। দেশভাগের অভিঘাত তাঁর পরিবারের ওপর পড়ে। পরিবারের হাল ধরতে সাইকেল মেকানিকের কাজ শুরু করেন মেহেদী। তবে তিনি সংগীতচর্চা অব্যাহত রাখেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঠুমরি গায়ক হিসেবে পাকিস্তান বেতারে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ পান। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একসময় তিনি উর্দু কবিতা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গজল গাওয়া শুরু করেন।
মেহেদী হাসান দীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগীতজীবনে উর্দু, বাংলা, পাঞ্জাবি ও আফগান ভাষায় ২৫ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গজল হলো—‘ম্যায় হোশ মে থা’, ‘রাফতা রাফতা ও মেরি হাস্তি কা সামা হো গ্যায়ে’, ‘দুনিয়া কিসিকে পেয়ার’, ‘জিন্দেগি মে তো সাবহি পেয়ার কিয়া কারতে হ্যায়’, ‘বাত কারনি মুঝে মুশকিল’, ‘খুলি জো আখ ওহ থা’, ‘আব কে হাম বিছরে’ প্রভৃতি। তাঁর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘সরহদেঁ’তে পাকিস্তান থেকে তিনি আর ভারত থেকে লতা মঙ্গেশকর রেকর্ড করেছিলেন।
মেহেদী বাংলাদেশে প্রথম আসেন ১৯৮৫ সালে। বাংলা গানেও তিনি মুনশিয়ানার স্বাক্ষর রাখেন। ‘তুমি যে আমার ভালোবাসা’ ও ‘সুখেরই স্বপ্ন কে ভেঙে দিল’ গানে মেহেদী হাসানের সঙ্গে কণ্ঠ দেন সাবিনা ইয়াসমীন ও রুনা লায়লা। এর আগেও তিনি ‘হারানো দিনের কথা’, ‘এত ভালো লাগে কেন’ ও ‘ঢাকো যত না নয়ন’ গানেও কণ্ঠ দেন।
গানের এই কিংবদন্তি ২০১২ সালের ১৩ জুন মৃত্যুবরণ করেন।
মেহেদী হাসান ছিলেন উপমহাদেশের অন্যতম গজলসম্রাট। তিনি গায়ক, সুরস্রষ্টা এবং সংগীত পরিচালকও ছিলেন। তাঁর জন্ম ১৯২৭ সালের ১৮ জুলাই ভারতের রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলার লুনা গ্রামে। বাবা ওস্তাদ আজিম আলী খান এবং চাচা ওস্তাদ ইসমাইল খান ছিলেন ধ্রুপদি সংগীতের প্রখ্যাত পণ্ডিত। কালাওয়ান্ত ঘরানার ষোলতম প্রজন্ম তিনি।
দেশভাগের সময় মেহেদীর পরিবার ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের শাহিওয়াল এলাকায় স্থায়ী হয়। সে সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। দেশভাগের অভিঘাত তাঁর পরিবারের ওপর পড়ে। পরিবারের হাল ধরতে সাইকেল মেকানিকের কাজ শুরু করেন মেহেদী। তবে তিনি সংগীতচর্চা অব্যাহত রাখেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঠুমরি গায়ক হিসেবে পাকিস্তান বেতারে প্রথম গান গাওয়ার সুযোগ পান। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একসময় তিনি উর্দু কবিতা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গজল গাওয়া শুরু করেন।
মেহেদী হাসান দীর্ঘ পাঁচ দশকের সংগীতজীবনে উর্দু, বাংলা, পাঞ্জাবি ও আফগান ভাষায় ২৫ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। তাঁর গাওয়া বিখ্যাত গজল হলো—‘ম্যায় হোশ মে থা’, ‘রাফতা রাফতা ও মেরি হাস্তি কা সামা হো গ্যায়ে’, ‘দুনিয়া কিসিকে পেয়ার’, ‘জিন্দেগি মে তো সাবহি পেয়ার কিয়া কারতে হ্যায়’, ‘বাত কারনি মুঝে মুশকিল’, ‘খুলি জো আখ ওহ থা’, ‘আব কে হাম বিছরে’ প্রভৃতি। তাঁর সর্বশেষ অ্যালবাম ‘সরহদেঁ’তে পাকিস্তান থেকে তিনি আর ভারত থেকে লতা মঙ্গেশকর রেকর্ড করেছিলেন।
মেহেদী বাংলাদেশে প্রথম আসেন ১৯৮৫ সালে। বাংলা গানেও তিনি মুনশিয়ানার স্বাক্ষর রাখেন। ‘তুমি যে আমার ভালোবাসা’ ও ‘সুখেরই স্বপ্ন কে ভেঙে দিল’ গানে মেহেদী হাসানের সঙ্গে কণ্ঠ দেন সাবিনা ইয়াসমীন ও রুনা লায়লা। এর আগেও তিনি ‘হারানো দিনের কথা’, ‘এত ভালো লাগে কেন’ ও ‘ঢাকো যত না নয়ন’ গানেও কণ্ঠ দেন।
গানের এই কিংবদন্তি ২০১২ সালের ১৩ জুন মৃত্যুবরণ করেন।
বারী সিদ্দিকী সংগীতজীবনের প্রথম দিকে বংশীবাদক হিসেবে পরিচিত পেলেও পরবর্তী সময়ে তিনি একজন লোকসংগীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেতিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
৪ দিন আগেআব্দুল করিম খাঁ ছিলেন হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি। কিরানা ঘরানারও তিনি কিংবদন্তি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে প্রচলিত—তিনি গান গাওয়ার সময় এমনভাবে ধ্যানমগ্ন হয়ে যেতেন যে, শ্রোতারাও সেই সুরের মায়াজালে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তেন।
৫ দিন আগেমানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের নিপীড়িত ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মুক্তির আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা। তিনি এম এন লারমা নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। ডাকনাম ছিল মঞ্জু। তাঁর নেতৃত্বেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
৬ দিন আগে